১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ১৩:৪৬

সাংবাদিকদের অবরুদ্ধ ও হেনস্তা ছাত্রলীগ নেতার, পুলিশের উপস্থিতিতে মুছে দিল তথ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাংবাদিকদের অবরুদ্ধ ও হেনস্তা ছাত্রলীগ নেতার, পুলিশের উপস্থিতিতে মুছে দিল তথ্য

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটের তথ্য সংগ্রহে গিয়ে ঘণ্টাব্যাপী অবরুদ্ধ ও শারীরিকভাবে হেনস্তার শিকার হলেন দুই সাংবাদিক। তারা হলেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের মাহবুব মমতাজী ও বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড-এর নুরুল আমিন জাহাঙ্গীর।

শনিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে গেন্ডারিয়া থানাধীন ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলূম ফরিদাবাদ মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী দুই সাংবাদিক অভিযোগ করেন, বেলা পৌনে ১১টার দিকে তারা নির্বাচনী তথ্য সংগ্রহের কাজে ওই মাদ্রাসায় যান। এক পর্যায়ে তারা মাদ্রাসার দোতলা ও তিনতলার বুথে যান। সেখানকার একটি বুথে কাউন্সিলর প্রার্থীদের ভোট প্রদান শেষে দুই ভোটারকে বের করে দেয় কোমারে অস্ত্র নিয়ে কেন্দ্রে অবস্থান করা গেন্ডারিয়া থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রিয়াদ। ওই দু'জন বার বার অনুরোধ করে বলছিলেন, ''আমরা নৌকার সমর্থক এবং নৌকা মার্কায় ভোট দিতে চাই।'' এ সময় রিয়াদ তাদের বলেন, নৌকায় ভোট হয়ে গেছে, চলে যান।

সাংবাদিকরা জানান, ''এরপর আমরা ওই দুই ভোটারের ছবি তুলি এবং তাদের মতমত নিই। এরই মধ্যে ছাত্রলীগ নেতা রিয়াদ এসে আমাদের জামার গলার ধরে টানাহেঁচড়া এবং ভোট পরিদর্শন কার্ড ছিঁড়ে ফেলার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে রিয়াদ তার সহযোগীদের দিয়ে আমাদের জোরপূর্বক আটকিয়ে রেখে আমাদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এবং আমরা প্রায় ঘণ্টাব্যাপী অবরুদ্ধ থাকি।''

ভুক্তভোগী দুই সাংবাদিক আরও অভিযোগ করেন, অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত হয়ে মোবাইল উদ্ধারের জন্য আমরা কেন্দ্র ইনচার্জ গেন্ডারিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মাহমুদ এবং সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আরিফকে বিষয়টা জানায়। কিন্তু তারা বলেন, ''ছাত্রলীগ নেতাকে কিছু বলতে পারব না।'' পরে দুই সাংবাদিক প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে যান। কিন্তু তারাও অপরাগতা প্রকাশ করেন। সবশেষে ছাত্রলীগ নেতা রিয়াদ ও তার সহযোগীরা বেলা ১২টার দিকে পুলিশের ওয়ারি জোনের এসির উপস্থিতিতে সাংবাদিকদের মোবাইলের পাসওয়ার্ড নিয়ে যাবতীয় তথ্য মুছে দেয়।
 
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর