১৮ মার্চ, ২০২৪ ১২:২৭

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত

অনলাইন ডেস্ক

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন এবং তার বৈশ্বিক শান্তি ও ভালোবাসার দর্শনকে কেন্দ্র করে আয়োজিত নানা কার্যক্রমে ম্যানচেষ্টারস্থ বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ এবং শিশু কিশোরদের স্বত:স্ফূর্ত অংশগ্রহণে উদযাপিত হলো বঙ্গবন্ধুর জম্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৪।

দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর একটি বিশেষ আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এছাড়া, স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা ও বিনির্মাণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মত্যাগ এবং জীবন ও আদর্শের উপর আমন্ত্রিত অতিথিদের উপস্থিতিতে আলোচনা সভা আয়োজিত হয়। 

সহকারী হাই-কমিশনার কাজী জিয়াউল হাসান তার বক্তব্যের শুরুতেই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, মা, মাতৃভূমি আর মাতৃভাষা যেমন অবিচ্ছেদ্য সম্পর্কে আবদ্ধ, তেমনি বঙ্গবন্ধু, বাঙালি জাতি আর বাংলাদেশ একই সুতোয় গাঁথা। বঙ্গবন্ধুর অদম্য নেতৃত্ব এবং কোমল হৃদয়-এই দুয়ের সম্মিলনে কীভাবে তিনি শেখ মুজিব থেকে একটি জাতির পিতায় পরিণত হলেন, সে কাহিনি গল্পের মতো করে শোনান। দেশ ও জাতির সর্বোচ্চ কল্যাণার্থে বজ্র কঠিন সিদ্ধান্ত আবার একই সঙ্গে শিশুসুলভ সারল্য কেবল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবই ধারণ করেছিলেন বলে তিনি কোটি বাঙালির হৃদয়ে স্থায়ী জায়গা করে নিতে পেরেছিলেন। আর ইতিহাস তাকে দিয়েছিল সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালির স্থান।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে অতি দ্রুত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পাশাপাশি মিত্র বাহিনীর বাংলাদেশ ত্যাগ, আন্তর্জাতিক অঙ্গণে বাংলাদেশের অতি দ্রুত স্বীকৃতি আদায়ে সফল হন। জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি। প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক গৃহীত উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার কর্মসূচি এই স্বপ্নের ধারাবাহিক বাস্তবায়ন প্রয়াস। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়।

আলোচনা সভায় ম্যানচেষ্টারস্থ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর মূল্যবান বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানের শেষে স্বাধীনতা যুদ্ধে এবং ১৫ আগস্টে নিহত বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর