ভাই, খবর কী?
: খুব গরম।
গরম বলতে, তাপমাত্রার কথা বলছেন?: জি না। দামের কথা বলছি।
এই যে পয়লা বৈশাখ এলেই আপনার দাম বাড়ে কেমন লাগে বিষয়টা?
: ভালোই লাগে। হুজুগে পাবলিকের বোকামি দেখতে কার না ভালো লাগে। আমি বুঝি না এই সময়টাতে ইলিশ না খেলে কী হয়।
না বোঝার কী আছে। মানে পয়লা বৈশাখে সকালে পান্তা দিয়ে ইলিশ খাওয়া... মানে একটা ভাব আছে না?
: এখানে ভাবের কী পাইলেন? যারা খাওয়ার তারা সারা বছরই খায়। সারা বছর চিকেন ফ্রাই, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খাওয়ার সময় এই ভাব কই থাকে?
বাদ দেন। যে হারে ইলিশের দাম বাড়ছে তাতে কয়েক বছর পর বাজারের পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে বলে মনে করেন?
: কয়েক বছর পর ইলিশ কেনার জন্য চাকরিজীবীরা আলাদা বোনাস চাইবে। এখন আঠার হাজার টাকা জোড়া পাচ্ছেন তখন সিঙ্গেল পাবেন। তার কয়েক বছর পর এক মাছ পাঁচজনে ভাগা দিয়ে কিনবেন। তার কয়েক বছর পর আর কেনা লাগবে না।
কেন? এ কথা আসছে কেন?
: যেভাবে জাটকা ধরছেন তাতে নদীতে আর ইলিশ পাবেন না। সোজা জাদুঘরে চলে যাবে।
বিষয়টা একটু বেশি গভীরে চলে গেল—
: গভীর জলের মাছ ভেবে নেন।
জনাব একটু খেপে আছেন মনে হচ্ছে? একটু রিলাক্স হোন। একটা মজার ঘটনা বলেন তো?
: সেদিন এক ভদ্রলোক ইলিশ মাছ কিনতে এসেছিল। বিক্রেতা বলল, জোড়া বারো হাজার টাকা। তিনি বারোশ টাকা দিয়ে এক জোড়া চান্দিনা ইলিশ মাছ কিনে ফেললেন।
এখানে মজার কী আছে? লোকটা ঠকল আর আপনি মজা পেলেন?
: ঠকার জন্য মজা পাইনি, পেয়েছি তার আক্কেল দেখে।
মানে?
: ইলিশের জোড়া বারো হাজার টাকা হয় কীভাবে, এটা একবার ভেবে দেখেছেন? আরে ভাই, আপনি ট্রলার ভাড়া করে পদ্মা থেকে নিজে ইলিশ ধরে আনলেও তো এত টাকা লাগত না।
কথাটা অবশ্য সত্য!