আকাশের ঠ্যাং দেখে দেখে চাঁদের বুড়ির শুভ্র চুল ছুঁয়ে
দিব্ব্যি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।
মেঘের ওই শুঁড় ওপাড়ার গাছের মাথায় লাফাতে পারিনি বলেহাতিটি শুয়োর হয়ে গেল।
কালচে মেঘের গায় দিগন্তরেখা বরাবর মনীষা ক্যামন সর্দারিনীর
মতো দাঁড়িয়ে জগতকে শাসায়।
ওর আদল রক্তাভ, জোছনা বিচ্ছুরণ, নিশিপঙ্খী ওর গায়ের
ঘ্রাণ নিতেই ভয়ঙ্কর সাপিনীতে রূপান্তর-
আমাকে বিস্মিত করেনি।
ওর পাশ ঘেঁষে একটা মরা নদী পার হয়ে যাচ্ছে কতিপয় শেয়াল।
তারা জানান দেয়, মেঘের বাড়িতে কষা গোস্তের আমজাম নেই-
তাই তারা ছেড়ে চলে যায়।
হাড়গোড়ের মতো মনীষার চুলের ক্লিপ আমার অক্ষিপল্লব আটকে দেয়।
অন্ধকার, অন্ধকার, ঈশ্বর কী জানেন, আমি অন্ধ...
আকাশের ক্যানভাসে
কোনো স্বপ্ন আঁকার আগেই
মনীষা আমাকে অন্ধ করে দিয়েছে।