হিমকুয়াশায় নিভন্ত আগুনের পাশে রাত পোহায় যে শিশু
ও আমাকে মামা বলে ডাকে—
ওর পাশের কুকুরটি ঘেউ ঘেউ করে।নিষিদ্ধ পোস্টারে যার ছবি, ও খুব স্বপ্নবাজ তরুণ।
বিদেশি এয়ারপোর্টে এয়ার হোস্টেসের চোখের জল,
ওখানেও দুঃখ বিক্রি হয়।
গুগল মুখস্থ করে যাকে স্মরণে রাখি
ওর নাম চন্দ্রাবতী, মহুয়ার দুঃখের সহোদর।
আমার রিনিকে সহমরণে নিয়ে যেতে ইচ্ছে করে
মানুষের নামাবলিতে বড় ঘৃণার ছবি।
কুকুর মৈথুনে উত্তেজিত রাতের পাহারাদার
চুষে খায় তরুণীর চুপসানো স্তনের বোঁটা।
বদরুন সৈকতে আয়লানের শবদেহ
ওর পিতার ক্রন্দন স্পর্শ করি, কেঁদে উঠি
ছুড়ে দিই ঘৃণার লালা।
ওর কোনো বাসস্থান নেই,
সাগরও গ্রহণ করেনি ওকে।
আহারে পৃথিবীর সন্তান।
একটি কবিতা লিখতে চাই
একাত্তরে বাঙ্কারে আবিষ্কার করেছিলে তুমি,
আমি সেখানেই দাঁড়িয়ে আছি।