২ এপ্রিল, ২০২৪ ২০:৩৭

আমি পেয়েছি যে পতাকা!

প্রফেসর ড. এ বি এম জহিরুল হক

আমি পেয়েছি যে পতাকা!

প্রফেসর ড. এ বি এম জহিরুল হক

আমি পেয়েছি এক সুন্দর পতাকা!

সবুজের বুকে লাল সূর্য আঁকা

এ পতাকা আমার গৌরব-আমার অহংকার
প্রতিজ্ঞাবদ্ধ আমি এর মর্যাদা রক্ষার।
এ পতাকার জন্য রক্ত দিয়েছে কত বীর বাঙালি
সম্ভ্রম খুইয়েছে কত কন্যা-ভগ্নি, জায়া-জননী!

মনে পড়ে যায় সেদিনের কত কথা
মনে পড়ে বাঙালির অপূর্ব বীরত্বগাথা!
মনে পড়ে মহান নেতার কথা-তাঁর বলিষ্ঠ উচ্চারণ,
“তোমরা তৈরি থাকো, ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল সবার
আমি যদিও না পারি আর হুকুম দেবার-
উদ্যত থাকুক তোমাদের লাঠি আর শানিত তলোয়ার
শত্রুর বুকে হান কঠিন আঘাত বজ্রসম
চূর্ণ কর তাদের সকল লালসা আর দম্ভ”!

আমরা সফল হয়েছি, দেশ হয়েছে হানাদার মুক্ত
উড়ছে সেই লাল-সবুজ পতাকা সর্বত্র!
হে মহান নেতা-পবিত্র এ পতাকা তুমিই আমাদের হাতে দিয়েছে তুলে
পতাকা উড়ছে স্বাধীন বাংলাদেশের মুক্ত আকাশে!
তুমি চলে গেছ অনেক দূরে অনন্ত লোকে
তোমার অনেক কাজ-অনেক স্বপ্ন পিছে ফেলে!
বেঈমান ঘাতকের বুলেট ধূলিসাৎ করে দিল সকল স্বপ্ন তোমার
থমকে গেল পবিত্র ইচ্ছেগুলো-বাংলাদেশকে সুন্দর করে সাজাবার।
সরল তুমি সকলকে কত বিশ্বাস করতে!
কোন বাঙালি আঘাত করবে তোমায়
এ কথা পারনি কখনো মানতে।
তাই তুমি ধানমন্ডির বাসা চাওনি কখনো ছাড়তে
চেয়েছিলে সাধারণের হয়ে তাদের মাঝে থাকতে,
চেয়েছিলে তোমার শখের পারাবাতগুলোর দেখভাল করতে!
ওরা যে শাস্তি দূত, তুমি বিশ্বাস করতে-
ওরা চায় তোমার সান্নিধ্যে থাকতে!
তবুও তোমায় যেতে হলো দূরে শত্রুর বুলেটে
অকুতোভয় তুমি অভিমানে বুক পেতে দিলে;
তোমার শাস্তির পারাবাতগুলো না জানি কত কাঁদলে
কাঁদলে মর্মাহত বাঙালি জাতি সারাদেশে।

তোমার যে বাড়ি ধারণ করে আছে তোমার শত স্মৃতি
সংরক্ষণ করেছে সে তোমার পবিত্র রক্তের দাগ-
আরও কত অমূল্য সামগ্রী!
বুকে তার জ্বলছে কত বিষ-জ্বালা
তবুও সে হয়েছে ধন্য! হয়ে আছে আজও
“ধানমন্ডির ৩২ নম্বর শহীদ সংগ্রহ-শালা”।
জাতির জনক হে নেতা মহান
আমরা ভুলিনি তোমার অমর কীর্তি অসাধারণ-
মুক্তিকামী তুমি আপসহীন, সংগ্রাম করেছ আজীবন
জাতি সদা শ্রদ্ধাভরে করে তোমার কথা স্মরণ!

লেখক : প্রাক্তন চেয়ারম্যান, মনোবিজ্ঞান বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।


বিডি প্রতিদিন/এমআই

সর্বশেষ খবর