সঙ্গে একটা চিরকুট, তাতে লেখা, ‘মানুষ এত নিচে নামছেন কীভাবে? নষ্ট ক্যামেরা দিয়ে মানুষকে ধোঁকা দিচ্ছেন?’ লেখাটা পড়ে ভালোই মজা পেলাম। ভাবলাম চোরকে আরেকটু যন্ত্রণা দিই। এবার আমরা কোনো ক্যামেরা না লাগিয়ে শুধু বড় করে একটা নোটিস লিখে ঝুলিয়ে দিলাম।
অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা এড়াতে বাসার গেটে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল। কেউ একজন সেই ক্যামেরাটাই খুলে নিয়ে গেছে। ক্যামেরার সঙ্গে একটা নোটিস ঝুলানো ছিল- ‘অত্র ভবনটি সিসিটিভি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।’ সেটাও খুলে নিয়ে গেছে। বুঝলাম, ক্যামেরাটা আমাদের চেয়ে তার বেশি প্রয়োজন। কিন্তু সমস্যা হলো, ক্যামেরাটা নষ্ট ছিল। শো অফের জন্য ঝুলিয়ে রেখেছিলাম। যিনি ক্যামেরা নিয়েছেন, দুই দিন পর তিনি বুঝলেন জিনিসটা নষ্ট। খুব সম্ভবত রাগে দুঃখে ক্যামেরা ভেঙেছেন। আজ সকালে দেখলাম, গ্যারেজে ভাঙা ক্যামেরার অংশবিশেষ ফেলে রেখে গেছেন। সঙ্গে একটা চিরকুট, তাতে লেখা, ‘মানুষ এত নিচে নামছেন কীভাবে? নষ্ট ক্যামেরা দিয়ে মানুষকে ধোঁকা দিচ্ছেন?’ লেখাটা পড়ে ভালোই মজা পেলাম। ভাবলাম চোরকে আরেকটু যন্ত্রণা দেই। এবার আমরা কোনো ক্যামেরা না লাগিয়ে শুধু বড় করে একটা নোটিস লিখে ঝুলিয়ে দিলাম। ‘ক্যামেরা কই লাগাইসি, পারলে খুঁইজা চুরি কর।’
এটা লাগানোর পর থেকে প্রায়ই দেখি, পাশের মহল্লার এক লোক পান চিবুতে চিবুতে আমাদের গ্যারেজের আশপাশে ঘোরাঘুরি করেন। তাকে একদিন চা-নাশতা খাওয়ার দাওয়াত দিব কি না ভাবছি।
লেখা : নাহিদ আশরাফ উদয়, ঢাকা।