► একদিন বাদশা হোজ্জাকে বললেন, ‘হোজ্জা, কাল থেকে আমি আর আয়নায় নিজের চেহারা দেখব না। আমার চেহারা যে এত বিচ্ছিরি, তা এত দিনে জানলাম।’
জবাবে হোজ্জা বললেন, ‘হুজুর, মাফ করবেন, আয়নায় নিজেকে দেখে বলছেন আপনি দেখতে বিচ্ছিরি। কিন্তু এই এত দিন সবাই আয়না ছাড়াই আপনাকে দেখতে বাধ্য হয়েছে।’
► হোজ্জা একবার স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য এক হেকিমের কাছ থেকে ওষুধ নিয়েছিলেন।
কয়েক মাস পর হোজ্জা তার হেকিমের কাছে গেলেন ওই ওষুধ আনার জন্য।
‘আচ্ছা, গতবার তোমাকে কী ওষুধ দিয়েছিলাম, একেবারেই মনে করতে পারছি না।’
‘তাহলে ওই ওষুধ এখন থেকে আপনি নিজেই খাবেন’, হোজ্জা বিনীত গলায় বললেন।
► এক চীনা ভদ্রলোক বাজারে যাওয়ার পথে ব্যাগ হারিয়ে হাঁড়িমুখো হয়ে ঘরে ফিরেছেন।
হাতে বাজারের ব্যাগ না দেখে তাঁর বদমেজাজি বউ খেঁকিয়ে উঠলেন, ‘হাত খালি কেন? বাজার কোথায় শুনি!’ ভদ্রলোক ঘাড় চুলকে বললেন, ‘ইয়ে মানে, বাজারে আজ পা ফেলার উপায় নেই। তার ওপর ব্যাগটাও হারিয়ে ফেলেছি!’
তা শুনে বউয়ের মেজাজ গরম। সে বলল, ‘তা বেশ, টাকাগুলো আছে তো, নাকি তাও ফেলে এসেছ?’
ভদ্রলোক হেসে বললেন, ‘না, না, না ও নিয়ে চিন্তা কর না! টাকাগুলো ওই ব্যাগেই আছে। আর ব্যাগের মুখটাও কষে বেঁধেছিলাম আজ।’
► ড্যানিয়েল ওয়েবস্টার সাধারণ লোকদের সঙ্গে মিশতে খুব ভালোবাসতেন। একবার তিনি মাছ ধরার জন্য জনৈক মিস্টার বেকারের বাড়িতে গেলেন। তাদের পূর্ব পরিচয় ছিল। ফলে মিস্টার বেকারের ঘোড়াটি কয়েক ঘণ্টার জন্য ধার চাইলেন। মিস্টার বেকারও সানন্দে ঘোড়া দিয়ে নদীতে কোথায় সাধারণ লোকে মাছ ধরে, সেটা দেখানোর জন্য স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে সঙ্গে সঙ্গে চললেন। রাস্তাটি খুব কর্দমাক্ত ছিল এবং ওয়েবস্টার সে কথাটি বলতেই মিস্টার বেকার বলে উঠলেন, ‘আমি জানি এবং এটাই এখানকার সবচেয়ে খারাপ দিক।’ অতঃপর মশা কামড়াতে শুরু করলে ওয়েবস্টার মশার প্রসঙ্গ তুললেন। তখন মিস্টার বেকার জবাব দিলেন, ‘হ্যাঁ, আমি জানি এবং এটাই এখানকার সবচেয়ে খারাপ দিক।’ এরপর খুব গরম লাগা শুরু হলে ওয়েবস্টার গরমের বিষয়টি বললেন। অন্যবারের মতো মিস্টার বেকার একই কথা বললেন।
সারা দিন কাটিয়ে একটা মাছও না পেয়ে ভঙ্গ হৃদয়ে ড্যানিয়েল ওয়েবস্টার যখন বললেন, ‘মিস্টার বেকার, এখানে কোনো মাছ আছে বলে তো মনে হয় না।’ মিস্টার বেকার তখন জবাব দিলেন, ‘হ্যাঁ, আমি জানি, এবং এটাই এখানকার সবচেয়ে খারাপ দিক।’
সংগ্রহ : হাসান মাসুদ, জাজিরা, শরীয়তপুর।