► বেশি জ্ঞান অর্জন প্রসঙ্গ

প্রশ্নপত্র ফাঁস না হলে শিক্ষার্থীদের সারা বছর বই পড়তে হবে। আমরা জানি বই জ্ঞানের ভাণ্ডার। সারা বছর বই পড়লে পরীক্ষার্থীরা বেশি জ্ঞান অর্জন করে ফেলবে। গুণীজনে কহেন, কোনো কিছুই বেশি ভালো না। বেশি বেশি, মানে অতিরিক্ত জ্ঞান অর্জনের এ অবারিত সুযোগ বন্ধ করতে প্রশ্ন ফাঁস জরুরি!

► অধিক সময় ফেসবুকে থাকতে

আধুনিক যুগে ইন্টারনেটের দুনিয়ায় ও ডিজিটাল প্রযুক্তিতে দক্ষ হওয়া বাঞ্ছনীয়। এছাড়া ফেসবুকে থাকলে দুনিয়ার যাবতীয় তথ্যউপাত্ত সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যায়। যেগুলো জানার দরকার নেই সেগুলোই জানা যায়। পড়াশোনার চাপে পড়ে অনেক কোমলমতি শিক্ষার্থী ফেসবুকে আসার সময় পায় না। তাদের নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকতে হয়, বাসায় ক্লাসের পড়া প্রস্তুত করে পরদিন আবার ক্লাসে উপস্থিত হতে হয়। এতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস প্রদান, চ্যাট, লাইক কমেন্ট করা থেকে তাদের বঞ্চিত হতে হয়। এতে তাদের লাইক কমে যেতে পারে। কিন্তু প্রশ্ন ফাঁস নিশ্চয়তা পড়াশোনা হাত থেকে শিক্ষার্থীদের মুক্তি দেবে। ফেসবুকে পড়ে থাকলেও ফেল বলে কিছু থাকবে না।

► অর্থ সঞ্চয়

যারা সারা বছর পড়াশোনা করে তাদের বই খাতা কলম কিনতে হয়। স্যারদের কাছে টিউশনি পড়ে সব বুঝে নিতে হয়। এতে পরিবারের অনেক অর্থ খরচ হয়। প্রশ্ন ফাঁস হলে এত সব খরচের হাত থেকে অনেকেই মুক্তি পাবে। সঞ্চিত হবে অর্থ। সেই অর্থ দিয়ে ইন্টারনেটে আরও অধিক মেগাবাইট কেনা সম্ভব। যা দিয়ে ইন্সট্রাগ্রাম, ফেসবুকে একের পর এক পোস্ট দিয়ে সহজেই সেলিব্রেটি বনে যাওয়া সম্ভব। অবশ্য সব টাকা ফেসবুকের মেগাবাইট কিনে ফেললে পথে বসতে হবে।

► রেজাল্টে সমতা

প্রশ্ন ফাঁস হলে সবার রেজাল্ট ভালো হয়। কেউ ফেল করে না। ভালো ছাত্র খারাপ ছাত্রের তকমা গা থেকে মুছে যায়। সমাজে সমতা বিরাজ করে। সবাই একই কাতারে নেমে আসে। সমাজের জন্য এ এক অনন্য দৃষ্টান্ত।