ইলিশের ছবি ডাউনলোড করে নিন—
কেউ যদি মনে করেন, পয়লা বৈশাখে ইলিশবিহীন থাকতে পারবেন না আবার ইলিশের দাম শুনলেও হার্টফেল করার শতভাগ সম্ভাবনা রয়েছে। তাদের জন্য উত্তম পন্থা হলো, সে যেন অবশ্যই ইলিশের বেশ কিছু ছবি ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে ছবিটা দেখে দেখেই নববর্ষ উদযাপন করে ফেলুন।
আগের রাতের গরম ভাত ভিজিয়ে রাখুন— নববর্ষ উদযাপন করবেন অথচ যারা পান্তা ভাত নিয়ে প্রচুর টেনশনে আছেন তাদের জন্য পান্তা ভাত রান্না করার সবচেয়ে সহজ রেসিপি এক্ষুনি বলে দিচ্ছি। পয়লা বৈশাখের আগের দিনে পরিমাণ মতো ভাত, যেটাকে পান্তা করতে চান, সেই ভাতগুলোকে যে কোনো সাইজের পাতিলের মধ্য পানির সাহায্যে পরদিন সকাল পর্যন্ত ভিজিয়ে রাখার ব্যবস্থা করুন। এবার সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখতে পাবেন সেই পাতিলের সব ভাতই আদর্শ পান্তা ভাতে রূপ নিয়েছে।
ইলিশ ফ্লেভার যুক্ত পারফিউম সংগ্রহ করুন— যারা ইলিশ মাছের ঘ্রাণ নাকে না নিয়ে পয়লা বৈশাখ উদযাপন করতে পারেন না, তাদের জন্য একটাই মাত্র উপায়— আপাত দৃষ্টিতে তারা যত দ্রুত সম্ভব ইলিশ মাছের ফ্লেভারযুক্ত পারফিউমের ব্যবস্থা করে নিলেই কেল্লাফতে। অতঃপর বাংলা নববর্ষ উদযাপন করুন।
অন্য কোনো মাছকে ইলিশ মনে করুন— অনেকেই আছেন যারা সরাসরিভাবে ইলিশের দেখা পেতে চান এবং তার পরেই নববর্ষ উদযাপনে মগ্ন হতে চান। তাদের ক্ষেত্রে একটাই উপায়— এ যাত্রায় ইলিশের ন্যায় দেখতে পাওয়া যায়, এমন যে কোনো মাছ ইলিশ মনে করে খেয়ে নিতে পারেন। এই যেমন পুটি মাছ, সিলভার কার্প মাছসহ ইত্যাদি মাছকে ইলিশের আশপাশের মাছ মনে করে নিলেই হলো।
কোনো হোটেলের আশপাশ দিয়েও ঘুরবেন না— পয়লা বৈশাখের দিন সবচেয়ে বেশি বিবেচনায় রাখবেন যে বিষয়টি তা হলো, এদিন কোনো খাবার হোটেলের আশপাশ দিয়ে চলাচল করা মোটেও সুবিধাজনক হবে না। কেননা ওই হোটেলের লোকেরা আপনাকে খুব সুন্দর ও সাবলীলভাবে ডেকে নেবে হোটেলের ভিতর।
তারপর দেখা যাবে, ইলিশ-পান্তা দিয়ে এক প্লেট ভাত খেতে দিয়েছে। এতদূর অবধি খুবই ভালো ছিল, কিন্তু যখনই এটার বিল স্লিপ হাতে ধরিয়ে দেবে, মনে হবে যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে! তাই এসব রিস্ক না নিয়ে বরং খাবার হোটেলের সীমার বাইরে থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।