সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

ভালো না বাসলেও হাসুন

মেজর নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ (অব.) পিএইচডি

ভালো না বাসলেও হাসুন

গরুটা কোথায়?

ভালোবাসা দিবসে প্রেমিক তার প্রেমিকাকে নিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে শহর ছেড়ে গ্রামের দিকে চলে গেলেন। একটু নীরব মনে করে থামলেন একটা ঝোপের সামনে। ঝোপের অপর দিকেই ছিল গরু হারানো এক কৃষক। সারা দিন খুঁজেও গরু না পেয়ে ঝোপের আড়ালে বসে ভাবছেন কী করা যায়। এদিকে প্রেমিক-প্রেমিকার প্রেমালাপ তখন তুঙ্গে। এক পর্যায়ে প্রেমিক বলল তুমি নিজেও জান না তোমার ওই দুই চোখ কত সুন্দর! তোমার চোখে আমি পৃথিবীর সব খুঁজে পাই। এ কথা শুনেই গরু হারানো কৃষক ঝোপের আড়াল থেকে বেরিয়ে দাঁড়াল প্রেমিক-প্রেমিকার সামনে। প্রেমিকাকে জিজ্ঞেস করল, ‘ভাই, আমার একটা গরু হারিয়ে গেছে। ওনার চোখে একটু খুঁজে দেখবেন গরুটা কোথায়?’

 

পাগলে কি করে না করে

প্রেম থেকে বিয়ে। তারপর স্ত্রী, প্রথমবারের মতো সন্তানের মা হতে চলেছেন। অজানা আশঙ্কা উঁকি দেয় স্ত্রীর মনে। এক দিন একান্ত এক সময়ে স্ত্রী স্বামীর হাত ধরে জিজ্ঞেস করল, ‘আচ্ছা, বাচ্চা হওয়ার সময় অনেক মা দুর্ভাগ্যবশত মারা যায়। আমিও যদি মরে যাই, তুমি কী করবে?’

স্বামী : ও কথা বল না, জান। তুমি মরে গেলে আমি পাগল হয়ে যাব।

স্ত্রী : তুমি আবার বিয়ে করবে না তো?

স্বামী : পাগলে কি করে, না করে তার কি কোনো ঠিক-ঠিকানা আছে?

 

মানিব্যাগ ফেলে এসেছি

অনেক দিন ধরে চেনাজানা। তবুও কেউ কাউকে প্রেম নিবেদন করছে না। মেয়েটি মনে মনে চাচ্ছিল ছেলেটি প্রথমে ভালোবাসার কথা বলুক। কিন্তু ফলাফল শূন্য। পরে বুদ্ধি করে মেয়েটি ছেলেটিকে একটা দামি রেস্তোরাঁয় নিয়ে যেতে বললো। মেয়েটি ভেবেছিল, হয়তো রেস্তোরাঁর রোমান্টিক পরিবেশে ছেলেটি মুখ খুলবে। কিন্তু না। রেস্তোরাঁয় গিয়েও ছেলেটি ভালোবাসার কথা বলছি না। শেষে মেয়েটি নিজেই উদ্যোগ নিল।

ছেলেটিকে বলল, ‘আচ্ছা তুমি এমন একটা কথা বল, যা শুনলে আমার হার্টবিট বেড়ে যাবে।’ ছেলেটি যেন এমন এক মুহূর্তের জন্য অপেক্ষায় ছিল। সে উত্তর দিল, ‘আমি ভুলে মানিব্যাগ ফেলে এসেছি। আমার পকেটে একটি টাকাও নেই।’

 

আজ আমার মুক্তি মিলত

ভালোবাসা দিবসের আগের রাতে হঠাৎ স্ত্রীর ঘুম ভেঙে যায়। স্ত্রী দেখে তার স্বামী বিছানা ছেড়ে বারান্দায় দাঁড়িয়ে আনমনে দূরের তারা দেখছে। ধীর পায়ে স্ত্রী স্বামীর কাছে গেল। স্ত্রী বলল, কী হয়েছে তোমার? এত রাতে বিছানা ছেড়ে বারান্দায় কেন?

স্বামী : ভাবছি।

স্ত্রী : কী ভাবছো?

স্বামী : ভাবছি, আজ থেকে ১৪ বছর আগের কথা। মনে আছে, তখন তোমার মাত্র ১৮ বছর বয়স?

স্ত্রী : (খুশিতে) হ্যাঁ, মনে আছে। তুমি এখনো তা মনে করো?

স্বামী : মনে আছে, একদিন পার্কে আমরা তোমার বাবার হাতে ধরা পড়েছিলাম?

স্ত্রী : (খুশিতে গদগদ হয়ে) হ্যাঁ, মনে আছে।

স্বামী : মনে আছে, সেদিন তোমার বাবা কী বলেছিল?

স্ত্রী : তা ঠিক মনে নেই।

স্বামী : তোমার বাবা আমাকে বলেছিল, এভাবে বনে বাঁদারে ঘুরে বেরোনো চলবে না। হয় আমার মেয়েকে বিয়ে কর, না হয় আমার মেয়েকে ফাঁকি দেওয়ার জন্য তোমাকে ১৪ বছরের জেল খাটাবো।

স্ত্রী : (হেসে) হ্যাঁ, তাও মেনে আছে। এর পরপরই তুমি আমাকে বিয়ে করেছিলে।

স্বামী : হ্যাঁ। তাই ভাবছিলাম। তোমাকে বিয়ে না করে, তখন যদি ১৪ বছরের জন্য জেলে যেতাম, তাহলে আজ আমার মুক্তি মিলত!

 

বাক্স রহস্য

ভালোবেসে বিয়ে করল তনু আর তৃণা। বধূবেশে বাবার বাড়ি ছেড়ে আসার সময় তৃণা সুন্দর একটা নকশা করা কৌটা (বক্স) অন্য জিনিসপত্রের সঙ্গে নিয়ে এলো। বাসর রাতেই তৃণা তনুকে প্রমিজ করালো যে, তনু কখনো তৃণার এই কৌটা খুলবে না। দীর্ঘ ৫০ বছর তনু কথা রেখেছে। কোনো দিন ওই কৌটা খোলেনি। ৭৮ বছর বয়সে তৃণা মৃত্যুশয্যায়। তনু স্ত্রীর শেষ সময়ে স্ত্রীর পাশেই থাকছে। একদিন কৌতূহলবশত কৌটাটা তৃণার কাছে আনল। অনুমতি চাইল। এবার কৌটাটা খোলার অনুমতি দিল তৃণা। কৌটা খুলে তনু কৌটার ভিতরে দুটি ডিম আর এক লাখ টাকা পেল। তনু জানতে চাইল এর রহস্য কী? তৃণা বলল, ‘বিয়ের আগে তার মা উপদেশ দিয়েছিল কোনো কারণে স্বামীর ওপর মেজাজ খারাপ হলে চেঁচামেচি না করে সে যেন একটা ডিম ওই কৌটায় রেখে দেয়।’ তনু আবেগে কেঁদে দিল। সে জিজ্ঞেস করল, তা হলে তৃণা কী ৫০ বছরে মাত্র দুইবার তণুর ওপর মেজাজ খারাপ করেছিল? এই টাকা এলো কোথা থেকে? উত্তরে তৃণা বলল, যখনই এক ডজন ডিম জমতো তখনই সে গোপনে তা বিক্রি করত বা একডজন ডিমের দাম বাক্সে রেখে তা রান্না ঘরে নিয়ে যেত। সেই টাকা জমতে জমতে এত টাকা হয়েছে। তনুর আবেগের কান্না থেমে গেল।

 

হচ্ছেটা কী?

স্ত্রীকে নিয়ে স্বামী গেছেন বইমেলায়। প্রচন্ড ভিড়ের মধ্যে স্ত্রীকে হারিয়ে ফেললেন স্বামী। এদিক ওদিক খুঁজতে খুঁজতে ক্লান্ত। মোবাইল ফোনে কল দিয়েও পাচ্ছেন না। এমন সময় এগিয়ে গেলেন এক সুন্দরী বইপ্রেমীর দিকে। ক্ষমা চেয়ে বললেন-

স্বামী : আপনি কি দয়া করে আমার সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলবেন?

সুন্দরী : (অবাক হয়ে) কেন?

স্বামী : আমি না আমার স্ত্রীকে খুঁজে পাচ্ছি না।

সুন্দরী : কিন্তু আমার সঙ্গে কথা বলার সঙ্গে আপনার স্ত্রীকে খুঁজে পাওয়ার কি সম্পর্ক।

স্বামী : না মানে, আমি আমার স্ত্রীকে তো চিনি। কোনো সুন্দরী মহিলার সঙ্গে কথা বলতে দেখলে যেখানেই থাকুন না কেন, ঠিক আমার সামনে এসে হাজির হবেন এবং জেরা করতে শুরু করবেন। এতে আমার আর কষ্ট করে ওকে খুঁজতে হবে না।

বলতে না বলতেই দূর থেকে স্ত্রী চেঁচিয়ে বললেন, অ্যাঁই, ওখানে কী করছ শুনি? হচ্ছেটা কী?

 

স্বপ্নে পাওয়া ডায়মন্ড

ভালোবাসা দিবসের দিন। সকালে ঘুম থেকে উঠে-

স্ত্রী : জানো, গতরাতে আমি একটা দারুণ স্বপ্ন দেখেছি। দেখলাম, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে তুমি আমাকে একটা ডায়মন্ডের দোকানে নিয়ে গেছ। আর অবাক করে দিয়ে আমাকে একটা সুন্দর ডায়মন্ডের আংটি আর ডায়মন্ড বসানো একটি হার্ট শেপের লকেট কিনে দিয়েছ।

স্বামী : তুমি নিশ্চয় স্বপ্নটা প্রথম রাতে দেখেছ। তাই না।

স্ত্রী : তুমি কী করে বুঝলে?

স্বামী : আমিও একই রকম স্বপ্ন শেষ রাতে দেখেছি। দেখলাম আমার শ্বশুর আব্বা সারপ্রাইজ দিতে জুয়েলারির দোকানে এলেন আর তোমার পছন্দ করা সব ডায়মন্ড ও স্বপ্নের অলংকারের দাম একই সঙ্গে পরিশোধ করে দিলেন। সঙ্গে আমাকেও ডায়মন্ড বসানো একটা হাতঘড়ি উপহার দিলেন।

 

পাশের সিটও খালি হয়ে যাবে

ভালোবাসা দিবসে সেজেগুজে সুন্দরী প্রেমিকা বের হয়েছেন তার প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে। রাস্তায় এক টাউন সার্ভিস বাসে উঠে বসলেন। দুটি খালি সিটের একটিতে পরের স্টপেজে এক রোমিও বাসে উঠলেন। সুন্দরী যাত্রীর পাশের সিট খালি দেখে খুশিতে এগিয়ে গেলেন।

রোমিও : এক্সকিউজ মি, এই সিটটা কী খালি?

সুন্দরী : জি খালি। আর আপনি এখানে বসলে পাশের সিটও খালি হয়ে যাবে।

রোমিও : মানে?

সুন্দরী : মানে সোজা। আপনি এখানে বসলে আমি উঠে পিছনের খালি সিটে চলে যাব।

 

সেই খুশিতেই

ভালোবাসা দিবসে স্বামী-স্ত্রী অফিস থেকে এক রিকশায় বাড়ি ফিরছে। বিলবোর্ডে তখন এক মধ্যবয়সী পুরুষ  রকস্টার নেচে-নেচে গান গাইছে।

স্ত্রী : জানো, ওই রকস্টার আজ থেকে ১৫ বছর আগে আমাকে প্রপোজ করেছিল। আমি সোজা না করে দিয়েছিলাম।

স্বামী : সেই খুশিতেই তো সে এত বছর ধরে নাচছে।

 

দুর্ঘটনার দায়

বিয়ের ৩০ বছর পর ভালোবাসা দিবসে স্ত্রী বায়না ধরল-

স্ত্রী : ওগো, চল না, ভালবাসা দিবসে আমরা একটা পার্টি করি। বারবিকিউর জন্য একটা খাসি জবাই করি।

স্বামী : ৩০ বছর আগে ঘটা দুর্ঘটনার দায় একটা খাসি কেন নিতে যাবে?

 

আইএম জাস্ট কিডিং

প্রেমিকা : (অভিমান করে) আমি একাই তোমাকে ভালোবেসে গেলাম। তুমি তো আমাকে মোটেও ভালোবাস না।

প্রেমিক : কী যে বলো! তুমি হলে এ, বি, সি, ডি, ই, এফ, জি, এইচ, আই, জে, কে।

প্রেমিকা : (খুশি হয়ে) তাই! এগুলো দিয়ে কি বুঝায় বল না, সত্যি সত্যি বলবে কিন্তু!

প্রেমিক : এট্রাকটিভ, বিউটিফুল, কিউট, ডিসেন্ট, এডুকেটেড, ফেয়ার, গর্জিয়াস, অনেস্ট (এ পর্যন্ত বলে থামলেন প্রেমিক)

প্রেমিকা : (অস্থির হয়ে) বলো, বল। আই, জে, কে দিয়ে কী হয় জলদি জলদি বল। প্লিজ!

প্রেমিক : আইএম জাস্ট কিডিং!

 

প্রিন্সিপালের মেয়ে

কলেজের সবাই প্রিন্সিপালের ভয়ে তটস্থ থাকে। ছেলেমেয়ে একসঙ্গে কথা বলতে দেখলেও তিনি রাগ করেন। বারান্দায় দাঁড়ানো সুন্দরী ছাত্রীর মন পাওয়ার আসায় এগিয়ে গেল এক ছাত্র।

ছাত্র : (ছাত্রীকে শুনিয়ে) কোথা থেকে যে এই প্রিন্সিপাল এসেছে। জীবনটা অশান্তিতে ভরিয়ে ফেলল।

ছাত্রী : এই যে, মিস্টার। আপনি জানেন, আমি কে?

ছাত্র : না।

ছাত্রী : আমি প্রিন্সিপালের মেয়ে!

ছাত্র : আপনি জানেন আমি কে?

ছাত্রী : না।

ছাত্র : যাক, বাঁচলাম। এবার পালাই, থ্যাংক ইউ।

 

সূর্য ও পৃথিবী

রোমিও একই সঙ্গে জুলি আর ফুলির সঙ্গে প্রেম করে। বিষয়টি এক দিন প্রমাণসহ বুঝতে পারল জুলি। সিদ্ধান্ত নিল ছেড়ে আসবে রোমিওকে। ওই দিনই দেখা হলো রোমিওর সঙ্গে। একথা ওকথার পর রোমিও বুঝল, কিছু একটা গন্ডগোল হয়েছে। জুলির মন গলাতে সচেষ্ট হলো রোমিও।

রোমিও : এমন করছ কেন, জুলি। তুমি তো আমার সূর্য আর আমি তোমার পৃথিবী। আমরা একে অপরকে ছাড়া কীভাবে বাঁচাব বল?

জুলি : আমিও তাই মনে করি। আজ থেকে সূর্য আর পৃথিবীর মতো আমাদের মাঝেও যেন ৯ কোটি ২৯ লাখ মাইল দূরত্ব থাকে। গুড বাই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর