সোমবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০১৫ ০০:০০ টা

শীতের ভিলেন যারা

আসুন পরিচিত হয়ে নেই শীতের ভিলেনদের সঙ্গে। এদের সঙ্গে পরিচয় থাকলে একটু সাবধান হওয়া যাবে। জনৈক কবি বলেছেন, সাবধানের মাইর নেই।

শীতের ভিলেন যারা

ঠাণ্ডা পানি-

বউ এক সপ্তাহও ধরে কান্নাকাটি করেও একটা টাপুর টুপুর শাড়ি বা রাশি গহনা কিনে নিতে পারে নাই স্বামীর থেকে। বাপের বাড়ি চলে যাওয়ার হুমকি দিতেই স্বামী হাতে সিএনজি ভাড়া ধরিয়ে দিয়েছে। না খেয়ে থাকার হুমকি দিতেই বাজার করা বন্ধ করে রোজ হোটেল থেকে খেয়ে বাসায় ফিরছে। এমন ঘাড় ত্যাড়া স্বামীও সরল দোলকের মতো সোজা হয়ে দুলতে থাকবে স্ত্রীর ছোট একটা হুমকিতে। 'আমাকে গহনা কিনে দিবা না ঠাণ্ডা পানি ঢেলে দেব গায়ে', এই হুমকিতে হার মানে না এমন মহাপুরুষ মিলবে কি? পকেটে পাঁচ টাকার কয়েন থাকলে সেটা বাঁচাতে চাকুধারী ছিনতাইকারীর সঙ্গে দেড় ঘণ্টা জাপটাজাপটি করে, এমন পালোওয়ানও লাখ টাকা অনায়াসে ছেড়ে দেবে যদি টাকা না দিলে গায়ে ঠাণ্ডা পানি ঢেলে দেওয়ার ভয় দেখানো যায়। সুতরাং বুঝলেন তো শীতের মৌসুমে ঠাণ্ডা পানি কোন লেবেলের মাস্তান?

 

মোটা জ্যাকেট-

খেয়ে না খেয়ে সিক্সপ্যাক বডি বানালেন। দিনে-রাতে আলগা ভাব দেখিয়ে দু'চারটা গার্লফ্রেন্ড জুটিয়ে ফেলবেন, এমনটাই যখন লক্ষ্য, তখন যদি চলে আসে শীতকাল কেমন লাগে? সারাক্ষণ মোটা জ্যাকেট পরে থাকতে হয়। সিক্সপ্যাক হয়েও আপনার পেট দেখা যায় আধা মণ অজনি ভুঁড়ির মতো? গার্লফ্রেন্ড জোটা তো বহু দূরের কথা বরং লাইনে থাকাগুলোও বেলাইনে চলে যায় এই ভুঁড়ির কল্যাণে! তবে কি আপনি মোটা জ্যাকেটকে ভিলেন হিসেবে মানবেন না?

 

শীতল হাওয়া-

আর কেউ মানুক বা না মানুক নিজে মানেন যে আপনি বড় কবি। কারণ বারান্দায় বসে শীতল হাওয়া খেতে খেতে কবিতা লেখা আপনার স্বভাব। সত্যি যদি এমনটা হয়ে থাকে তাহলে ভাই আপনি সেরেছেন। শীতের ভয়াবহ এক ভিলেনের সঙ্গে সরাসরি আপনাকে লড়তে হবে। এক- দুই দিন বারান্দার শীতল হাওয়ায় বসলে দেখবেন ট্রাফিক জ্যাম রাস্তা থেকে ডাইভার্ট হয়ে আপনার নাকে মাথায় ভর করেছে। মিষ্টি সুরে কথা বললেও তা শোনাবে মামদো ভূতের মতো। মানে ভূতদের মতো নাকে নাকে কথা বলতে হবে।

এসি-

বাসায় নতুন মেহমান এসেছে। মেহমানের সামনে আভিজাত্য দেখাতে হলে অবশ্যই নতুন এসির বাতাস খাওয়াতে হয়। শীতে যদি এসি ছেড়ে বসেন ইজ্জত নিয়ে টানাহ্যাচড়া শুরু হয়ে যাবে।

 

সর্বশেষ খবর