যারা এখনো বাহুবলি ২ সিনেমাটি দেখেননি তাদের মনের ভিতরেও একটি প্রশ্ন খচখচ করছে— বাহুবলিকে কেন কাটাপ্পা হত্যা করেছিল? আসুন জেনে নেই বাহুবলিকে হত্যা করার অযৌক্তিক কারণসমূহ। জানাচ্ছেন— আরিফ বিন নজরুল
কাটাপ্পার সঙ্গে গুটিবাজি করার অপরাধে
বাহুবলি সিনেমা পর্দায় হিরো হলেও বাস্তবে খলনায়ক হয়ে কাটাপ্পার সঙ্গে গুটিবাজি করেই যাচ্ছিলেন। আর এটা টের পেয়েও কাটাপ্পা প্রথমে কিছুই বলেনি। কিন্তু যখন গুটিবাজি করার সীমা অতিক্রম করে ফেলল তখন কাটাপ্পা বাহুবলিকে হত্যা করে ফেলল!
পরীক্ষার হলে কাটাপ্পাকে খাতা না দেখানোর কারণে
একবার পরীক্ষার হলে দেখা গেল, কাটাপ্পার কোনো প্রশ্নই কমন পড়েনি। তাই সে হলে বসে চোখে শর্ষে ফুল দেখতে লাগল। এমতাবস্থায়, দেখা গেল বাহুবলী লিখেই যাচ্ছে তো, লিখেই যাচ্ছে। কাটাপ্পা তাকে এত ইশারা করে, ডেকেও কোনো হেল্প না পাওয়ায় সিনেমায় বাহুবলিকে হত্যা করল!
কাটাপ্পার প্রেমিকার সঙ্গে প্রেম করার অপরাধে
একই মহল্লায় থাকার কারণে কাটাপ্পার প্রেমিকার সঙ্গে বাহুবলির একটু অন্তরঙ্গতা বেড়ে যায়। একদিন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাটাপ্পা জানতে পারে তার প্রেমিকার সঙ্গে বাহুবলি ডেটিংয়ে গেছে!। এটা শোনার পর কাটাপ্পা বাহুবলিকে হত্যা করে!
ফাঁস হওয়া প্রশ্ন পেয়েও কাটাপ্পাকে তা না দেখানোর জন্য
পরীক্ষার প্রশ্নটি গতরাতেই বাহুবলি ফেসবুকে পেয়ে যায়। কিন্তু সে প্রশ্নটি কাটাপ্পাকে দেয়নি বাহুবলি। কাটাপ্পা জানতে পেরে রেগে বাহুবলিকে হত্যা করে!
বাহুবলিকে বার বার নিষেধ করার পরেও কাটাপ্পাকে ফেসবুকের বিভিন্ন ফালতু গ্রুপে অ্যাড করার অপরাধে
বাহুবলির অন্যসব বদ স্বভাবগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি বদস্বভাব হলো— সে ফেসবুকে অতিরিক্ত মাত্রায় কাটাপ্পাকে বিভিন্ন ফালতু গ্রুপে অ্যাড করে। এবং বিভিন্ন ছবিতে ট্যাগ বা ম্যানশন করতেও ভুল করে না! হাজার থেকে কোটিবার নিষেধ করার পরেও বাহুবলি এটাকে কানেই নেয় না। আর এতে মেজাজটা এতই খারাপ হয় যে, বাহুবলিকে হত্যা করতেও দ্বিধাবোধ করে না কাটাপ্পা!