কথা ছিল বনশিল্প করপোরেশন ১২ হাজার টাকা মূল্যের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে ৮৫০টি বক্সখাট দেবে। কিন্তু তারা দিয়েছে চৌকি। তবে একটু বুদ্ধি করে এই চৌকিগুলোকে বক্সখাটে পরিণত করা যাবে। সেই টিউটোরিয়াল দিচ্ছেন— কাসাফাদ্দৌজা নোমান
শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ চেয়েছিলো বক্স খাট। দুই বছর অপেক্ষার পর বনশিল্প কর্পোরেশন পাঠালো এই চৌকি। ৮৫০ টি বক্সখাট চেয়ে ৫৩০টি চৌকি পেয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ বাকি খাট আর দরকার নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে। ...আহারে!
উপায় এক
— টেবিল থেকে ড্রয়ার খুলে চৌকির সঙ্গে লাগিয়ে দিতে হবে। হয়তো একটা-দুইটা ড্রয়ারে কাজ হবে না। সেক্ষেত্রে অনেকগুলো টেবিলের ড্রয়ার সংগ্রহ করতে হবে।
উপায় দুই
— বক্সখাটের তলা থাকে না। অতএব চৌকির তলা বন্ধ করে দিলেই প্রাথমিকভাবে সেটাকে বক্সখাট বলা যেতে পারে। একটু আশপাশে তাকালেই প্রচুর পুরনো পত্রিকা পাওয়া যাবে।
সেগুলোর স্তূপ করেও খাটের তলা ঢাকা যায়। এ ছাড়া শীতের কম্বল, লেপসহ আরও অনেক ধরনের শীতবস্ত্র দিয়েও খাটের তলা ঢেকে চৌকিকে বক্সখাটে পরিণত করা যায়।
উপায় তিন
— কথায় কথায় বলতে হবে ‘আমার বক্সখাট’। যেমন বন্ধু যদি বলে মোবাইল কই? উত্তর দিতে হবে, আমার বক্সখাটের উপরে। মোদ্দাকথা খাটবিষয়ক যে কোনো কথায় আপনার চৌকিকে আপনি বক্সখাট হিসেবে পরিচিত করিয়ে দেবেন। ফলে সবাই চৌকিকে বক্সখাট হিসেবেই জানবে।
উপায় চার : নিজেকে বিশ্বাস করতে হবে যে আমি যে খাটটাতে ঘুমাই সেটা একটা বক্সখাট। তাহলে সমাধান। নিজের বিশ্বাসের ওপর আর কিছু নেই।
উপায় পাঁচ
— চৌকির চারপাশে তক্তা লাগিয়ে দেওয়া যায়। তক্তা লাগিয়ে দিলেও চৌকিকে বক্সখাটের মতো দেখা যাবে।
উপায় ছয়
— ফটোশপ করতে হবে। ফটোশপ করে চৌকিকে বক্সখাট বানিয়ে ঠিক খাটের উল্টা পাশের দেয়ালে বড় করে ঝুলিয়ে দিতে হবে। যাতে চৌকিতে শুয়ে চোখ গেলেই মনে হবে ওইটা আয়না। আয়নাতে বক্সখাট দেখা যাচ্ছে।