কারওয়ান বাজারের ব্যস্ততম রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে ফাহিম। মাসখানেক আগে ফার্মগেটের সামনে তার দেখা হয় রাফির সঙ্গে। সেই থেকে পরিচয়। তারা পথচারীদের ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করছিল। তাদের আলাদা ফেসবুক গ্রুপ ছিল।
রাফির আচমকা প্রশ্নে চমকে তার দিকে তাকায় ফাহিম। এক গাল হেসে বলে, ‘আরে, তোমার কী খবর? এখানে?’
রাফি হেসে বলে, ‘আমি তো কাছেই থাকি। একটু শপিংয়ে যাব।’: রাফি, একটা জিনিস খেয়াল করেছ?
: কী?
: এখন কিন্তু প্রায় সবাই হেলমেট পরে বাইক চালায়। বাসে বাসে যাত্রী তোলার প্রতিযোগিতা কমে গেছে। এখন আর আগের মতো তারা রেসেও নামে না। লাইসেন্স ছাড়া কোনো ড্রাইভার গাড়ি নিয়ে বের হতে সাহস পায় না। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সেটাই পর্যবেক্ষণ করছিলাম।
ফাহিম বলে, ‘আসলে, নিজের ভিতর থেকে সচেতনতা না এলে কিছুই হবে না। ভয় দেখিয়ে, বাধ্য করে, কতদিন আর লাইনমতো রাখা যায়। নিজেরাই যদি একটু সচেতন হই, তাহলে কিন্তু নিজেরাই নিরাপদে থাকতে পারি। সবাই যদি ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করে তাহলে দুর্ঘটনা কমে যায়। কিন্তু না, তারা এসব শুনবে কেন? আমি বুঝি না, জীবনের থেকে কি সময়ের মূল্য বেশি হয়ে গেল? রাফি বলে, ‘অবশ্যই না। কিন্তু তবুও মানুষ রাস্তা দিয়ে পারাপার হচ্ছে যত্রতত্র। যদি কিছু জিজ্ঞাসা করি, বলবে, সবাই পার হচ্ছে। আমি হলে দোষ কি?’
রাফি কিছু বলতে যাবে তখন ফাহিম বলল, ‘আচ্ছা দোস্ত, পরে কথা হবে। গাড়িগুলো থেমেছে। দেখি পার হওয়া যায় কিনা।’ কথাগুলো বলতে বলতে ফাহিম হাত দেখিয়ে দেখিয়ে গাড়ি থামিয়ে রাস্তা পার হয়ে যায়। রাফি অবাক হয়ে ফাহিমের দিকে তাকিয়ে থাকে। পাশেই অব্যবহূত হয়ে পড়ে থাকে প্রজাপতি গুহা।