এখন আমার কোথাও যেতে ইচ্ছে করে না
তোমার দীঘল কালো চোখে শ্রাবণ মেঘের মায়াবী ঘোর
অথবা সুবর্ণ কঙ্কনপরা পরীর মতো জোৎস্না ধোয়া রাতও-সব কিছুই আজ শুধু রূপকথা ঘুমপাড়ানিয়া গান।
স্বপ্ন প্রেম বা প্রতীক্ষার মতো প্রিয়তম শব্দগুলো
একদিন আমার দুচোখ জুড়ে সারাক্ষণ বসে থাকতো
আদুরী শিশুর মতো অবোধ আচ্ছন্নতায়
ওই বুঝি আসছো তুমি নুপুর পায়ে
তোমাকে দেখব বলে!
আজ আমি সামান্য ধূলিকণার মতো
পড়ে থাকি বিবর্ণ গৃহকোণে একা
কোনোরকম বেঁচেবর্তে আছি রুদ্ধশ্বাসে
জন্মান্ধ বালকের মতো বধির বোধহীন!
আমার জন্য জয়ধ্বনি দেয় না কেউ
জ্বালিয়ে রাখে না পঞ্চপ্রদীপ জন্মজয়ন্তীতে
দুফোঁটা চোখের জলে ভাসে না কারো পদ্মঅাঁখি
কাটে না বিনিদ্র রাত কাব্য করে আমার উদ্দেশে
সীমান্তের কাঁটাতারে ঝুলে আছে যেন
আমার জীবিত লাশ- ফেলানীর মতোই
নাড়িছেঁড়া দীর্ঘশ্বাসের দৃশ্যকাব্য হয়ে!