ব্রিটেনে অভিবাসীদের দ্বারা সংঘটিত অপরাধের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এই অপরাধগুলো ধামাচাপা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সাবেক মাইগ্রেশন মিনিস্টার রবার্ট জেনরিক। কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান হওয়ার দৌড়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা রবার্ট জেনেরিক বলেন, এদেশে আসা অভিবাসীদের অপরাধের রেকর্ড জনগণের জানার অধিকার আছে। আমি প্রধানমন্ত্রী হলে সর্বোচ্চ অপরাধের হারসহ অভিবাসী ন্যাশনালিটির তথ্য প্রকাশ করবো।
এর আগে পার্লামেন্টের এমপি এবং ক্যাম্পেইনাররা ফ্রিডম অফ ইনফরমেশনের ভিত্তিতে অভিবাসীদের অপরাধের রেকর্ড প্রকাশ করার আহ্বান জানান। তবে কর্তৃপক্ষ এই আহ্বানে সাড়া দেয়নি। এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে রবার্ট জেনেরিক এসব মন্তব্য করেন।
হোম অফিস, মিনিস্ট্রি অব জাস্টিস এবং অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস জানিয়েছে তারা এই ধরনের তথ্য প্রকাশ করে না। তবে এই তথ্যগুলো তারা সরকার এবং পুলিশ ডেটাবেসে সংযুক্ত করে থাকে।এদিকে মিঃ জেনরিক দ্য টেলিগ্রাফকে বলেন, মাইগ্রেশন কন্ট্রোলের ক্ষেত্রে সরকারের নমনীয়তার কারণে আমরা গুরুতর এবং সহিংস অপরাধ আমদানি করছি। ডেনমার্কের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী সেদেশে নির্দিষ্ট কিছু জাতিগোষ্ঠীর মানুষের অপরাধ করার সম্ভাবনা বেশি। আমাদের একইভাবে এই ডেটা দরকার। এতে আমরা আমাদের বর্ডারে আরও কঠোর চেকের ব্যবস্থা করতে পারি। এদিকে নতুন একটি আইনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর আওতায় এক বছরে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়া প্রত্যেক অপরাধীর জাতীয়তা, ভিসা এবং মাইগ্রেশন স্টাটাসের ডিটেইলস ব্রিটিশ সরকারকে প্রকাশ করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের কিছু স্টেট এবং ডেনমার্কে এই নিয়ম চালু রয়েছে। এখন ব্রিটেনেও একই আইন চালুর প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে।
মিঃ জেনরিক মনে করেন অভিবাসীদের অপরাধের তথ্য প্রকাশ করা হলে যেসব দেশের অভিবাসীরা বেশি মাত্রায় অপরাধের যুক্ত তার তথ্য পাওয়া যাবে। এতে হোম অফিস এসব দেশের ক্ষেত্রে ভিসা এবং নির্বাসন নীতি কঠোর করতে পারবে।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ