২১ মার্চ, ২০২৪ ১৩:৫১

ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে বাংলাদেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফরিদ খান

যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি

ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে বাংলাদেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফরিদ খান

বাংলাদেশের খ্যাতনামা ব্যবসায়ী, সামিট গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফরিদ খান ঘুরে গেলেন ‘ওয়াশিংটন ইউনিউভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’র (ডব্লিউইউএসটি) ক্যাম্পাস। গত ১৩ মার্চ ভার্জিনিয়ার আলেক্সান্দ্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফরিদ খান আনন্দময় দিন কাটান। 

ভার্সিটির চ্যান্সেলর ও চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ এবং সিএফও ফারহানা হানিপ তাকে ক্যাম্পাসে স্বাগত জানান। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আন্তরিক মতবিনিময়ে অংশ নেন বাংলাদেশের এই স্বনামধন্য ব্যবসায়ী। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্ক এই মতবিনিময়ে নেতৃত্ব দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট অব এডুকেশন ড. জেফের পিরিম, ভাইস প্রেসিডেন্ট অব অপারেশন ও রেজিস্ট্রার ড. শ্যান চো, স্কুল অব বিজনেসের পরিচালক অধ্যাপক মার্ক এল রবিনসন ও বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধান ও ফ্যাকাল্টি সদস্যরা এতে অংশ নেন।

চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপ এসময় বলেন, শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গঠনে প্রস্তুত করে তোলার অঙ্গিকারকে সমুন্নত রাখতে ডব্লিউইউএসটি তার মিশন ও ভিশন নির্ধারন করেছে। “ট্রিপল মিশন নিয়ে আমরা এগুচ্ছি: শিক্ষার্থীদের জন্য ডিগ্রি নিশ্চিত করা, তাদের দক্ষতা তৈরি করা এবং কর্মসংস্থানে সহায়তা করা। যাতে এর মাধ্যমে রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট অর্থাৎ যে অর্থ ব্যয় করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে তার একটা কার্যকর প্রতিদানও তারা পেতে পারে। শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় দক্ষতায় সক্ষম করে তুলতে আমাদের স্কলার-প্র্যাকটিশনার ফ্যাকাল্টিরা তাদের কর্মক্ষেত্রের অভিজ্ঞতা ও পরিবেশকেই নিয়ে আসছেন ক্লাসরুম সেটিংসে,”, বলেন ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ।

ড. হাসান কারাবার্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা ও বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেন এবং গুরুত্বারোপ করেন এর প্রধান তিনটি লক্ষ্যের ওপর। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসমূহের অ্যাক্রিডিটেশন কম্প্লায়ান্স নিশ্চিত করা আর শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে অ্যাকসেসেবল ও অ্যাফোর্ডেবল করে রাখতে আমরা বদ্ধ পরিকর। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে শিক্ষার্থীরা যাতে আপন করে নিতে পারে, লেখাপড়ায় মনোযোগী হতে পারে-সে প্রচেষ্টা আমাদের সার্বক্ষণিক, বলেন ড. কারাবার্ক।

সিএফও ফারহানা হানিপ ক্যাম্পাসে বহুজাতিক শিক্ষার্থীর উপস্থিতিকেই এর অনন্য দিক হিসেবে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “ডব্লিউইউএসটির প্রতিটি ক্লাসরুম জাতিসংঘের অধিবেশনের আদল পায় কারণ এখানে বিশ্বের অন্তত ১২০টি দেশ থেকে আসা শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করছে।”

বিভাগীয় প্রধানরা তাদের বক্তৃতায় নিজ নিজ বিশেষত্বগুলো তুলে ধরেন। অধ্যাপক মাকরবিনসন গুরুত্বারোপ করেন কিভাবে ইন্ডাস্ট্রি থেকে অর্জিত জ্ঞান ও ব্যবহারিক দক্ষতা ডব্লিউইউএসটি তার কারিকুলামের অংশ করে নিয়েছে তার ওপর। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি ড. সালমান এলবাদর ডব্লিউইউএসটির শিক্ষা মডেলকে ইউনিক হিসেবে উল্লেখ করেন আর ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. পিরিম বিশ্ববিদ্যালয়টির সাম্প্রতিক অগ্রসরতার এবং সে কারণে ভার্জিনিয়া স্টেট অ্যাসেম্বলি থেকে পাওয়া স্বীকৃতির কথা তুলে ধরেন। ড. শ্যান চো বলেন, ক্যাম্পাসের সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টা ও দলগতভাবে কাজের মনোভাবই বিশ্ববিদ্যালয়টিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিচালনায় এসব অনন্য দিকের প্রশংসা করে ফরিদ খান তার বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ ও তার এই আত্মনিয়োজিত টিমের সকলের প্রতি ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন যে, একজন বাংলাদেশি আমেরিকান যুক্তরাষ্ট্রে এমন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে তা এগিয়ে নিচ্ছেন, বিষয়টি তাকে গর্বিত করে। “আমিআশা করি বিশ্ববিদ্যালয়টি তার নিজস্ব গতিতে এগিয়ে যাবে এবং এক সময় যুক্তরাষ্ট্রের টপ র‌্যাঙ্কড বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি হয়ে উঠবে’’-প্রত্যাশা ফরিদ খানের।

পরে চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপ ও প্রেসিডেন্ট হাসান কারাবার্কের সঙ্গে ফরিদ খান বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আইটি ল্যাব, স্টেট-অব-আর্টস ক্লাসরুমসমূহ, কম্প্রিহেনসিভ লাইব্রেরি, স্টুডেন্ট লাউঞ্জ, ক্যাফেটেরিয়া ও অন্যান্য বিভাগ ঘুরে দেখেন। একটি স্বপ্ন পূরণের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে আর নতুন বিশ্বাসে পথ চলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম খ্যাতিমান ব্যবসায়ী ফরিদ খানের সান্নিধ্যের দিনটি উজ্জ্বল হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য ছাত্র-শিক্ষকদের।


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর