সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ০০:০০ টা

যে কারণে ঢাকা শহরই নাম্বার ১

বসবাসের অযোগ্যতার তালিকায় ৩৮.৭ নাম্বার পেয়ে আমাদের ঢাকা শহর এক নাম্বারে উঠে এসেছে। ব্যাটারা বোধহয় জানে না আমরা আরও কত কিছুতে এক নাম্বারে আছি...

যে কারণে ঢাকা শহরই নাম্বার ১

যানজট

ঢাকার কথা বলতে গেলে প্রথমেই যে দৃশ্যটা মাথায় আসে তা হলো যানজট। এক গাড়ির যাত্রী বা ড্রাইভার জানালা দিয়ে মাথা বের করে অন্য গাড়ির যাত্রী বা ড্রাইভারের সঙ্গে কুশল বিনিময় করছে, ভালো মন্দ খোঁজখবর নিচ্ছে। এ যে সম্প্রীতি জ্যাম না থাকলে কি সম্ভব হতো? বিশ্বের অন্য যে শহরে জ্যাম নেই তারা কি পারে জানালা দিয়ে মাথা বের পাশের ড্রাইভারকে 'বালা আচুইন' জিজ্ঞেস করতে? এমন করলে দেখা যাবে ধরে মাথা নেই, মাথা অন্য গাড়ির জানালায় আটকে আছে। তাহলে ভাবুন আমাদের জ্যাম, আমাদের ঢাকা কত্ত ভালো।

 

ছিনতাই

ছিনতাই ঢাকাবাসীর অতি নিকটাত্দীয় বলতে পারেন। কত আইন এলো-গেল ছিনতাই কিন্তু রয়েই গেল। এ ছিনতাইয়ের কারণে আপনার পুরনো মোবাইল, ল্যাপটপ হাতছাড়া হওয়ায় এগুলো নতুন করে কিনতে হয়। ফলে প্রযুক্তির আপডেট ভার্সনের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। এভাবেই আমরা হয়ে উঠছি প্রযুক্তিবান্ধব। একবার ভাবুন তো, আপনার নকিয়া ১১০০ মডেলের হ্যান্ডসেটটা ছিনতাই না হলে কি আন্ড্রুয়েড স্ট্রবেরি, আইস্ক্রিম, জেলিবিন ভার্সনের সঙ্গে পরিচিত হতে পারতেন? ছিনতাইয়ে ঢাকাই সেরা।

 

মলম পার্টি

বাস বা সিএনজিতে উঠলে মাঝে মাঝে যাত্রীদের মাথাব্যথা, বমি ভাব, অস্থির লাগার মতো নানা রোগের উপসর্গ দেখা যায়। তাদের এ অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে মাথায় চোখে মলম মেখে দেওয়ার জন্য আছে কত মলম পার্টি। তারা কিন্তু মলম মেখে দেওয়ার মজুরি বা মলমের দাম কখনোই দাবি করে না। নীরবে নিভৃতে হেল্প করে যায় যাত্রীদের। এমন নির্ভেজাল সেবাদানকারী মানুষজন আর কোথাও পাওয়া যাবে?

 

ম্যানহোল

আমাদের ঢাকায় পদে পদে আছে ম্যানহোল। যার অধিকাংশেরই ঢাকনা নেই। এর ফলে ঢাকার নাগরিকদের চলাফেরা করতে হয় চোখ-কান খোলা রেখে। এমন দেখেশুনে পা বাড়ানোর মতো পরিবেশ বিশ্বের আর কোনো শহরে আছে? কিছু মানুষ এই ম্যানহোল লাগানোর জন্য চাকরি করছে। কিছু মানুষ আবার সেগুলো তুলে নিয়ে বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছে। যারা সেগুলো কিনছে তারা আবার বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছে। সামান্য একটা ম্যানহোল এতগুলো মানুষের কর্মসংস্থান করে দেয় এমন শহর আর কোথাও আছে?

 

 

সর্বশেষ খবর