সোমবার, ২৮ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা
পাঠকের লেখা

রান্না সমাচার

রান্না সমাচার

রান্না শুধু কি মেয়েরাই করতে পারেন?  ছেলেরাও অনেক মজাদার ও সুস্বাদু রান্না করতে পারেন। অনেকেই মনে করি, রান্না শব্দটি সাধারণত মেয়েদের সঙ্গে জড়িত। আসলে সেই ধারণা ছেলেরা একেবারেই পাল্টে দিতে পারেন। আসুন, জেনে নিই কীভাবে ছেলেরা বাড়িতে রান্না করতে পারেন—

 

রান্না ধৈর্যশীলতার প্রতীক। তা না হলে রান্না শুধু রান্নাই হবে। যতই খান, খেলেও পেট ভরবে না। রান্নার সুনাম পেতে হলে অসীম  ধৈর্য নিয়ে রান্না করুন।

 

মেয়েদের কোনো রান্নাকে অবহেলা করা যাবে না।  রান্নায় গুরু মেনে তাদের কাছ থেকে যাবতীয় কোটা-বাছা শিখতে পারেন।

 

প্রথমত রান্না খারাপ হতে পারে। অযথা কান্নার আশ্রয় নেওয়া যাবে না। ভালো রান্নার চেষ্টা করতে হবে। তাই বলছি— একদিন শুধু নয়, রাঁধো শত দিন।

 

বিবাহিত ছেলেরা স্ত্রীদের কাছে সহজেই রান্না শিখতে পারেন। অযথা মার্কেটে শপিং না করে ঘরে বসেই অবসরে রান্না শিখুন।

 

অবিবাহিত ছেলেরা প্রেমিকাদের কাছে রান্না শিখতে পারেন। দিন কী রাতে যখন তখন অহেতুক প্রেমালাপ না করে রান্নালাপ করতে পারেন।

 

যাদের প্রেমিকা নেই, নিরাশ হওয়ারও কোনো আশঙ্কা নেই। বাড়িতে মা-বোনদের কাছে রান্নার একদম ফ্রি ক্লাসে রান্না শিখুন।

 

রাস্তা-ঘাটে বা স্কুল-কলেজে কোনো মেয়ের সাথে ফাও প্যাঁচাল না পেরে রন্ধন প্রণালী জানতে পারেন। নিজে উৎসাহিত হন, অপরকেও উৎসাহিত করুন।

 

সর্বদা মনে আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে। আমি পারব না, বা আমাকে দিয়ে এ কাজ হবে না— এমন কথা ভুলেও মুখে উচ্চারণ করা যাবে না।

 

পরনির্ভরশীলতাকে না বলুন। হয়তো ভাবতে পারেন— অমুক অ্যান্টি বা পাশের বাড়ির কেউ রান্না করে দিয়ে যাবে। অথবা তরকারি দিয়ে যাবে। এভাবে কদিন চলবে? নিজেরই মান-সম্মান নিয়ে টানাটানি হবে।

 

রাঁধুনী নামে পাড়া মহল্লায় পরিচিত হন। মেয়েদের দেখিয়ে দিন, আমরাও রাঁধতে পারি। ঘরে ঘরে আওয়াজ তুলুন— খাওয়ার আগে রান্না করি, চাই না করো হাতে ধরি।

 

সর্বোপরি, রান্না জন্য ‘রন্ধন প্রণালী’ নামের বইটি স্কুলের পাঠ্যপুস্তকের অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। তাহলে থাকবে না ছেলেদের রান্না বিষয়ক কোনো জ্ঞানের অভাব।

লেখা : শফিকুল ইসলাম শফিক

কনইল, ভীমপুর, নওগাঁ

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর