তুরস্কের আঙ্কারায় বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে জাতীয় গণহত্যা দিবস-২০২৪ পালন করেছে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ-এ বাংলাদেশের নিরীহ, নিরস্ত্র ও ঘুমন্ত মানুষের ওপর পাকিস্তান সেনাবাহিনী কর্তৃক সংঘটিত ইতিহাসের জঘন্যতম বর্বরোচিত গণহত্যাকে স্মরণ করে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

২৫ মার্চের কালোরাতে নিহত নিরস্ত্র বাঙ্গালি ও মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহীদদের স্মরণে উপস্থিত সকলে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ দিবসটি উপেক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনান। এরপর গণহত্যা দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্যের উপর একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা পর্বে প্রথমেই বক্তব্য প্রদান করেন দূতাবাসের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ইফতেকুর রহমান।

সর্বশেষে, রাষ্ট্রদূত আমানুল হক তার বক্তব্যের শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদ সদস্যদের এবং ২৫ মার্চের কালরাতে নিহত নিরস্ত্র বাঙালিসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহীদদের আত্মত্যাগের কথা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। 
তিনি ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক পরিচালিত অপারেশন সার্চ লাইট-কে পৃথিবীর জঘন্যতম এবং ইতিহাসে বিরল হত্যাযজ্ঞ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি আলোচনায় বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনে বাংলাদেশ সরকারের নিরলস প্রচেষ্টার বিষয়ে আলোকপাত করেন।

পরিশেষে পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাত্রিতে নিহতদের ও মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এক বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শেষ হয়।

বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ