সোমবার, ২৮ মার্চ, ২০১৬ ০০:০০ টা

সিনেমায় মাথা নষ্ট করা লজিক

ইয়াছিন খন্দকার লোভা

সিনেমায় মাথা নষ্ট করা লজিক

♦ চাকর বা রাখালের ছেলের সঙ্গে কোনোভাবেই বড়লোকের মেয়েকে বিয়ে দিতে চায় না। দেখা যায় বাবা তার সন্তানকে প্রেম ভালোবাসা ভুলে যাওয়ার জন্য, পড়াশোনা করার জন্য বিদেশে পাঠিয়ে দেন। আবার একসময় পড়াশোনা শেষ করে দেশে ফিরে এসে প্রিয়জনকে খুঁজে বেড়ান।

 

♦ ভিলেন কোনো এক ঘটনাকালের বিশ বছর পার হয়ে যাওয়ার পর নায়কের বাবা মায়ের কাছ থেকে হিসাব-নিকাশের সমাধান চেয়ে নেন। তা দেখে নায়ক তার বাবা-মাকে ভিলেন অপমান করছে বলে বার বার রেগে, বাবা-মা আর ছেলে মিলে বহুত চিল্লাচিল্লি করে থাকেন।

 

♦ জায়গা সম্পত্তি কীভাবে কেড়ে নেওয়া যায় তার জন্য বিভিন্নরকমের ফন্দি খুঁজে নেন ভিলেন। কৌশলে নায়িকার বাবার ঘরের ভিতর ইঁদুরের মতো সংসারে অচেনা এক ব্যক্তিকে ঢুকিয়ে দিয়ে সব কেটেকুটে শেষ করে দেওয়া হয়।

 

♦ অবৈধ কাজে নায়ক যখন গুণ্ডাদের বাধা দিতে গিয়ে মেরে তক্তা বানাতে যায় তখন তাদের লিডার নায়কের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা মামলা সাজিয়ে নেয়। তারপর খুব দ্রুত ভিলেনের কেনা থানার ওসি নায়ককে অ্যারেস্ট করে নিয়ে যান।

 

♦ রাস্তাঘাটে সুন্দরী নায়িকাকে দেখে গুণ্ডাপাণ্ডা রাস্তার পথ আগলে দাঁড়ালে অথবা বন জঙ্গলে নায়িকাকে একা পেয়ে অপহরণ করতে চাইলে নায়িকা বাঁচাও বাঁচাও করে চিৎকার করে। তারপর হঠাৎ কোথা থেকে নায়ক এসে গুণ্ডাপাণ্ডাদের ডিসুম ডিসুম মেরে তক্তা বানিয়ে নায়িকাকে উদ্ধার করেন।

 

♦ কোনো কাজের অপরাধে নায়কের জেল হয়ে থাকে সাত বছর, দশ বছর ইত্যাদি। এত বছর জেল হওয়ার পরও নায়ক বুড়ো না হয়ে আগের মতোই জোয়ান হয়ে জেল থেকে বের হয়। নায়ক জেল থেকে বের হয়ে গুণ্ডাপাণ্ডাদের মেরে তক্তা বানিয়ে ফেলে।

 

♦ ছবির শেষাংশে বেশির ভাগই দেখা যায় নায়ক ভিলেনের সব কিছুই লণ্ডভণ্ড করে দেওয়ার পর নায়কের মা-বাবা আর ভাইবোনদের তুলে নিয়ে তাদের আস্তানায় বেঁধে রেখে প্রতিশোধ নিতে থাকে। পরে নায়কের কাছে ফোন করে ভিলেন বিষয়টি জানালে নায়ক ডিসুম ডিসুম কৌশল করে সব গুণ্ডাপাণ্ডাকে মেরে তার পরিবারকে উদ্ধার করে নেন।

সর্বশেষ খবর