শুক্রবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

ব্রিটেনের যত মূল্যবোধ

হসালেহা চৌধুরী

ব্রিটেনের যত মূল্যবোধ

হঠাৎ একদিন সপরিবারে এসে নেমেছিলাম ব্রিটেনের লন্ডনে। আগে এ দেশে আসিনি। যেন রূপকথায় পা রাখছি এমনি এক বিমল আনন্দে সবাই উদ্ভাসিত। সেই কবে দুই একখানা ইংরেজি বইতে লন্ডনকে চিনেছি। ডিকেন্সের লন্ডন, ব্রন্টির ব্রিটেন, জর্জ এলিয়টের, জেন অস্টেনের দেশ, এমনি খণ্ড খণ্ড ছবি আছে মনের ভিতর। যে দেশে হিম ও তুষার, যে দেশে বড় বড় দালান, মিউজিয়াম, বাড়ি। মানুষ সাদা। তাদের পোশাক আমাদের মতো নয়। কথা ইংরেজি। তারা একদিন এ পৃথিবীর এক-তৃতীয়াংশ দখল করেছিল। আমাদের দেশেও তারা ছিলেন ২০০ বছর, এসব। নামার পর যা দেখলাম তা আমার চিন্তার সঙ্গে কিছু মিলল কিছু মিলল না। ডিকেন্সের লন্ডন বদলে গেছে। এরপর লন্ডন আরও খানিকটা বদলে দিয়েছে ডক্টর বার্নাডো। এখন রাস্তাঘাটে ছেলেপুলেরা ঘুরে বেড়ায় না। তারা স্কুলে যায়। না গেলে ট্রুআন্সির অপরাধে ধরা পড়ে। প্রথমে যারা ঘুরছে তারা, এরপর ধরা হয় তাদের মা বাবাদের।

কাজ করতে শুরু করলাম। আমার স্বামীর স্কলারশিপে পুরো সংসার টেনেটুনে চলে বলে কাজ নিলাম। মজার কাজই বলব, কারণ দেশে থাকতে ভাবতে পারিনি এমন কাজ আমি কোনোদিন করব। ক্যাসেট ফাক্টরিতে সেলাই মেশিনের মতো একটি মেশিনে ক্যাসেট বানাই। মানে টেপগুলোকে ক্যাসেটে ভরি। তারপর একটি গানের ঘরে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা করি সেগুলো ঠিকমতো বাজছে কিনা। তখন আমরা ভাবছি এ দেশে বছরখানেক থাকব একটা কিছু করলেই হয়। ঢাকায় গিয়ে আবার ঢাকা য়ুনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করব ভাবছি। ছুটি নিয়ে লন্ডনে এসেছি।

আমরা যেখানে কাজ করতাম সেখানে একজন মিস্ত্রি এসে আমাদের সেলাই মেশিনের মতো মেশিনগুলো নেড়েচেড়ে, তেল, কালি দিয়ে ঝেড়েমুছে টিপটপ করে দিয়ে চলে যেত। ও এলেই আমি উঠে যেতাম কফি মেশিনের কাছে। পয়সা ঢেলে কফি পান করে ওর কাজ শেষ হলে ফিরে আসতাম। লোকটি নেহাতেই মিস্ত্রি। কথা বলে না তেমন। শিস বাজিয়ে মেশিনপত্র ঠিক করে চলে যায়। তালিমারা জিনসের প্যান্ট আর রংজ্বলা টিশার্ট। সদ্য দেশ থেকে এসেছি বলে আমার কাঁধের থলেতে থাকে বিবিধ বই। আমি নিয়মিত লাইব্রেরিতে যাই। বইয়ের দোকানে ঘোরাঘুরি করি। দেশে থাকতে আমি ক্যামুর ‘আউটসাইডার’ পড়েছি। বইটি সেই সময় অনেকেই পড়েছে। ক্যামুর আবাসার্ড ফিলসফি নিয়ে আলাপ-আলোচনা হয়েছে। লন্ডনে এসে লাইব্রেরিতে একটি বই পেলাম যার নাম ‘হ্যাপি ডেথ’। বইটি নাকি ক্যামু আউটসাইডারের আগে লিখেছিল এবং আউটসাইডারের মিরসল্টে উপন্যাসেরও নায়ক। বেশ বই। বিশেষত যখন মিরসল্টের শেষ সময়ে সে বুঝতে পারছে একটি অপঠিত গ্রন্থের সামনে সে দাঁড়িয়ে আছে যে গ্রন্থ পাঠ করার সময় তার নেই, তখন সে কাঁদছে, কাঁপছে এবং হাসছে সাগর থেকে উঠে আসা একটি নগ্ন মানুষ। বইটির শেষ অধ্যায় লাঞ্চে পড়ব এবং একটি প্রবন্ধ লিখে ঢাকায় পাঠাব বলে ঠিক করেছি। আমি আমার জায়গায় ফিরে এসে দেখতে পাই সেই মিস্ত্রি বা মেকানিক ‘হ্যাপিডেথ’ বইটি নিয়ে তন্ময় হয়ে গেছে। মনে মনে বলি সামান্য এক মেকানিক কি বুঝবে ক্যামুর? ভণ্ডামির আর শেষ নেই। যাই হোক আমি পাশের টেবিলে চুপ করে বসে আছি কখন তিনি দয়া করে বই পড়া শেষ করে আমার মেশিনটাকে ঠিক করে দিবেন। বেশ কিছুক্ষণ পর তিনি মুখ তুললেন। আমার দিকে তাকিয়ে বললেনঃ এ বইটি আপনি পেলেন কোথায়?

ঃলাইব্রেরিতে।

ঃঅদ্ভুত বই। এই বলে তিনি ক্যামুর অ্যালিয়েনেশন বা বিচ্ছিন্নতা এবং অ্যাবসার্ড ফিলসফির ওপর কিছু কথা বললেন। তারপর বললেনঃ আসলে ক্যামুর পুরো কালেকশন আমার আছে কেবল এই বইটি ছাড়া। আপনার পরে আমি ইস্যু করব। না হলে কিনে ফেলব। জানেন হয়তো ক্যামুর অস্তিত্ববাদ প্রথম বুঝতে পেরেছিল জ্যঁ পল সার্ত্র। আসলে হ্যাপি ডেথ ওর জীবনের অভিজ্ঞতায় পরিপূর্ণ। কিছু চরিত্র একেবারে সত্যিকারের। বদলায়নি কোথায়। প্রথম স্ত্রী সিমোনের সঙ্গে লুসিয়েনের ছাপ আছে। আর আছে সেই সময় যাকে তিনি বলেনঃ হাউস অ্যাবাভ দ্য ওয়ার্লড। আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি আর চিন্তা করছি আমাদের দেশের বিবিধ মিস্ত্রির কথা। নুরু, হারু, কুদ্দুস, সামাদ, দুলাল, সজল এসব মিস্ত্রির সঙ্গে এ মিস্ত্রির পার্থক্য কতখানি। তারপর না অন্যকথা। এ প্রসঙ্গে বলা ভালো ব্রিটেনের একশ ভাগ মানুষ শিক্ষিত।

একবার লিফটে আটকে পড়েছিলাম একজন সাধারণ আইরিশ ম্যানের সঙ্গে। প্রায় দুই ঘণ্টার মতো। বিগড়ানো লিফেট আমি আর একজন আইরিশ ম্যান। তখন ব্রিটেনে সিনফেনের হৈচৈ চলছে। আজ এখানে কাল সেখানে বোমাবাজি হচ্ছে। আইরিশম্যানের হাতে ছিল একটা বড় কালো ব্যাগ। আমি ভয়ে মরিয়া হয়ে তার সঙ্গে গল্প করতে শুরু করলাম আমার আয়ারল্যান্ডের সাহিত্যের সীমিত জ্ঞান নিয়ে। হায় ঈশ্বর! লোকটাকে তো মনে হয় আইরিশ লিটারেচার প্রফেসর। কেবল একটু সূত্র ধরিয়ে দেওয়া ব্যস, বাকিটা সে-ই বলে শেষ করে। জেমস জয়েস গিয়ে যখন গুরু গম্ভীর আলোচনা করতে গেল আমি ভয়ে ভয়ে প্রসঙ্গ পরিবর্তন করি। 

আমার এত জ্ঞান নেই জেমস জয়েস বুঝে তা নিয়ে আলোচনা করব। কেবল বললাম আমি জেমস জয়েসের কবিতা ভালোবাসি। ‘চেম্বার মিউজিক’? ও গড়গড় করে কতগুলো জেমস জয়েস আবৃত্তি করে গেল। পরে এ বিষয় নিয়ে আমি গল্প লিখি, ‘বন্ধ লিফট এ দুই ঘণ্টা’। শতগল্পে গল্পটি আছে।  এখানে ছেলেবন্ধু বা বয়ফ্রেন্ড মানে আমরা যা বুঝি তা হলো তাদের শারীরিক সম্পর্ক। আÍার সম্পর্কও যে হতে পারে তা আমি একবার জেনেছিলাম এখানে। ঘটনা এইমত। আমার ছেলের শাশুড়ি স্বামী হারিয়েছেন প্রায় ১০ বছর হলো। প্রায় ৫৭œ বছর বয়সে একজন এলো তার জীবনে নাম আর্থার। অ্যালিস পড়–য়া। ওর বাড়িতে গেলে নানাসব বই দেখতাম। যেগুলো যারা সিরিয়াস পাঠক তারা পড়েন। আর্থার ও অ্যালিস একসঙ্গে থাকে। অ্যালিসের স্বামী বড় চাকুরে ছিলেন। আর্থারও সচ্ছল। দুজনে একসঙ্গে হলিডেতে যায়, থিয়েটার দেখে, মেয়েদের সঙ্গে বেড়ায়, থাকে। অ্যালিসের তিন মেয়ের কাছে এ কোনো অপরাধ নয় বা বৃদ্ধার ভীমরতি নয়ঃ এ স্বাভাবিক। দুই একবার আমার পুত্রবধূকে জিজ্ঞাসা করেছিঃ তা তোমার মায়ের বয়ফ্রেন্ড কেমন অছে?

ঃভালো। ওরা এখন আকাপুলকো গেছে ঘুরতে। খুবই স্বাভাবিক উত্তর।

অ্যালিসের যখন একষট্টি বছর ওর ক্যান্সার ধরা পড়ে। তারপর একদিন অ্যালিস মারা গেল। আমি ছেলের বউকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য ওদের বাড়িতে গিয়ে আর্থারকে দেখলাম। চুপচাপ, প্রাণশূন্য একটি মানুষ। চলেফিরে বলতে চেষ্টা করছে আমি বেঁচে আছি কিন্তু সত্যি সে তখন প্রাণ হারিয়ে জীবন বহন করছে। এ পৃথিবীর প্রতি তার কোনো উৎসাহ আছে বলে মনে হয় না। মনে মনে ভাবলাম কিছুদিনের মধ্যে আবার এক গার্লফ্রেন্ড সংগ্রহ করবে। তেষট্টি চৌষট্টি বছরে কেউ কি ব্রিটেনে বৃদ্ধ হয়। একা থাকা ঠিক এরা মানতেও পারে না। বাড়ি ফিরে এসেছি। হঠাৎ দিনকয়েক পর একটি টেলিফোন। জানলাম হার্টঅ্যাটাকে ও মারা গেছে। ও আর বাঁচতে চায়নি, বাঁচেওনি। আমাদের পাড়ার পাকা আমের মতো বৃদ্ধা ডরোথির একটি বয়ফ্রেন্ড হলো। দুজনে ঘুরত, ফিরত। ডরোথির ছেলে মেয়ে নাতি নাতনি তবু এমনি একজনের প্রয়োজন হলো কেন? আমার এক ইন্ডিয়ান বস একবার বলেছিলেনঃ ছেলের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া আর স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া এক হলো? হয়তো নয়।

আমার পাশের বাড়ির ক্যাথি এবং তার স্বামী বেশ ভালো ছিল বলে আমার ধারণা। আমি মাঝে মাঝে আমার প্রতিবেশিনী ক্যাথির সঙ্গে ওদের বাইবেলের মিটিংয়ে যেতাম। ওর বর পিটার। দুটো সন্তান। দেশে গেলে ক্যাথিকে বাড়ির চাবি দিয়ে চলে যেতাম কারণ ক্যাথির মেয়ে আমার বিড়াল টুম্পাকে খাওয়াত, দেখাশোনা করত। একদিন দেখি ক্যাথির সঙ্গে নতুন একজন মানুষ। তারপর একদিন জানলাম ক্যাথির স্বামী চলে গেছে। ক্যাথি এবং সেই লোকটি ভালোই আছে। কেউ সে নিয়ে কোনো আলোচনা করছে না।

চরিত্র শব্দটি আমাকে ভাবায়। চরিত্র বলতে আমরা কি বুঝি? একটি মেয়ের হাত ধরলেই কি কারও চরিত্র গেল? না চরিত্র যাওয়ার অন্য নানা বিষয় থাকে? এই যেমন আমাদের দেশের কথা ধরা যাকঃ অফিসের প্রধান যখন বাঁ-হাতের কারবার করেন মানে ঘুষঘাস খান তার চরিত্র যায় না কিন্তু তিনি যখন তার সেক্রেটারির হাত ধরেন তার চরিত্র যায়। প্রথম ঘটনাতেই তাকে আমরা চরিত্রহীন বলব পরের ঘটনা চরিত্র দুর্বলতা। কিংবা দুটোই চরিত্রহীনতা। ঠিক এ প্রসঙ্গে মনে পড়ল লন্ডনের একটি ঘটনা। হাজার হাজার ঘটনার একটি আমি বলছি। এখানে ‘বোম্বে মিক্স’ বলে একটি চমৎকার খাবারের দোকান ছিল। একদিন সে দোকান পরীক্ষা করতে এসে স্যানিটারি ইনসপেক্টর বা ফুড স্পেসালিস্ট গেল যেখানে রান্না হয় সেখানে কিছু আরশোলা। ব্যস! দোকান গেল বন্ধ হয়ে। এমন কাণ্ড অহরহ ঘটে বলে এখন খাবারের ব্যবসায়ীরা সব সাবধান। ব্রিটেনে সবচেয়ে কঠোর শাস্তি পায় তারা যারা খাবারে ভেজাল মেশায়। কারণ তারা এ ভেজাল মেশানে পুরো নেশনের ক্ষতি। ওদের মতে এ খাবারের ব্যবসায়ীর চরিত্র সন্দেহজনক।

আমাদের দেশে কিছু বিশেষ জায়গায়, কিছু বিশেষ লোকই বিদ্যাবুদ্ধির কারবার করেন বলে আমাদের ধারণা। এবং সমাজ সেই মতোই চলছে। এখানে একবার একজন ব্রিকলেয়ারের সঙ্গে আলাপ হয়। পরে জানা গেল তিনি ব্রিকলেয়ারের কাজ করছেন গরমের বন্ধে। আসলে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করছেন ‘হিউম্যান ইন্টিজেলিজেন্সের’ উপরে। বললেনঃ একবার এক ছুটিতে ব্রিকলেইং বা ইটমিস্ত্রির কাজ শিখেছিলাম। যেটা কাজে লাগছে। পিএইচডি খুব বেশি মাথা খাটায়। তাই সামারে এমন কাজ করছি যাতে মাথার খাটনি কম। কায়িক পরিশ্রম বেশি। মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।

কোন মেয়েটা ভালো? যে নিজের বিয়ের জন্য বর খুঁজবে, পেনি পেনি করে পয়সা জমিয়ে বিয়ের খরচ বহন করবে, হানিমুনে যাবে, রিসিপশনে নিজে সবাইকে ডাকবে এবং বাবা কেবল একটি উপহার দিয়ে বাবার কর্তব্য শেষ করবেন, না সেই মেয়েটি যে বাবার টাকায় বড় হয়ে, বাবার দেখা বর বিয়ে করবে, বাবার সব সঞ্চয় যাবে শেষ হয়ে সঙ্গে যাবে হয়তোবা বাড়ি, জমি না হলে ঘটিবাটি মায়ের গহনা বিক্রি করে তাকে শ্বশুরবাড়িতে পাঠানো হবে। না হলে বাবা করবেন চড়া সুদে ধার। মার চোখ যাবে। বাবা মারা যাবেন। ‘নগেন দত্ত লেনে’ আর কোনোদিন সানাই বাজবে না সাহানায়। (দিদিঃ শুভ দাশগুপ্ত) বাবা বলবেন আমার মেয়ে আমি যা বলব তাই করবে। এ বলে হাত কচলাতে কচলাতে মেয়েকে সুপাত্রে দান করার আনন্দে হয়তো কেঁদেই ফেলবেন। তারপর? কোনো কবি একখানা মর্মস্পর্শী কবিতা লিখবেন। ফিনিশ। সমাজ যেমন চলছিল, চলবে। লন্ডনে এমনি একটি বিয়েতে গিয়েছিলাম। ট্রেসি আর পল বিয়ে করল। দুজনে চার বছর প্রেম করার পর। প্রেম মানে কেবল কবিতা বা চাঁদ নয়। ওরা জানে আরও প্রাকটিক্যাল ব্যাপার থাকে জীবনে। বাড়ির ডাউনপেমেন্ট, আসবাব, হানিমুন, রিসিপশন সব কিছুর খরচ তাদেরই বহন করতে হবে। দুজনকে। ট্রেসির বিয়েতে বাবা উপহার দিলেন একটি টেবিল আর চারখানা চেয়ার। তার পিতার দায়িত্ব শেষ। ভাবা যায়? এখানেও মূল্যবোধের প্রশ্ন। সমাজে নতুন মূল্যবোধের ধারণা কি কেবল ধারণাই থাকবে?

আমরা প্রায়ই বলি ভালোবাসার কথা। এখানে একটি বাক্য আমার বেশ পছন্দ সেটা হলোঃ‘লাভ ইন অ্যাকশন’। মানে কাজ করে প্রমাণ কর ভালোবাসা। এটা অহরহ এখানে ঘটতে দেখি। চাঁদা তুলে ফুল দেওয়া, চাঁদা তুলে দুস্থ পরিবার উদ্ধার কোনো নতুন কিছু নয়। নভেম্বর মাসে দুস্থ, অসহায় শিশুদের জন্য যা হয় সে এইঃ টেলিভিশনে ‘চিলড্রেন ইন নিড অ্যাপিলে’ যা হবে তাতে করে সারা ব্রিটেনের দুস্থ, অসহায় শিশুর মুখে হাসি ফুটবে। গতবার একদিনে উঠেছিল ছাব্বিশ মিলিয়ন পাউন্ড। এখানে চ্যারিটিতে যায় বিশাল সব অঙ্ক। কে দিল অনেকে তাদের নাম পর্যন্ত জানে না। ট্রেসির বিয়েতে অফিসের সবাই চাঁদা তুলে ওর জীবনযাপনের অনেক দরকারি জিনিস উপহার দিয়েছিল। উপহারের লিস্টি ট্রেসির তৈরি। যদি দাও এই দাও। আসল কথা ব্রিটেনে কবেই পাপ-পুণ্যের ধারণা বদলে গেছে। চিরাচরিত পাপ এখন নতুন নামে চিহ্নিত। ‘বাসর্টাড’ শব্দ এখন লাভ চাইল্ড।  আর পুণ্যও মানে বোধকরি দেশের আইন মেনে চলা, সুশীল নাগরিক হয়ে ওঠা। আসলে মানুষ মানুষ হয়ে বেঁচে থাকে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর