যখন এসেছি আমি,
মনে পড়ে, কিছুই দেখিনি;
যে মুহূর্তে চলে যাবো,সে মুহূর্তে দেখবো কি কিছু?
দেখা না-দেখার মাঝে
চরাচরে আমার সাঁতার;
দেখা না-দেখার মাঝে
চলি আজো নিজ পিছু-পিছু।
যেতে যেতে
দেখি তুমি ফুটে আছো রাজার বাগানে;
হাজার ফুলের রূপে হাজার বরণ,
বিচিত্র বয়স নিয়ে বিচিত্র গড়ন,
কালো-শাদা-তামাটে-বাদামি :
তোমাকে দেখার সাধ হয় না তামামি।
অতন্দ্র প্রহরী আছে রাজার বাগানে,
তোমাকে কুড়াতে গিয়ে বারবার তাড়া খাই তার,
অগত্যা নিজেই সাজাতে থাকি নিজের খামার।
বৃক্ষ থেকে বৃক্ষে যাই, ডাল থেকে ডালে,
আকাশ সাগের ছেড়ে গহীন পাতালে,
রূপ ছেড়ে অরূপের ধূপ জ্বেলে দেখি,
তোমার আমার রূপ এখনো সাবেকি।
অজানা ঘাসের ফুল, ছোট দুই দল,
তার সঙ্গে সাঙ্গ হয় এ মনবদল;
প্রত্যুষে অরুণ মুনি জ্বালে রশ্মি-ধূপ,
আমরা পড়েছি মন্ত্র, দেহমন চুপ।
সেই থেকে তুমিহীন ভুবন অসার :
গান্ধর্বের পাঠ নিয়ে গোপন সংসার।
হে ফুলবালিকা,
জন্ম ও মৃত্যুর মাঝে হলো যদি দেখা,
জন্ম-মৃত্যু পার হয়ে তুমি ছাড়া একা।