১ জুলাই, ২০২৪ ১১:২৭

প্রবাসীদের সমস্যা সমাধানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ১২ দফা দাবি

যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি

প্রবাসীদের সমস্যা সমাধানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ১২ দফা দাবি

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সে সমৃদ্ধ হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বাড়ছে রিজার্ভ। কিন্তু এসব রেমিটেন্স যোদ্ধারা মাতৃভূমিসহ বিভিন্ন দেশে নানা সমস্যায় জর্জরিত। তাদের এসব সমস্যা সমাধানে ১২ দফা দাবি উত্থাপন করেছে ‘প্রবাসী বাংলাদেশি ফোরাম’। দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি নিউইয়র্ক সফররত বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের হাতে ২৬ জুন সন্ধ্যায় তুলে দেওয়া হয়। 

প্রবাসীদের পক্ষে স্মারকলিপিটি মন্ত্রীকে প্রদান করেন প্রবাসী বাংলাদেশি ফোরামের আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম এবং ডা. নারগিস রহমান ও শামীম আহমেদ। 

এর আগেও কয়েকবার এই দাবিগুলো সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে তুলে ধরেছিলেন ফখরুল আলম। 
দাবির মধ্যে রয়েছে: ১. নিউইয়র্ক-ঢাকা-নিউইয়র্ক রুটে বিমানের সরাসরি ফ্লাইট চালু ২. নিউইয়র্কসহ সারা বিশ্বের বাংলাদেশ কনস্যুলেট ও দূতাবাসের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) চালু করা, যা ব্রিটেনে চালু রয়েছে ৩. বাংলাদেশ কনস্যুলেট ও দূতাবাসের মাধ্যমে প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা  ৪. দেশের ভূমিদূস্যদের হাত থেকে প্রবাসীদের রক্ষা করা। বিশেষ করে চুক্তি মোতাবেক ক্রয় করা জমি, প্লট, অ্যাপার্টমেন্ট সহজে সংশ্লিষ্ট প্রবাসীর কাছে বুঝিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা, ৫. ঢাকাস্থ শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবাসীদের হয়রানি বন্ধ ৬. দ্বৈত নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে হয়রানি বন্ধ ৭. বাংলাদেশের অফিস-আদালতে লাল ফিতার দৌরাত্ব বন্ধের জন্যে ঢাকায় চালু করা ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’ কার্যকর করা ৮. প্রবাসীদের প্রেরিত রেমিটেন্সের অর্থে গড়ে ওঠা অর্থনীতির লাখ-কোটি টাকা বিদেশে পাচার বন্ধসহ পাচারকারীদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা ৯. জন্মভূমি সফরকালে প্রবাসীদের জানমালের নিরাপত্তার ব্যবস্থা ১০. বাংলাদেশে প্রবাসীদের ঘর-বাড়ি ও স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি রক্ষার ব্যবস্থা ১১. কনস্যুলেট সেবা বৃদ্ধি করে প্রবাসীদের পাসপোর্ট নবায়ন, জন্মসনদ, মৃত্যুসনদ, দেশের সম্পত্তি হস্তান্তরে ‘পাওয়ার অব অ্যাটর্নি’ প্রদানের মতো কাজগুলো সহজ করা  ১২. যে কোনো প্রবাসীর মরদেহ বিনা খরচে দেশে নেওয়ার ব্যবস্থা করা। 

দাবিগুলো উত্থাপন করে ফখরুল আলম বলেন, প্রিয় জন্মভূমি ত্যাগ আসলে একটা রক্তক্ষরণের মতো বিষয়। প্রবাসীরা সেই তীব্র ব্যাথাকে উপেক্ষা করে প্রবাস জীবনযাপন করার পাশাপাশি নানাভাবে নিজ নিজ পরিবার থেকে শুরু করে রাষ্ট্রকে সহযোগিতা করছেন। কিন্তু বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী প্রবাসীরা আজ দেশে-প্রবাসে নানা সমস্যায় জড়িত। এমনকি, প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ আবার বিদেশে পাচার হয়ে আসছে। অথচ তার কোন প্রতিকার বা বিচার নেই। 

তিনি আরও বলেন, ভূমিদস্যুরা প্রবাসীদের সঙ্গে চরম প্রতারণা করছেন। প্রবাসীদের অর্থ নিয়ে জায়গা-জমি, ভূমি, অ্যাপার্টমেন্ট, প্লট বুঝিয়ে দিচ্ছেন না। আত্মীয়-স্বজনও প্রবাসী ভাই-বোনের সম্পত্তি গ্রাস করে নিচ্ছে। নিজেদের দাবি-দাওয়া আদায়ে সময় এসেছে প্রবাসীদের সোচ্চার হওয়ার।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর