১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ১৩:০৮
বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন

নির্বাচন পরিচালনায় কর্মকর্তাদের ক্ষমতা কী কী?

অনলাইন ডেস্ক

নির্বাচন পরিচালনায় কর্মকর্তাদের ক্ষমতা কী কী?

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পুরো ভোট প্রক্রিয়া যে কর্মকর্তাদের অধীনে পরিচালিত হবে তাদেরকে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের আইনে নির্দিষ্ট কিছু ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

আজ শনিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে এই দুটি সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।

নির্বাচন কমিশনের আইনের আলোকে এই পুরো ভোট প্রক্রিয়া তত্ত্বাবধান করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা।

নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্রের প্রধান হিসেবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনার সার্বিক দায়িত্ব পালন করে থাকেন প্রিজাইডিং অফিসার।

এজন্য তাকে সহায়তা করেন কয়েকজন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং পোলিং অফিসার।

ভোটাররা যেন ভোট প্রদানের সময় সুশৃঙ্খলভাবে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়ান সেটা নজরে রাখেন পোলিং অফিসার এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

এছাড়া ভোট কক্ষে ভোটারদের ভিড় হতে না দেয়া বা গোপন কক্ষে একাধিক ব্যক্তির প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করেন এই পোলিং অফিসাররা।

নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা
ভোটগ্রহণের দিন যেকোনো ভোটকেন্দ্র, এমনকি প্রয়োজনে সব ভোটকেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধসহ নির্বাচনের যেকোনো পর্যায়ে সামগ্রিক নির্বাচন বন্ধ করতে পারে নির্বাচন কমিশন।

যদি নির্বাচনে বলপ্রয়োগ, ভীতিপ্রদর্শন, ভোটকেন্দ্র অবৈধ দখল, ব্যালট ছিনতাই, জোরপূর্বক অন্যের ভোট প্রদান, চাপ সৃষ্টিসহ বিধি বহির্ভূত যেকোনো অপরাধ সংগঠিত হয় এবং সেগুলো সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়।

সর্বোপরি নির্বাচন কমিশন যদি মনে করে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ পরিবেশ নেই তাহলে ভোট গ্রহণ শুরুতে কিংবা মাঝপথেই বাতিল হতে পারে।

এছাড়া ভোট সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনীয় নির্দেশাবলী জারি করতে পারে, অন্যান্য আদেশ প্রদান করতে পারে, ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে।

নির্বাচন কমিশন দেশি-বিদেশি যেকোনো ব্যক্তিকে লিখিতভাবে পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনের অনুমোদন দিতে পারবে।

তবে ওই ব্যক্তি এমন কেউ হবেন, যিনি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনও বিশেষ রাজনৈতিক দল, ভাবাদর্শের সঙ্গে সংযুক্ত নন।

রিটার্নিং কর্মকর্তার ক্ষমতা কী
যদি প্রিজাইডিং অফিসার কোন ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হতে না পারেন বা দায়িত্ব পালনে অক্ষম হন তাহলে রিটার্নিং অফিসার সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার বা পোলিং অফিসারদের মধ্য থেকে যেকোনো একজনকে প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য বলবেন।

রিটার্নিং অফিসার চাইলে প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার বা পোলিং কর্মকর্তাকে ভোট চলাকালীন দায়িত্ব থেকে বিরত রাখতে পারেন।

এক্ষেত্রে তাকে লিখিতভাবে কারণ দেখাতে হবে। এবং তিনি এই আদেশ দেয়ার প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবেন।

মনোনয়নপত্র গ্রহণ, বাছাই বা প্রত্যাহার সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম রিটার্নিং অফিসারের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কোন কারণে নির্ধারিত তারিখে সম্পন্ন করা সম্ভব না হলে তিনি ওই কার্যক্রম স্থগিত করতে পারবেন। এবং কমিশনের অনুমতি নিয়ে পরবর্তী তারিখ ধার্য করতে পারবেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ করে থাকেন। অনেক সময় তারা লটারির মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত নেন। এ বিষয়ে তার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।

প্রিজাইডিং অফিসার যদি কোন ভোটকেন্দ্রের ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দেন তাহলে বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানাতে হবে। এবং রিটার্নিং কর্মকর্তা বিষয়টি কমিশনকে অবহিত করবে।

তবে ওই নির্বাচনী এলাকার ফলাফল সন্তোষজনক না হলে নির্বাচন কমিশন ওই ভোটকেন্দ্রে নতুনভাবে ভোট গ্রহণের নির্দেশ দিতে পারে।

সেক্ষেত্রে রিটার্নিং কর্মকর্তা নতুন ভোটগ্রহণের তারিখ, সময় ও স্থান নির্ধারণ করবেন এবং এ বিষয়ে একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করবেন।

প্রিজাইডিং কর্মকর্তার ক্ষমতা কী
প্রিজাইডিং অফিসার মূলত দেখেন ভোটগ্রহণের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবকিছু নিয়ম ও আইনানুযায়ী সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হচ্ছে কি না।

এজন্য তারা কেন্দ্রে নিয়োজিত পোলিং অফিসার এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় ভোটকেন্দ্রে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা রক্ষা করে থাকেন।

ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা সব কর্মকর্তাদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন তারা।

পুরো ভোট প্রক্রিয়া চলার মধ্যে কোন ভোট কর্মকর্তার মোবাইল ফোন ব্যবহারের অনুমতি নেই।

শুধুমাত্র প্রিজাইডিং অফিসার এবং আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা প্রধান কর্মকর্তা নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কাজে যোগাযোগের জন্য মোবাইল রাখতে পারেন।

কোন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার অথবা পোলিং অফিসার তার দায়িত্ব পালনে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হতে না পারলে বা ব্যর্থ হলে প্রিজাইডিং অফিসার তার ক্ষমতাবলে তাৎক্ষণিকভাবে এমন কোন ব্যক্তিকে প্রিজাইডিং অফিসার বা পোলিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দিতে পারবেন যিনি কোন প্রার্থী নন, বা তার সঙ্গে কোন প্রার্থীর কোন সম্পর্ক নেই।

ইভিএম ব্যবস্থায় প্রিজাইডিং অফিসারের ক্ষমতা কী
এবারে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম ব্যবহার করা হচ্ছে।

অর্থাৎ এবার কোন কাগজের ব্যালট বা ব্যালট-বক্স থাকবে না।

ইভিএম ব্যবস্থায় প্রিজাইডিং কর্মকর্তা কী ধরণের ক্ষমতা রয়েছে?

ভোটাররা ব্যালটে সিল দেয়ার পরিবর্তে ইভিএমে পছন্দের প্রতীকের পাশের বাটন চেপে ইলেক্ট্রনিক ব্যালটে তাদের ভোট প্রদান করবেন।

অনিবার্য কারণে কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করতে পারেন একজন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা। ইভিএমে সেই নির্দেশক দেয়া আছে।

প্রিজাইডিং অফিসার তার আঙ্গুলের ছাপের মাধ্যমে ইভিএমে সাময়িক বা স্থায়ীভাবে ভোট স্থগিত করতে পারেন।

স্থায়ীভাবে একবার ভোট স্থগিত করলে ওই ইভিএমে আর ভোটগ্রহণ করা যাবে না।

তাই এবারের নির্বাচনে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা এবং সহকর্মী প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের ইভিএম এর কারিগরি দিক ও ব্যবহার সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খ ধারণা রাখতে হবে।

একজন ভোটার যখন ভোটকেন্দ্রে আসবেন তখন ইভিএম এর কন্ট্রোল ইউনিটের মাধ্যমে তার পরিচয় আঙ্গুলের ছাপ নেয়ার মাধ্যমে অর্থাৎ বায়োমেট্রিক্যালি যাচাই করা হবে।

ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার যদি ওই ব্যক্তির আঙ্গুলের ছাপ গ্রহণ না করে স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে ভোটারের তথ্য যাচাই করা হবে।

এরপর সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নিজের আঙুলের ছাপ প্রদান করে ভোটারকে ভোট প্রদানের অনুমতি দেবেন, বা ইলেকট্রনিক ব্যালট ইস্যু করবেন।

প্রিজাইডিং অফিসারের অনুমোদন ছাড়া আর কেউ এই অনুমোদন দিতে পারবেন না।

ভোটার যদি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, প্রবীণ, পঙ্গু অর্থাৎ যার পক্ষে একা একা ভোট দেয়া সম্ভব না; সেক্ষেত্রে তার সঙ্গে একজন সহায়ক ব্যক্তিকে রাখার জন্য প্রিজাইডিং অফিসারের অনুমতি নিতে হবে।

কোন ব্যক্তি নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত হলে তার নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ পরবর্তীতে তাকে নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে কোন দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে বাধা দিতে পারবেনা বা বিরত রাখতে পারবেন না।

ভোটকেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসারের ক্ষমতা
একসঙ্গে কতজন ভোটার একটি ভোটকক্ষে প্রবেশ করতে পারবেন সেটা কমিশনের নির্দেশ সাপেক্ষে নির্ধারণ করবেন প্রিজাইডিং অফিসার।

তবে ভোট চিহ্ন দেয়ার সময় একাধিক ভোটারকে একসঙ্গে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।

প্রিজাইডিং অফিসার নিশ্চিত করেন যে ভোটার তালিকাতে যাদের নাম আছে শুধুমাত্র তারাই ভোটে অংশ নিচ্ছে।

এজন্য শুধুমাত্র অনুমোদিত ব্যক্তি ছাড়া ভোটকেন্দ্রে অন্যদের প্রবেশাধিকার তারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করেন।

এর কোথাও কোন গাফিলতি দেখলে অথবা জরুরি পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রয়োজন অনুযায়ী তারা ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষমতা রাখেন।

অন্যদিকে কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে বা আইন বহির্ভূত, অপ্রত্যাশিত কাজ করলে প্রিজাইডিং অফিসারের নির্দেশনা অনুসারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের ভোটকেন্দ্র থেকে অপসারণ করতে পারবে।

ভোটকেন্দ্র থেকে অপসারিত ওই ব্যক্তি যদি ভোটকেন্দ্রে কোন অপরাধে অভিযুক্ত থাকেন তাহলে তার বিরুদ্ধে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির ক্ষেত্রে যে ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়, তেমন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তাদের নির্বাচিত এজেন্ট অথবা পোলিং এজেন্ট যদি মনে করেন ভোট দিতে আসা কোন ব্যক্তি তালিকাভুক্ত ভোটার নয়, তাহলে প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে তারা আপত্তি জানাতে পারেন।

সেক্ষেত্রে প্রিজাইডিং অফিসারের সিদ্ধান্তই হবে চূড়ান্ত।

কিছু বিশেষ পরিস্থিতিতে একজন প্রিজাইডিং অফিসার ভোটগ্রহণ বন্ধ করার ক্ষমতা রাখেন।

প্রিজাইডিং অফিসারের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কোন কারণে ভোটগ্রহণ বাধাগ্রস্ত হলে, ভোটকেন্দ্রের কোন ব্যালট বক্স প্রিজাইডিং অফিসারের হেফাজত থেকে বেআইনিভাবে অপসারণ করা হলে বা দুর্ঘটনাক্রমে ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা ইচ্ছাকৃতভাবে নষ্ট করা হলে বা হারিয়ে গেলে ওই ভোটকেন্দ্রে ফলাফল নির্ধারণ করা যাবে না।

এছাড়া নির্বাচনের ফলাফল সরকারিভাবে ঘোষিত না হওয়া পর্যন্ত কোন প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার বা পোলিং অফিসারদের, রিটার্নিং অফিসারের অনুমোদন ছাড়া সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের বাইরে বদলি করা যাবে না।

আইন ও দণ্ড
কোন ব্যক্তি ভোটগ্রহণের দিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১২টা এবং পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে ওই নির্বাচনী এলাকায় (ভোটকেন্দ্রের ৪০০ গজ ব্যাসার্ধের মধ্যে) কোন জনসভা আহ্বান, অনুষ্ঠান, মিছিল শোভাযাত্রা বা বিশৃঙ্খল আচরণ করে; অথবা নির্বাচনের কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তিকে ভয়ভীতি দেখায় কিংবা অস্ত্র বা শক্তি প্রদর্শন করে তাহলে অভিযুক্তকে ছয় মাস থেকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হতে পারে।

রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি ছাড়া কোন প্রার্থী যদি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে ভোট প্রদানে নিরুৎসাহিত করে বা এ সংক্রান্ত কোন নোটিশ বিজ্ঞাপন বা ব্যানার প্রদর্শন করে তাহলে ওই ব্যক্তির ছয় মাস থেকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়া হতে পারে।

এক্ষেত্রে প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা ওইসব নোটিশ, বিজ্ঞাপন, ব্যানার ও পতাকা অপসারণ করতে পারবেন।

ভোটের দিন কেউ উচ্চ শব্দ সৃষ্টিকারী যন্ত্র ব্যবহার করলে প্রিজাইডিং অফিসার নিজ ক্ষমতা বলে সেগুলো জব্দ করতে পারবেন।

ভোটগ্রহণের দিন কেউ যদি প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার বা ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বপালনরত অন্য কোন ব্যক্তির দায়িত্ব পালনে বাধার সৃষ্টি করে তাহলে ওই ব্যক্তিকে ছয় মাস থেকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়া হতে পারে।

ভোটের দিন ভোটকেন্দ্রে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা বিনষ্ট করতে কেউ যদি অপরাধ করে তাহলে ওই ব্যক্তিকে একজন রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার এবং পুলিশ বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করার ক্ষমতা রাখেন।

এছাড়া আইন ও বিধিমালার অধীন দায়িত্ব পালনের জন্য তারা যুক্তিসঙ্গতভাবে প্রয়োজনীয় বল প্রয়োগসহ যেকোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবেন। সূত্র: বিবিসি বাংলা

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর