যুক্তরাষ্ট্রে সিনেটর-কংগ্রেসম্যান-স্টেট সিনেটর-রিপ্রেজেনটেটিভ-অ্যাসেম্বলিম্যান-সিটি মেয়র-কাউন্সিলম্যানসহ সহস্রাধিক এশিয়ান রয়েছেন ফেডারেল-স্টেট ও সিটি পর্যায়ের নেতৃত্বে। কিন্তু সংঘবদ্ধ একটি প্ল্যাটফরম নেই বহুজাতিক এ সমাজে এশিয়ানদের পক্ষে সোচ্চার হবার জন্যে। সে শুন্যতা পূরণ কল্পে গত সপ্তাহে ক্যালিফোর্নিয়ার সানফ্রান্সিসকোতে দুই শতাধিক এশিয়ান-আমেরিকান কংগ্রেসম্যান, স্টেট সিনেটর, স্টেট অ্যাসেম্বলিম্যান, স্টেট রিপ্রেজেনটেটিভসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচিত ও নিয়োগকৃত পদস্থ কর্মকর্তাগণ এক বৈঠকে মিলিত হন। সেখানে এশিয়ান আমেরিকানদের অধিকার ও মর্যাদা সুরক্ষায় ‘ন্যাশনাল এসোসিয়েশন অব এশিয়ান আমেরিকান ইলেক্টেড অ্যান্ড এপয়েন্টেড অফিসিয়ালস’ গঠনের ব্যাপারে সকলে ঐক্যমত পোষণ করেন। এবং এ অভিপ্রায়ে সামনের বছরের ১৯ জুন লাসভেগাসে এশিয়ান-আমেরিকানদের প্রথম একটি জাতীয় সম্মেলনের তারিখ নির্দ্ধারণও করা হয়েছে। জাতীয়ভিত্তিক এ উদ্যোগের অন্যতম সংগঠক জর্জিয়ার স্টেট সিনেটর (ডেমক্র্যাট) শেখ রহমান এ তথ্য জানান নিউইয়র্কে অ্যাসালের ষোড়শ জাতীয় সম্মেলনে। ২ ডিসেম্বর ব্রুকলিনে ম্যারিয়ট হোটেলের বলরুমে ‘এলায়েন্স অব সাউথ এশিয়ান আমেরিকান লেবার’ তথা অ্যাসালের এই সম্মেলনের বিশেষ সম্মানীত অতিথির বক্তব্যে সিনেটর রহমান বলেছেন, আমরা ঐক্যবদ্ধ নেই বলে অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতিতে এশিয়ানদের ভোটে বিজয়ী অনেকের নগ্ন আচরণও আমরা প্রত্যক্ষ করছি। গাজায় নির্বিচারে মুসলিম নিধনে কারা মদদ দিচ্ছে তাও এখন আর আমাদের অজানা নেই। তাই সকলে যদি ঐকবদ্ধ থাকতে পারি তাহলে কেউই এমন নির্দয় আচরণে মদদ দিতে সাহস দেখাবে না। আমরা অনেকেই মানবিকতার সাফাই গাই, অথচ গাজায় নির্বিচারে শিশু, নারীসহ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদেরকেও বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়া হচ্ছে।
এই সম্মেলনের হোস্ট সংগঠন ‘অ্যাসাল’র জাতীয় কমিটির সেক্রেটারি এবং স্ট্যাটেন আইল্যান্ড বরো থেকে নির্বাচিত জুডিশিয়াল ডেলিগেট করিম চৌধুরীকে গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ প্রতিদিন উত্তর আমেরিকা সংস্করণের পক্ষ থেকে ‘কম্যুনিটির হিরো’ উপাধির ক্রেস্ট হস্তান্তর করা সম্ভব হয়নি। সেটি এই সম্মেলনের মূলমঞ্চে করিম চৌধুরীকে প্রদান করেন স্টেট সিনেটর শেখ রহমান। এ পর্বের সঞ্চালনা করেন অ্যাসালের জাতীয় প্রেসিডেন্ট মাফ মিসবাহ আহমেদ এবং এ সময় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার। পাশে ছিলেন স্টেট অ্যাসেম্বলিওম্যান ক্যাারিন্স রিইজ। উল্লেখ্য, অ্যাসালের এই সম্মেলনে ইউএস সিনেটর ক্রিস্টিন জিলিব্র্যান্ডও শুভেচ্ছা বক্তব্য দিয়েছেন। অ্যাসালের ১০ স্টেটের ২০ শাখার নেতৃবৃন্দ এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন এবং সামনের বছরের জাতীয় নির্বাচনে দক্ষিণ এশিয়ান আমেরিকানদের আরো জোরালো ভূমিকায় অবতীর্ণ হবার সংকল্প ব্যক্ত করা হয়।