১৫ জুলাই, ২০২৪ ১৩:২৬

শান্তিনিকেতনে ‘বাংলাদেশ ভবন’ পরিদর্শন বাংলাদেশ থেকে আগত প্রতিনিধিদলের

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

শান্তিনিকেতনে ‘বাংলাদেশ ভবন’ পরিদর্শন বাংলাদেশ থেকে আগত প্রতিনিধিদলের

পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থিত ‘বাংলাদেশ ভবন’ পরিদর্শ করেছেন বাংলাদেশ থেকে আগত একটি সরকারি প্রতিনিধি দল। শনিবার দলের প্রতিনিধিরা এই ভবন ঘুরে দেখেন এবং সেই সাথে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সাথে সাক্ষাৎ করে ‘বাংলাদেশ ভবনে’ অবস্থিত একটি জাদুঘর (মিউজিয়াম)-এর সংস্কার ও সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা করেন।

বাংলাদেশ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দলে বাকি তিনজন ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সদস্য। 

এক বিবৃতিতে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ১৩ জুলাই বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিনিধিদল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অরবিন্দ মন্ডল এবং বাংলাদেশ ভবনের চিফ কোর্ডিনেটর অধ্যাপক মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়'এর সাথে সাক্ষাৎ করেন। 

এই সাক্ষাৎকালে প্রতিনিধি দলের তরফে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ফাইবারের তৈরি একটি ভাস্কর্যসহ বেশ কিছু হস্তনির্মিত বস্তু বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ থেকে আগত ওই প্রতিনিধি দলটি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার অশোক মাহাতোর সাথে দেখা করে জাদুঘর সংরক্ষণ এবং প্রদর্শনী রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে মত বিনিময় করেন।  

মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় জানান, ২০১৮ সালের ২৫ মে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীদের উপস্থিতিতে এই ভবনটির উদ্বোধন হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে কোভিড মহামারির কারণে জাদুঘরটিকে বন্ধ রাখা হয়। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ সরকার উভয়ই আশাবাদী, খুব শিগগিরই এই জাদুঘর আবার জনসাধারণের উদ্দেশ্যে খুলে দেওয়া হবে। 

২০১৮ সালের ২৫ মে বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করা হয়। মূলত ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশের শিল্পকলা, ভাষা, সংস্কৃতি, ইতিহাসের মেলবন্ধন অটুট রাখা এবং শিক্ষা বিষয়ক গবেষণা ও অধ্যায়ন করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ও উদ্যোগে এই ভবনটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই ভবনের দুটি প্রধান আকর্ষণ বিন্দু হল গ্রন্থাগার এবং জাদুঘর। 

শান্তিনিকেতনে গড়ে ওঠা বাংলাদেশ ভবনটিতে কুষ্টিয়ার শিলাইদহে থাকাকালে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত কবিতা, গান ও বিভিন্ন মুহূর্তের ছবিসহ বাংলাদেশের ইতিহাস রাখা রয়েছে। ঠাঁই পেয়েছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানের ইতিহাস। 

মুক্তিযুদ্ধের সময়ের ডাকটিকিট, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর সরকারের একাধিক নিদর্শন রয়েছে এখানে। এছাড়াও সুলতান যুগের বিভিন্ন মুদ্রা, ব্রিটিশ আমলের মুদ্রা, পনেরো ও ষোলো শতকের মাটি খনন করে প্রাপ্ত টেরাকোটার মূর্তিসহ একাধিক মূল্যবান প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনও রয়েছে। 

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর