সোমবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

মশা নিয়ে মশকরা

মশা নিয়ে মশকরা

রাতেও মশা, দিনেও মশা : আগে দিনেরবেলা এরা আন্ডারগ্রাউন্ডে অর্থাৎ ম্যানহোলে আÍগোপন করে থাকত। রাতে বেরিয়ে আসত। এখন দিনরাত সবসময়ই এদের সমান আনাগোনা। রাতে বরং এদের আনাগোনা থেকে বাঁচার জন্য মশারির ভিতর আশ্রয় নেওয়া যায় কিন্তু দিনেরবেলায় মানুষের দিবানিদ্রার অরক্ষিত অবস্থার সুযোগ নিয়ে দিব্যি হুল ফুটিয়ে দেয় মশা। অবাধে চুষে নেয় তাজা রক্ত। এ জন্যই বলা হয় ‘মশার সঙ্গে আমাদের রক্তের সম্পর্ক’! মশারিতে বন্দী মানুষ : বাঘের হাত থেকে বাঁচার জন্য মানুষ বাঘকে খাঁচার ভিতর বন্দী করে রাখে। আর মশার কামড় থেকে বাঁচার জন্য নিজেকেই মশারির ভিতর বন্দী করে রাখে। তবে মশারি টাঙিয়েও সবসময় মশার কবল থেকে নিস্তার পাওয়া যায় না। কি এক রহস্যময় উপায়ে (ফাঁকফোকর দিয়ে) এরা ঠিকই মশারির ভিতর ঢুকে পড়ে। এরা কানের কাছে ভোঁ-ভোঁ শব্দ করে মানুষের ঘুমের বারোটা বাজায়। আগে যাও এরা কয়েল, এরোসলকে কিছুটা ভয় করত। এখন এরা কয়েলের ওপর বসে রেস্ট নেয় রীতিমতো।

মশা নিয়ে মশকরা : মশা ক্ষতিকর এবং বিরক্তিকর পতঙ্গ হলেও মশা নিয়ে মশকরাও কম করা হয় না।

যেমন জনৈক ব্যক্তির স্ত্রী হয়তো স্বামীর গালে সজোরে একটি থাপ্পড় মেরে বসল। স্বামী বেচারা রীতিমতো হতবাক। এমন সময় স্ত্রী মিষ্টি হেসে বলল, তোমার গালে একটা মশা বসেছিল, তাই...! এক্ষেত্রে স্ত্রীর হাতে চড় খেয়েও তা নীরবে হজম করা ছাড়া আর কিইবা করার আছে ।

মশা এবং মানুষকে এখন এক টেবিলে আলোচনায় বসতে হবে। মশার প্রতি মানুষের দাবি, তোমরা হুল ফুটাতে পারবে, তবে কানের কাছে কিছুতেই ভোঁ ভোঁ শব্দ করে সংগীত পরিবেশন করতে পারবে না।                              

-মিতুল খান

দক্ষিণ সেওতা, মানিকগঞ্জ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর