প্রশ্নটা অস্তিত্ব নিয়ে, নিজের কাছে নিজের প্রশ্ন-
আমি কি শুধু কল্পনা- নিরেট কল্পনা?
মানুষ নশ্বর
বিলুপ্তিই বস্তুর নিয়তি
তবু, তবু অস্তিত্বের প্রশ্নে এতো কাতরতা কেন?
বস্তুবাদ কী
অস্তিত্ববাদই বা কী
প্রশ্নবাণে বিদ্ধ আত্মা।
জ্যাঁ পল সাত্রে বলুন,
হেগেল বলুন, বস্তু যখন অস্তিত্বহীন
তাহলে বস্তুবাদ কী?
চার্বক বলুন
কনফুসিয়াস বলুন
সক্রেটিস বলুন, অস্তিত্ব কি মহাশূন্যে ভাসমান আকাশের মতো দৃষ্টির বিভ্রম?
আসলে সব ‘বাদ’ই অপ-বাদ
অপবাদে অস্থির কাল্পনিক অস্তিত্ব
মানব জীবন আপাদমস্তক একটা কল্পনা
অস্তিত্বহীন নিরাকার ভাস্কর্য
সবকিছুই ইউটোপীয় ইল্যুশন
তোমাকে ভালোবাসি, একটা কল্পনাকে ভালোবাসি
ঘৃণা করি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রেমিকাকে।
সেও যেন কালা পাহাড়ের মতো অশরীরী ছায়া
যা দেখি তা মায়া-মহামায়া
যা দৃষ্টিগ্রাহ্য নয়, তা কল্পনার নেকাবে আচ্ছন্ন
জেগে আছি, তা কল্পনা
মৃত্যু, তার চেয়ে বেশি অন্ধকার।
দৃষ্টি সীমান্তের শেষ প্রান্তের নাম শূন্যতা
সত্য এক নিরাকার ভাস্কর্যের অসীম কল্পনা
নিদ্রাও স্বপ্নের মতো কল্পনায় মোড়ানো সত্য
সত্যের নাম অলীক
অলীক মানেই তো অস্তিত্বহীন কিছু
মিথ্যা তো তমিস্রা ছাড়া কিছু নয়
জীবনও কল্পচিত্র- একটি নির্ভেজাল ছায়ামূর্তি
জীবন দৃষ্টিগ্রাহ্য বস্তু হলেও স্পর্শাতীত-কল্পনাই।