৪ মে, ২০২৩ ১৪:২০

আমিরাতে ভবন নির্মাণে জমি পেল বাংলাদেশ দূতাবাস

জাসেদুল ইসলাম, আরব আমিরাত

আমিরাতে ভবন নির্মাণে জমি পেল বাংলাদেশ দূতাবাস

বুধবার আবুধাবিতে দুই দেশের রাষ্ট্রদূত চুক্তি সম্পন্ন করেন

সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশ দূতবাসের নিজস্ব স্থায়ী ভবন নির্মাণের জন্য আমিরাত সরকার কর্তৃক প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। 

বুধবার আবুধাবিতে দুই দেশের রাষ্ট্রদূত এ চুক্তি সম্পন্ন করেন।

বাংলাদেশ ও ইউএই-এর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে যৌথ কনস্যুলার কমিটি গঠন সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক আবুধাবিতে স্বাক্ষরিত হয়। 

আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবু জাফর এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএই রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলি আল হামুদি নিজ নিজ সরকারের পক্ষে এ প্রোটোকল ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন। ইউএই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। 

দূতাবাসের জন্য প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত প্রোটকলের মাধ্যমে ইউএই সরকার আবুধাবির বাংলাদেশ দূতাবাস কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য নতুন কূটনৈতিক জোন-এ ৫,৫১৫ বর্গমিটারের একটি প্লট বরাদ্দ দিয়েছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকার ২০১৪ সালে ঢাকায় ইউএই দূতাবাসের জন্য বারিধারায় একটি প্লট বরাদ্দ করে, যার বিনিময়ে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ইউএই সরকার ৪,২৪৬ বর্গমিটারের একটি প্লট আবুধাবিতে বাংলাদেশ দূতবাসের জন্য বরাদ্দ দেয়। কিন্তু ইউএইতে বসবাসরত বিপুল সংখ্যক প্রবাসীকে স্বাচ্ছন্দে কনস্যুলার ও কল্যাণ সেবা প্রদানসহ অন্যান্য কূটনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সুপরিসরে দূতাবাস ভবন ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় স্থাপনা নির্মাণের জন্য এ জমি অপর্যাপ্ত বিবেচিত হওয়ায় ২০২১ সালে দূতাবাসের পক্ষ থেকে বৃহদকার প্লট বরাদ্দের জন্য ইউএই সরকারকে অনুরোধ জানানো হয়। এর প্রেক্ষিতে ইউএই সরকার নতুন প্লটটি বরাদ্দ দিয়েছে; যা পূর্বের বরাদ্দকৃত প্লটের চেয়ে আকারে প্রায় এক বিঘা পরিমাণ বড়। নতুন কূটনৈতিক জোনের অবকাঠামোগত উন্নয়ন সম্পন্ন হলে ইউএই কর্তৃপক্ষ ওই প্লট দূতাবাসের নিকট হস্তান্তরের পর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্থায়ী দূতাবাস কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে, যেখানে দূতালয়, রাষ্ট্রদূতের বাসভবন, অডিটোরিমসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য অবকাঠামো অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

স্বাক্ষর শেষে রাষ্ট্রদূত আবু জাফর বলেন, “আজকে  এ প্রটোকল ও সমঝোতা স্মারক সম্পাদনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ইউএই’র মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার ভ্রাতৃপ্রতিম সর্ম্পকের প্রতিফলন ঘটেছে। এগুলোসহ ইতোপূর্বে স্বাক্ষরিত অন্যান্য চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকসমূহ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক শিগগিরই অংশিদারিত্বের পর্যায়ে উন্নীত হবে। পাশাপাশি এদেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের উন্নততর কনস্যুলার সেবা প্রদান ও কল্যাণ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।”

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর