২ অক্টোবর, ২০১৭ ১৮:২২

রোহিঙ্গা নির্যাতনের প্রতিবাদে মিশরে মিয়ানমার দূতাবাসে হামলা

অনলাইন ডেস্ক

রোহিঙ্গা নির্যাতনের প্রতিবাদে মিশরে মিয়ানমার দূতাবাসে হামলা

সংগৃহীত ছবি

আরাকানে নিরীহ রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদে মিশরে মিয়ানমার দূতাবাসে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে 'হাজম' নামে একটি জঙ্গিগোষ্ঠী।

রাজধানী কায়রোতে শনিবার এ বিস্ফোরণ ঘটার পর দিন রবিবার এর দায় স্বীকার করে হাজম।

তবে মিশরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শনিবারের ঘটনা সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি। স্থানীয় অধিবাসী ও গণমাধ্যম প্রাথমিকভাবে এ বিস্ফোরণকে গ্যাস পাইপলাইন দুর্ঘটনা বলে জানিয়েছিল।

তবে নিরাপত্তা বাহিনীর দুটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছে, ঘটনাস্থলে বিস্ফোরকের আলামত পেয়েছেন তারা।

অন্যদিকে এক বিবৃতিতে হাজম জঙ্গিরা বলেছে, এ বোমা বিস্ফোরণ মুসলিম অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যে হত্যাকারী, নারী ও শিশুদের হত্যাকারী দূতাবাসের জন্য একটি সতর্কসংকেত। আর এ হামলা দুর্বল মুসলিম জনগোষ্ঠীটির মানুষের প্রতি সংহতিও।

গত বছর থেকে কায়রোতে বিচারক ও পুলিশের ওপর একাধিক হামলার জন্য দায়ী জঙ্গিগোষ্ঠী হাজম এই প্রথম কোনো বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণের দাবি করল।

হাজম এক বিবৃতিতে বলেছে, আমরা এ অভিযান চালানোর সময় খেয়াল রেখেছি যেন কোনো বেসামরিক নাগরিক বা নিরীহ মানুষ যাতে হতাহত না হয়। নতুবা  আপনারা এক জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ড দেখতেন, যা নিবারণ করা সম্ভব হতো না।

মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র জ হাতেয় টুইটারে এক পোস্টে দেশটির নাগরিকদের বিদেশে সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা করতে বলেছেন।

গত ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের সঙ্গে মিয়ানমারের পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনার পর থেকে দেশটির সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে হাজার হাজার রোহিঙ্গা নিহত ও ধর্ষিত হয়েছে। প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে অন্তত পাঁচ লাখ সাত হাজার মানুষ।

রোহিঙ্গাদের সেনাবাহিনীর এ দমনাভিযানকে জাতিসংঘ পাঠ্যবইয়ে লিখে রাখার মতো ভয়াবহ জাতিগত নিধন আখ্যা দিয়েছে। বাংলাদেশ ও ফ্রান্সসহ বিশ্বের বহু দেশ বলছে-  মিয়ানমার রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর গণহত্যা চালাচ্ছে।

বিডিপ্রতিদিন/ ২ অক্টোবর, ২০১৭/ ইমরান জাহান

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর