আমার শব্দ কিংবা শব্দরাজির কষ্ট নেই কোনো
এরা সব শ্রমধন্য— গায়ে যার ফুটে থাকে লবণকুসুম
হেঁটে হেঁটে যায় এরা আর্যত্বে সমাসীন পাঠকের বাড়িখুশি হয় গৃহকোণে গীতবিতান ধর্মীয় কেতাব
কিংবা নজরুলের বিদ্রোহী সংবলিত ‘অগ্নি-বীণা’ দেখে
বলা যায় পাঠদানে গুরুরাই বাড়ি বাড়ি ফেরে
পায়ে হেঁটে সমুদ্র দেখার ক্লেশ থাকে না এদের
সমুদ্রটা পদব্রজে ধীর লয়ে দেখা দিয়ে যায়।
আমার কবিতারা জরিপকারীর মতো পাঠককেই পড়ে
পড়ে তার যুগল চোখের ভাষা শ্রবণের ধারা এবং
হূদয়ের জাহেরি বাতেনি সব অদ্ভুত লিখন
নিজেকে কর্তন করে দীর্ঘতর করে তুলে সৃষ্টির মিছিল
ফিরে আসতে কেটে আনে পাঠকের আধেকটা হূদয়
ডাকাত স্বভাব কিনা অনুভবে মেলে ধরে শৌর্য পরিচয়।