ছাত্রী তার প্রাইভেট টিউটরকে বলছে, স্যার, এতদিন হয়ে গেল আপনি আমাকে পড়াচ্ছেন। আপনি কি আমার চোখের দিকে তাকিয়ে একবারও বুঝতে পারেন না ওই চোখ দুটোয় কী লেখা আছে?
প্রাইভেট টিউটর : পাঁচ বছর হয়ে গেল, এখনো তোমার হাতের লেখাই ঠিকমতো বুঝতে পারলাম না, আর চোখ তো দূরের কথা!
ছোট একটি ছেলে। একটি বাসার সামনে দাঁড়িয়ে অনেকক্ষণ ধরে ডোরবেল বাজানোর চেষ্টা করছে সে। এক বৃদ্ধ তার এ চেষ্টা দেখে বললেন, ‘বাবু, কী করছ তুমি?’ ছেলেটি বলল, ‘কাকু, আমি এই ডোরবেলটি বাজানোর চেষ্টা করছি।’ এ কথা শুনে বৃদ্ধটি হাসিমুখে বেলটি নিজেই বাজিয়ে দিয়ে বললেন, ‘এবার বলো, তোমার জন্য আর কী করতে হবে?’ ‘এবার জলদি পালান। ধরা পড়ে গেলে খবর আছে!’ এ কথা বলেই পিচ্চি দিল ভোঁ দৌড়।
এক লোক বারে গিয়ে ছয় পেগ হুইস্কির অর্ডার দিল। বেয়ারা তার টেবিলে পর পর ছয় পেগ সাজিয়ে দিয়ে গেল। লোকটি চার পেগ খেয়ে দাম দিয়ে রওনা দিল। বেয়ারা ডেকে বলল, ‘স্যার দু পেগ খেলেন না?
লোক : না ডাক্তার বলছে আস্তে আস্তে কমিয়ে আনতে।
অফিসের কেরানি ম্যানেজারকে বলল—
কেরানি : স্যার, আমি এতদিন ধরে তিনজন লোকের কাজ একাই করেছি। আমার মাইনে বাড়াতে হবে।
ম্যানেজার : মাইনে এখন বাড়ানো অসম্ভব। কিন্তু তুমি বাকি দুজনের নাম বল তাদের এক্ষুণি বরখাস্ত করব।
এক ভিক্ষুক লটারিতে ৪০ লাখ টাকা পেয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসা করা হলো, এই টাকা দিয়ে আপনি কী করবেন?
ভিক্ষুক : প্রথমে একটা গাড়ি কিনমু। হাঁইটা হাঁইটা ভিক্ষা করতে ভালো লাগে না!
সেরের ওপর সোয়া সের
শফিক সাহেব একজন কোটিপতি। দামি গাড়ি তার। একদিন ট্রাফিক সিগন্যালে তার গাড়ির পাশে এসে দাঁড়াল লক্কড়-ঝক্কড় মার্কা একটা গাড়ি। পাশের গাড়ির ড্রাইভার জানালা দিয়ে মাথা বের করে বলল, ‘তোমার গাড়িতে কি টেলিফোন আছে?’
শফিক সাহেব বললেন, ‘নিশ্চয়ই’।
ড্রাইভার : হু। আমার গাড়িতেও আছে। আচ্ছা, তোমার গাড়িতে কি ফ্যাক্স মেশিন আছে।
শফিক : আছে।
ড্রাইভার : আমার গাড়িতেও আছে। আচ্ছা, তোমার গাড়ির পেছনে কি বিছানা আছে, আয়েশ করে ঘুমানোর মতো?
শফিক : না তো!
ড্রাইভার : আমার গাড়িতে আছে।
শফিক সাহেবের আঁতে ঘা লাগল। একটা লক্কড়-ঝক্কড় গাড়িতে বিছানা আছে, আর তার গাড়িতে নেই! এ হতে পারে না। দোকানে গিয়ে তিনি তার গাড়ির পেছনে একটা সুন্দর দামি বিছানা বসিয়ে নিলেন। এবার এক হাত দেখে নেওয়া যাবে সেই ড্রাইভারকে।
এক দিন শফিক দেখলেন, রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে সেই গাড়িটা। গাড়ির ভিতরে কিছু দেখা যাচ্ছে না। শফিক জানালায় টোকা দিলেন। সাড়া নেই। বেশ কয়েকবার টোকা দেওয়ার পর জানালা খুললেন সেই ড্রাইভার। লোকটার গায়ে একটা তোয়ালে জড়ানো। বিরক্ত ভঙ্গিতে বললেন, ‘কী চাই?’
শফিক : দেখ, আমার গাড়িতে কী সুন্দর শোয়ার ব্যবস্থা করেছি।
ড্রাইভার : ধুত! তোমার এ ফালতু কথা শোনার জন্য আমাকে গোসলখানা থেকে বের হতে হলো!
শিক্ষক : বল তো বল্টু সবচেয়ে হাসিখুশি প্রাণী কোনটি?
বল্টু : হাতি স্যার!
শিক্ষক : কেন?
বল্টু : দেখেন না স্যার, হাতি খুশিতে সব সময় তার দাঁত বের করে রাখে।
দুই বন্ধুর মধ্যে কথা হচ্ছে...
প্রথম বন্ধু : তোর স্যুটটা তো বেশ সুন্দর। কোথায় পেলি?
দ্বিতীয় বন্ধু : এটা আমার স্ত্রী আমাকে দিয়েছে একটা সারপ্রাইজ গিফট হিসেবে।
প্রথম বন্ধু : কেমন সারপ্রাইজ গিফট?
দ্বিতীয় বন্ধু : আমি অফিস থেকে ফিরে দেখি সোফার ওপর এই স্যুটটা পড়ে আছে।
এলোপাতাড়িভাবে রাজপথ দিয়ে ছুটে যাচ্ছে একটি গাড়ি। আরোহীর সিটে বসে আছেন মিসেস শাপলা।
মিসেস শাপলা : ড্রাইভার! তুমি আমাকে মারবার ফন্দি এঁটেছ নাকি?
ড্রাইভার : ভয় পাবেন না ম্যাডাম। বেশি ভয় করলে আমার মতো চোখ বন্ধ করে বসে থাকুন!
হাবলু ও ট্যাক্সি ড্রাইভারের মধ্যে কথোপকথন
ট্যাক্সি ড্রাইভার : স্যার, ট্যাক্সির পেট্রল শেষ হয়ে গেছে। গাড়ি আর সামনে যাবে না। এখানেই নেমে পড়ুন।
হাবলু : এত ফাঁকি মারার ধান্ধা কর কেন? গাড়ি সামনে যাবে না, তাহলে পেছনে নিয়ে যাও। আমাকে যেখান থেকে উঠিয়েছ, সেখানে দিয়ে এসো।
বাড়িতে অতিথি এসেছে, দুই সপ্তাহ যায় নড়বার কোনো লক্ষণ নেই। স্বামী-স্ত্রী কেউ কিছু বলতে পারে না লজ্জায়। এক দিন অতিথিকে শুনিয়ে দুজন খুব ঝগড়া করতে লাগল। স্ত্রীকে স্বামীর প্রহার এবং কান্নার আওয়াজও শুনে মতিগতি সুবিধের নয় ভেবে অতিথি ভদ্রলোক স্যুটকেস নিয়ে একফাঁকে বেরিয়ে গেল।
স্বামী-স্ত্রী দুজনায় খুব হেসে নিল—
স্বামী : তোমার লাগে-টাগেনি তো?
স্ত্রী : দূর একটুও লাগেনি। এ তো লোক দেখানো কেঁদেছিলাম।
তখনই হাসিমুখে অতিথির আবির্ভাব।
অতিথি : হেঁ, হেঁ আমিও কিন্তু লোক দেখানো গিয়েছিলাম।
মৃত্যুশয্যায় শায়িত স্বামী তার স্ত্রীকে বলছেন—
স্বামী : আমি তো আর এক মাস পর মারা যাব, তাই আমি চাই, আমার মৃত্যুর পর তুমি সাজ্জাদ সাহেবকে বিয়ে কর। এটাই আমার অন্তিম ইচ্ছা।
স্ত্রী : সাজ্জাদ! বলো কি, তিনি তো তোমার শত্রু। আর তাকে কিনা বিয়ে করতে বলছ তুমি!
স্বামী : আমি জানি সে আমার শত্রু। সাজ্জাদকে শায়েস্তা করার এটাই তো মোক্ষম সুযোগ।
প্রেমিকা : আমি তোমার জন্য সব ছাড়তে রাজি আছি।
প্রেমিক : সত্যি?
প্রেমিকা : হ্যাঁ।
প্রেমিক : তোমার বাবা-মাকেও?
প্রেমিকা : হ্যাঁ।
প্রেমিক : তোমার সব আত্মীয়-স্বজন, বিষয়-সম্পত্তি?
প্রেমিকা : হ্যাঁ।
প্রেমিক : স্টার প্লাস?
প্রেমিকা : মুখ সামলে কথা বল বলে দিচ্ছি!
শনিবার রাতে :
স্ত্রী : এই তুমি আজ মদ খেয়ে এসেছ কেন?
স্বামী : আজ অফিসে বিদেশি ক্লায়েন্টের সঙ্গে মিটিং ছিল, তাই খাওয়া লেগেছে।
রবিবার রাতে :
স্ত্রী : তুমি আজ আবার মদ খেয়েছ!
স্বামী : আরে আজ আমার এক বন্ধুর এনগেজমেন্ট ছিল।
সোমবার রাতে :
স্ত্রী : আজও মদ খেয়েছ কেন?
স্বামী : আমার এক বন্ধুর গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে ব্রেকআপ হয়েছে। তার মুড খুব খারাপ ছিল। মুড ভালো করার জন্য এক সঙ্গে একটু খেতে হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে :
স্ত্রী : ফের আজ!
স্বামী : ব্রেকআপ না, আজ অফিসে খুব কাজের চাপ ছিল। টেনশনে ছিলাম, তাই।
বুধবার রাতে :
স্ত্রী : হুম। আজ?
স্বামী : আজ এক কলিগের বিয়ে ছিল। খুশির চোটে...
বৃহস্পতিবার রাতে :
স্ত্রী : আজ কী বলবে?
স্বামী : আজ স্কুলের পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয়েছিল।
শুক্রবার রাতে :
স্ত্রী : (রেগে গিয়ে) ছুটির দিনেও বাদ দাওনি?
স্বামী : মানুষ একটা দিনও কি নিজের ইচ্ছামতো পান করতে পারবে না, নাকি?
ভাড়াটে : এ বাসায় আর থাকা যাবে না।
বাড়িওয়ালা : কেন, কী হয়েছে।
ভাড়াটে : গত রাতে ঘরের মেঝেতে যে ইঁদুরের যুদ্ধ দেখলাম।
বাড়িওয়ালা : দুই হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে ইঁদুরের যুদ্ধ দেখবেন না তো হাতির যুদ্ধ দেখবেন?
প্রথম ব্যক্তি : বাড়িতে শান্তি নেই। বউ শুধু টাকা চায়।
দ্বিতীয় ব্যক্তি : কত টাকা?
প্রথম ব্যক্তি : কোনো ঠিক আছে? ১০০, ২০০, ৫০০, যখন যা ইচ্ছা।
দ্বিতীয় ব্যক্তি : এত টাকা নিয়ে কী করে?
প্রথম ব্যক্তি : কী জানি, জানি না। দেই না তো কখনো!
দুই মাতালের কথোপকথন—
প্রথম মাতাল : স্ট্র দিয়ে ভোদকা খাচ্ছ কেন?
দ্বিতীয় মাতাল : ডাক্তার আমাকে বলেছেন পানপাত্র থেকে দূরে থাকতে।
এক ভদ্রলোক ঘুমের কারণে কখনোই সময়মতো অফিসে যেতে পারেন না। ভদ্রলোক তার বন্ধুকে সমস্যার কথা বলতেই বন্ধু ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমাতে বলে। ভদ্রলোক রাতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমালেন। সকালে ঘুম ভাঙল। তিনি দেখলেন একদম ঠিক টাইমে উঠেছেন। তিনি সঠিক টাইমে অফিসে পৌঁছে গেলেন। তিনি ভাবলেন বসের সঙ্গে দেখা করে তাকে দেখানো দরকার যে, তিনি ঠিক টাইমে এসেছেন। গিয়ে বসকে বললেন,
ভদ্রলোক : বস, দেখেন আজ আমি একদম ঠিক টাইমে এসেছি?
বস : আজ না হয় ঠিক টাইমেই এসেছেন কিন্তু গতকাল কোথায় ছিলেন, সারা দিন খুঁজে পাওয়া গেল না!
এক বাস ড্রাইভার আর এক পাইলট বন্ধুর মধ্যে কথা হচ্ছিল—
বাস ড্রাইভার : আমি মাঝে মাঝে আমার যাত্রীদের খাটিয়ে নিতে পারি। কিন্তু তুই পারিস না।
পাইলট : কী রকম?
বাস ড্রাইভার : তুই কি মাঝপথে প্লেন থামিয়ে বলতে পারবি, ‘ভাইয়েরা, একটু নামেন, ধাক্কা দিতে হবে?’
ছেলে প্রায়ই রাত করে বাড়ি ফেরে। এটা বাবার আর সহ্য হয় না। খুব রেগেমেগে...
বাবা : এত রাত পর্যন্ত কোথায় ছিলি রে হতচ্ছাড়া?
ছেলে : আমি আমার ফ্রেন্ডের বাসায় ছিলাম।
বাবা তখনই ছেলের কয়েকজন বন্ধুকে ফোন দিলেন।
প্রথম বন্ধু : জি আঙ্কেল, ও তো আমার সঙ্গে ছিল।
দ্বিতীয় বন্ধু : ও তো কিছুক্ষণ আগে চলে গেছে।
তৃতীয় বন্ধু : চাচা, ও আমার সঙ্গেই আছে। আমরা দুজন সারা রাত অংক করব ভাবছি।
সব শেষের বন্ধু তার বন্ধুকে বাঁচাতে বুদ্ধি খাটিয়ে বলল—
চতুর্থ বন্ধু : হ্যাল্লো আব্বু, আজ রাতে আসতে দেরি হবে!