পাড়ভাঙা নদীর এপারে জলের সিঁড়ি, ওপারে গোধূলি অঘ্রাণ
আজও নাগরিক রক্তে তেমনই প্রবহমান গ্রামের টান, সবুজ সুঘ্রাণ
কার্তিকের আধো বৃষ্টির মগ্নতা ছোঁয়া বনানীরচূড়ায় উড্ডীন পয়মন্ত নারীর মেঘরঙ শরীর
থেকে চাঁদের অশ্রু ঝরে, ফসলের মাঠে ঠোঁট-চাপা হাসি
ছড়ায় হিমরোদ; জ্যোৎস্না-বৃষ্টি; স্বপ্ন রাশি রাশি।
অনন্তের হ্রদ ছেড়ে উত্তরে ধূসর হাওয়া মেলে ডানা
ষাট পার হওয়া কবোষ্ণ মন চুপিসারে বলে- সখী ভুলনা
ভোলা কী যায়! ভোলা যায় না নিসর্গ-ছন্দের দোলা
আজও মন মজে তার খোলা পিঠে বসন্ত-মেলা
আদিগন্ত, তারও চেয়ে অধিক প্রচ্ছায়া যেন ধানসিঁড়ি
নদীতীরে কুর্ণিশরত উজ্জ্বল আকাশ ছোঁয় বনশ্রী-
যিশুশিশুরা যখন সোল্লাসে গাইতে থাকে পুণ্যপ্রেমের গান
গোলাপ বাগানের চেয়ে প্রবল হয়ে ওঠে বিষবৃক্ষের টান
দীর্ঘপথের ধূপছায়া পেরিয়ে কখনও হেমন্ত
রঙজ্বলা জিন্সের মতো!