৬ মার্চ, ২০২৪ ১১:২৪

যুক্তরাষ্ট্রে সাহসী নারীর পুরস্কার পেলেন বাংলাদেশি ফাওজিয়া

লাবলু আনসার, যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রে সাহসী নারীর পুরস্কার পেলেন বাংলাদেশি ফাওজিয়া

হোয়াইট হাউজে ফার্স্টলেডি জিল বাইডেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেনের মাঝে অ্যাওয়ার্ড হাতে অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া। ছবি-বাংলাদেশ প্রতিদিন।

যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইন্টারন্যাশনাল ওমেন অব কারেজ অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন বাংলাদেশি নারী অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজ। শান্তি, মানবাধিকার এবং নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ আরো ১০ জনের সাথে এই অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন তিনি। 

সোমবার হোয়াইট হাউসে অনাড়ম্বর এক অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেন এবং ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন আনুষ্ঠানিকভাবে ফাওজিয়াসহ ১১ নারীর হাতে এই অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন। অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত অপর ১০ জন হলেন আফগানিস্তানের অ্যাটর্নি বিনাফশা, বেলারুশের ভোলহা হারবুনোভা, বসনিয়া-হারজেগভিনার অ্যাজনা জাসিস, বার্মার মিইনটজু উইন, কিউবার মার্থা বিটরিজ, ইকুয়েডরের ফাতিমা করোজো, গাম্বিয়ার ফটো বালডেহ, লন্ডনে বসবাসরত ইরানের ফারিবা বালোচ, জাপানের রিনা গোনই, মরক্কোর রাভা আল হেইমার এবং উগান্ডার এ্যাগাথার অতুহেইরে।  

২০০৭ সালে চালু এই বার্ষিক পুরস্কারটি বিশ্বজুড়ে নারীদের সম্মানিত করে যারা তাদের সম্প্রদায়ে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে অসম সাহস, শক্তি এবং নেতৃত্ব প্রদর্শন করেছেন প্রায়শই বড় ধরনের ঝুঁকি এবং ত্যাগ স্বীকার করে। এখন পর্যন্ত এই প্রোগ্রামের অধীনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ৯০টি দেশে ১৯০ টিরও বেশি নারীকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। 

পুরস্কারপ্রাপ্তরা মানবাধিকার সুরক্ষা, লিঙ্গ-সমতা এবং তাদের সমস্ত বৈচিত্রের মধ্যে নারী ও মেয়েদের ক্ষমতায়ন এবং বিশ্বজুড়ে শান্তি ও সরকারী কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার জন্য নিরন্তরভাবে কাজ করেছেন।

তিন দশকের বেশী সময় ধরে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ। তিনি ফাউন্ডেশন ফর ল’ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ফ্ল্যাড) চেয়ারম্যান। তার নেতৃত্বে ফ্ল্যাড আদালতে দায়ের করা একটি শুনানিতে জয় লাভ করে যেখানে বলা হয়, ২০১৫ সালের ডমেস্টিক ওয়ার্কার্স প্রটেকশন এ্যান্ড ওয়েলফেয়ার পলিসি গৃহকর্মীদের অধিকার সুরক্ষার জন্য যথেষ্ট নয়।

ফাওজিয়া পোশাক শ্রমিকদের পক্ষে অধিকার আদায়ে মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে একাই প্রায় ৩ হাজার মামলা দায়ের করেছেন। তিনি বাংলাদেশ ইন্ডিপেন্ডেন্ট গার্মেন্ট ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন ফেডারেশন প্রতিষ্ঠা এবং ডমেস্টিক ওয়ার্কার্স গাইডলাইন্স তৈরিতে অবদান রেখেছেন। ২০০৭ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ফাওজিয়া বাংলাদেশ উইমেন ল’ইয়ার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি এসিড সার্ভাইভারস ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য। যৌন হয়রানির মামলা পর্যালোচনা এবং পরামর্শ দেবার জন্য ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে তাকে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সদস্য হিসাবে নির্বাচিত করেছে সুপ্রিম কোর্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। 

 


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর