সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

ইচ্ছাশক্তির সাইড ইফেক্ট

তানভীর আহমেদ

ইচ্ছাশক্তির সাইড ইফেক্ট

বইমেলায় প্রচুর বই এসেছে। নতুন নতুন বইয়ের খোঁজে মানুষও গিজগিজ করছে সেখানে। ইদানীং বই বিক্রিও বেড়েছে। খুবই ভালো কথা।

এই যে প্রতিদিন ফুরফুর করে বই আসছে সেগুলোর  বিষয়বৈচিত্র্য দেখে চোখ কপালে উঠে যাওয়ার অবস্থা। যার যা ইচ্ছা তা নিয়েই লিখেছেন। ইচ্ছাশক্তির জোরে মানুষ অসম্ভবকে যে সম্ভব করতে পারে সেটার জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ হতে পারে এই বইগুলো। কেউ মাংস রাঁধতে গিয়ে মাংস পুড়িয়ে ফেলেছেন, তিনি লিখে ফেললেন রান্নার বই। এই বইয়ের স্পেশাল সংযোজন একটু ডিপ ফ্রাই মানে পোড়া পোড়া মাংস রান্না! কেউ বাংলাদেশের চরম গরম আবহাওয়া বিবেচনা করে গিয়েছিলেন সাইবেরিয়া। সাইবেরিয়ার কনকনে ঠাণ্ডায় টি-শার্ট আর জিন্স পরে বেচারার জান যায় যায় দশা। ফিরে এসে লিখেছেন রোমাঞ্চে ভরপুর ভ্রমণকাহিনী— মাইনাস জিরো ডিগ্রির দেশে! কেউ পত্রিকার খবর পড়ছিলেন। তার অন্যমনস্ক বন্ধু বললেন, বাহ, দারুণ তো কবিতাটি! বাজারে প্রচলিত মিথ বলছে, বাজারের ফর্দও আস্ত এক কবিতা। সেখানে গোটা খবরের কাগজ কোন ছাড়। বন্ধুর কথা শুনে লিখে ফেলেছেন শক্ত একখান কবিতার বই। এই চিত্র সর্বত্র। উপন্যাস-অপন্যাস, গল্প-সল্প, ছড়া থেকে বড়া কিছু বাদ নেই। সব লেখা হচ্ছে।

যাদের লিখতে কষ্ট হয় তারা বাদ যাবেন— এমনটা ভাবলে ভুল হবে। ইন্টারনেটের যুুগে বহু লেখা খোলা পড়ে আছে। দু-তিনটি বই থেকে টান মেরে, কয়েক লাইন আগে-পিছে, মলাটবন্দি করে দিতে পারলে বইয়ের মতো কিছু একটা দাঁড়িয়ে যায়। যারা এসব লেখেন ও প্রকাশ করেন তারা হয়তো জানেন না সস্তার তিন অবস্থা। যারা এটা জেনেও ইচ্ছাশক্তির জোরে তিন অবস্থা সামলে নিচ্ছেন তাদের জন্য একটা শিক্ষণীয় ঘটনা—

প্রেমিকার জন্য আংটি কিনতে জুয়েলারির দোকানে গেছে এক ছেলে।

ছেলেটি : একটা আংটি দেখান তো। আমার হবু বউকে দেব।

দোকানদার : দামি কিছু দেখাব?

ছেলেটি : আরে না, কম দামি হলেই হবে। কোনোমতে বিয়েটা সেরে ফেলতে পারলেই হলো। অত দামি আংটি দিয়ে কী লাভ?

পরদিন প্রেমিকার বাবার সঙ্গে দেখা করতে তার বাড়িতে গেল ছেলেটি।

প্রেমিকা : একি, মাথা নিচু করে আছ কেন? তুমি যে এত লাজুক, তা তো আমার জানা ছিল না!

ছেলেটি : আমারও জানা ছিল না, তোমার বাবা একজন জুয়েলারির দোকানের বিক্রয়কর্মী!

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর