১৪ জুন, ২০২৪ ১৬:২৮
মার্কিন রাজনীতি ও প্রশাসনে বাংলাদেশিদের সম্পৃক্ততায়

‘রাইজিং আপ নিউইয়র্ক’এর সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা

যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি

 ‘রাইজিং আপ নিউইয়র্ক’এর সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা

সংখ্যাগতভাবে সমৃদ্ধি ঘটলেও সিটি, স্টেট, ফেডারেল প্রশাসনে বাংলাদেশি আমেরিকানদের সম্পৃক্ততা একেবারেই নগণ্য। আমেরিকান স্বপ্ন পূরণে প্রতিটি সিটিজেনেরই ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়া জরুরি, তা যে দলের সমর্থক হিসেবেই হোন না কেন। একইভাবে প্রতিটি নির্বাচনী ক্যাম্পেইনেও সক্রিয় থাকতে হবে। তাহলেই গুরুত্ব বাড়বে কম্যুনিটি হিসেবে।

এমন একটি সংকল্প নিয়েই ২০২১ সাল থেকে মাঠে নেমেছে ‘রাইজিং আপ নিউইয়র্ক’ নামক একটি সংগঠন। এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট শামসুল হক জানালেন, তার প্রত্যাশা এখন থেকে ৫-১০ বছর বাংলাদেশি নাগরিকরা সিটি, স্টেট, ফেডারেল পর্যায়ের বিভিন্ন আসনে নির্বাচন করবে। আর এ লক্ষ্য অর্জনের লক্ষ্যে আমাদের ভোটার সংখ্যা বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, চলতি মাসে আমরা ৫টি ইভেন্ট করলাম সে অভিপ্রায়ে। ইচ্ছা আছে চলতি বছর নিউইয়র্ক সিটিতে ১০০টি ইভেন্ট করবো। নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হিসেবে কর্মরত শামসুল হক আরও বললেন, এটা রাতারাতি সম্ভব নয়। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে, অসীম ধৈর্য নিয়ে কাজ করতে হবে। কারণ, সিটিজেনশিপ নেওয়ার পর কম্যুনিটির অনেকেই মনে করেন যে, পারিবারিক কোটায় আত্মীয়-স্বজনকে যুক্তরাষ্ট্রে আনাই একমাত্র দায়িত্ব। এর বাইরে নিজের এবং প্রিয়-পরিচিত কম্যুনিটির সকলের অধিকার ও মর্যাদা সুসংহত করতে ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়া যে খুবই জরুরি-তা জানার চেষ্টা করেন না। এই অবস্থার অবসানে সকলকে সচেতন করার দায়িত্বটি পালনের চেষ্টা করছি।

এযাবৎ কেমন সাড়া পেয়েছেন এই প্রশ্নের জবাবে সমাজকর্মী শামসুল হক বললেন, আমি হতাশ নই। ধীরে ধীরে অনেকেই আগ্রহী হচ্ছে। এজন্যেই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়েছি। আমেরিকান স্বপ্ন পূরণের ক্ষেত্রে মূলধারার জোরালোভাবে সম্পৃক্ততার বিকল্প নেই-তা প্রথম প্রজন্মকে অনুধাবনে সক্ষম করা গেলে স্বল্প সময়ের মধ্যেই নিউইয়র্ক সিটির অনেক গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে আমাদের বিজয় কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। এক্ষেত্রে সকলকে ‘বাংলাদেশি’ হিসেবে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দেশী রাজনীতির বিভাজনকে এক্ষেত্রে পরিহার করা শ্রেয়। 

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর