পূজার জায়গায় পূজা চলবে এবং নির্বাচনের জায়গায় নির্বাচন হবে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. আলমগীর।
ঢাকা সিটি নির্বাচন ৩০ জানুয়ারি থেকে পরিবর্তন করার জন্য হাইকোর্টে দায়েরকৃত রিট আবেদন খারিজ হওয়ার পর শাহবাগে অবরোধ চলছে। এসব নিয়ে মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. আলমগীর তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের এ বিষয়ে নতুন করে বক্তব্য নেই। কারণ নির্বাচন কমিশন আইন, সরস্বতী পূজা, এসএসসি পরীক্ষা, সব কিছু বিবেচনায় নিয়ে সর্বোত্তম দিন যেটা, সে দিনটাই ঠিক করা হয়েছে। ৩০ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটি ভোট অনুষ্ঠিত হবে। তাদের অন্য তারিখে ভোট নেওয়ার দাবি কেন সম্ভব নয়, তাও ব্যাখ্যা করেছে কমিশন। তারা হয়তো সে ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হতে পারেননি বলেই আদালতে গেছেন।তিনি বলেন, আদালত উভয়পক্ষের কথা শুনে তারাও বিবেচনা করে দেখেছেন যে, ৩০ জানুয়ারি সর্বোত্তম দিন। তারা কনভিন্সড, যে কারণে বলেছেন যে ৩০ জানুয়ারি ভোট করতে কোনো বাধা নেই।এজন্য আদালেত রায়ের মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান ইসি সচিব।
মো. আলমগীর আরও বলেন, কমিশন যেটা বলেছে, সব স্কুলে কিন্তু পূজা হয় না। বাকি স্কুলে যেখানে পূজা হবে, সে জায়গাটা ছেড়ে দেবে। আবার সরকারি অনেক অফিস, আদালতেও পূজা হয়। সেখানে অনেক রুম থাকে। তাই যেখানে পূজা হবে, সে রুম ছেড়ে দিয়ে অন্য রুমে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে। পূজার জায়গায় পূজা চলবে, নির্বাচনের জায়গায় নির্বাচন হবে।
এ বিষয়ে একটি উদাহরণও তুলে ধরেন ইসি সচিব। তিনি বলেন, রংপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচনেও দূর্গাপূজার দশমী ছিল। সেখানে তো কোনো সমস্যা হয়নি। নির্বাচনও হয়েছে, পূজাও হয়েছে একই প্রতিষ্ঠানে পশাপাশি। কোনো সমস্যা তো হয়নি।
শাহবাগে অবরোধ করেছে রায়ের পর, পরে কী হতে পারে, কী ব্যবস্থা নেবে ইসি- এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, আদালত যেখানে রায় দিয়েছে, সেখানে আপনাদের-আমাদের-কমিশনের তো কোনো বিষয় নেই। রায়ের প্রতি তো তাদের শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে। তারা আপিল করলে করতে পারেন। আপিলের রায়ের জন্য অপেক্ষা করতে পারেন। নির্বাচন ও পূজা নিয়ে পক্ষ-বিপক্ষের তো কিছু নেই।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব
