শিরোনাম
শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা
সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী দুজন

ওলগা তোকারচুক ও পিটার হান্ডকে

আন্দালিব রাশদী

ওলগা তোকারচুক ও পিটার হান্ডকে

২০১৫-তে রুশ সাংবাদিক স্ফেতলানা অ্যালেক্সিয়েভিচকে যখন নোবেল সাহিত্য পুরস্কার দেওয়া হলো সাহিত্যিক সমাজে প্রশ্ন উঠল, সাংবাদিকের জার্নালকে যদি সাহিত্য বলে মেনে নেওয়া হয় তাহলে ১১৫ বছরে অর্ধশতাধিক সাংবাদিককে কেন পুরস্কারবঞ্চিত করা হলো? সাংবাদিকরাও প্রশ্ন তুললেন, তার চেয়ে অনেক বেশি সৃষ্টিশীল-সাংবাদিককে ডিঙিয়ে পুরস্কার তাকে কেন? এসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার আগেই ২০১৬ সালে নোবেল পুরস্কার ঘোষিত হলো। পুরস্কার পেলেন সংগীতশিল্পী ও গীতিকার বব ডিলান। বব ডিলান পুরস্কার পেয়ে বিস্মিত ও বিব্রত। কারণ তিনি জানেন তিনি সাহিত্যিক নন। তিনি সংগীতের জন্য বহুমূল্য পুরস্কার পেলে তা লেখকদের যাতনার কারণ হতো না। গীতিকার হিসেবে যদি তিনি পুরস্কার পেয়ে থাকেন তাহলে ১১ বছর ধরে গীতিকারগণ কেন উপেক্ষিত ছিলেন? ইংরেজি গানে বব ডিলান মানের গীতিকার অন্তত এক ডজন ছিলেন। তাহলে ক্রমান্বয়ে তারাও পাবেন? সুইডিশ একাডেমি কি প্রকৃত সাহিত্য থেকে হাত গুটিয়ে নিচ্ছে-এ প্রশ্ন উঠেছে স্টকহোমে সাহিত্য মজলিশে।

২০১৭-তে কাজুভ ইশিগুরুকে পুরস্কৃত করার মাধ্যমে সুইডিশ একাডেমি মূলধারায় ফিরছে বলে মনে করা হলো। তার পরপরই নোবেল কমিটির সদস্য কবি ক্যাটারিনা ফ্রস্টেনসনের স্বামী জ্যঁ ক্লদ আরনল্ট-এর যৌন কেলেঙ্কারি ও কমিটির গোপনীয়তা ফাঁসের কারণে সাত সদস্য পদত্যাগ করার পর কোরাম অসম্পূর্ণ হয়ে পড়ায় ২০১৮-র পুরস্কার স্থগিত রেখে ২০১৯-এ দুটো পুরস্কার প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয়।

২০১৮-এর পুরস্কার পোলিশ-জার্মান ঔপন্যাসিক ওলগা তোকারচুক এবং ২০১৯-এর পুরস্কার অস্ট্রিয়ার উপন্যাসিক ও নাট্যকার পিটার হান্ডকেকে প্রদানের ঘোষণা দিতেই পিটারকে নিয়ে নোবেল কমিটিকে ফের গালাগাল শুনতে হচ্ছে, পিটার হান্ডকের পুরস্কার ফিরিয়ে নেওয়ার দাবিও উঠেছে। তিনি নোবেল পুরস্কারের জন্য যোগ্য সাহিত্যিক নন এটা অভিযোগ নয়, অভিযোগ তিনি ৮০০০ বলকান মুসলমান হত্যাকান্ডের প্রধান নির্দেশদাতা স্লোবোদান মিলোসেভিচের কাজকে সমর্থন করেছেন। তার শেষকৃত্যে উপস্থিত থেকে তার প্রশংসা করেছেন। তিনি  পরিচিতি লাভ করছেন কসাইয়ের দোসর হিসেবে। এর আগে তাকে দেওয়া হাইনে হাইনেরিখ পুরস্কার প্রত্যাহারের আন্দোলন শুরু হলে অনন্যোপায় হয়ে তিনিই তা নেবেন না বলে আশ্বস্ত করেছেন। নোবেল পুরস্কারের ক্ষেত্রে যে তা করবেন না, এটা নিশ্চিত।

ওলগা তোকারচুকের চেয়ে যোগ্য অন্তত এক ডজন নারী লেখক থাকতে ওলগা কেন- রাজনৈতিক কারণে কি? এ প্রশ্ন উঠেছে। ওলগার জন্ম ১৯৬২ সালে এবং পিটার হান্ডকের ১৯৪২ সালে। পরিচিতিমূলক এই রচনাটিতে ওলগা তোকারচুকের জার্নাল এবং পিটার হান্ডকের একটি সাক্ষাৎকার ও একটি কবিতার অনুবাদ সংযুক্ত হচ্ছে।

ওলগা তোকারচুকের ভ্রমণ জার্নাল : আমি আমার এক জার্মান বন্ধুকে নিয়ে আমস্টারডামে হাঁটতে বেরোই। ডি ব্যালি কোয়ার্টারে সনাতন সপ্তদশ শতকীয় একটি স্থাপত্যের সঙ্গে লাগানো একটি ধ্রুপদ কাচের খিলানের দেখা পাই। চমৎকার হরফে ধনুকাকৃতি খিলানে এই কথাগুলো লেখা ছিল : কান্ডজ্ঞানসম্পন্ন মানুষ বাতাসের বিরুদ্ধে প্রশ্রাব করে না।

মাথার ওপর এই স্লোগানটির নিচে আমরা থ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম। আমার বন্ধু মন্তব্য করল এই খিলানটি জার্মানিতে নির্মাণ করা হতো।

এটা প্রায় নিশ্চিত গ্যায়াটের কোনো জ্ঞানগর্ভ প্রবচন এখানে উদ্ধৃত থাকত। আর এটা যদি পোল্যান্ডে হতো, আমি নিশ্চিত এতে পোপের একটি উদ্ধৃতি উৎকীর্ণ করা থাকত। কিন্তু ডাচরা যে কতটা প্রায়োগিক এটি তার একটা প্রমাণ।

আমরা দুজন স্বীকার করলাম আমরা যে দেশ থেকে এসেছি যে বাতাসের বিরুদ্ধে প্রশ্বাস করার সঙ্গে আমরা পরিচিত।

আমার জানালা থেকে একটি অ™ভূত দৃশ্য দেখলাম। রাস্তায় লাল আলো জ্বলছে অথচ এর মধ্যেই জাপানি একদল নিরীহ পর্যটককে রাস্তা পার হয়ে যেতে উৎসাহিত করছে একজন পুলিশ। তখন আদৌ কোনো গাড়ি চোখে পড়ছিল না। হতবুদ্ধি হয়ে জাপানিরা তার উপদেশ শুনে বাধ্যগত অনুচর হয়ে রাস্তা পার হলো, যদিও তখন তারা আত্মবিশ্বাসী ছিল না। এক ঘণ্টা পর কাছাকাছি কোনো চার্চের পথে রানীকে নিয়ে তার লিমোজিন রাস্তায়; এই ক্রসিংয়ে তার লিমোজিনকে থামতে হলো। লিমোজিন থামার কারণে ট্রামের রেলপথে বাধার সৃষ্টি হলো। অধৈর্য ট্রাম ড্রাইভার ক্ষুব্ধ হয়ে চেঁচামি শুনিয়ে দিল (রানীকেই সে চেঁচামি শুনতে হলো)।

ওডে কার্ক চার্চের ঠিক পাশে এক রৌদ্রস্নাত রোববার অপরাহ্ণে একজন যৌনকর্মীর ভাস্কর্য উন্মোচন করা হলো। রাস্তার ল্যাম্পপোস্টে ঠেস দেওয়া ব্রোঞ্জের এই নারীর ছোট মূর্তি মানুষকে এই পেশাটির কথাই মনে করিয়ে দেয়। বলা হয়ে থাকে এটিই পৃথিবীর প্রাচীনতম পেশা, তবু পেশাটি বিব্রতকর এবং উপেক্ষিত। এটি একই সঙ্গে নারীর দাসত্ব, যৌন নিপীড়ন, যৌনতার দানবীয় প্রকাশ এবং সমস্যাকে হেয়প্রতিপন্ন করার বাধাও মনে করিয়ে দেয়। যাই হোক, ভাস্কর্য উন্মোচনের অনুষ্ঠানটি ছিল বেশ আনন্দপ্রদ। একটি ব্রাস ব্যান্ড তাদের বাদ্য বাজায়, উভয় লিঙ্গের নারী ও পুরুষ যৌনকর্মী এবং তাদের ট্রেড ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা জমায়েত হয়। সন্তানদের নিয়ে অনেক পরিবারও আসে, আমার মতো ব্যস্ত মানুষ এবং অল্প সংখ্যক পর্যটকও ভিড় জমায়। নিরাপদ যৌনতার লিফলেট ছড়ানো হয়, কতগুলো লিফলেট শিশুদের রূপকথার গল্পে সাজানো। চার্চের ঠিক পাশেই একটি বিশেষ  জন্মনিরোধক বুথ, সেখানে কেমন করে সঠিকভাবে কনডম পরতে হয় তা শেখানো হচ্ছে। এই অনুষ্ঠানের জৌলুস বাড়িয়ে ব্রাস ব্যান্ড দলটি চার্চের দিকে মার্চ করে  এগোলো। ওডে কার্ক চার্চ থেকে বেরিয়ে আসা সদ্য বিয়ের কাজ সেরে আসা কয়েকটি দম্পতির সঙ্গে তাদের দেখা হলো। তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নতুন দম্পতির জন্য একই আবেগ কনসার্ট করল, যে আবেগ তারা প্রকাশ করছে যৌনকর্মীদের বেলায়। কয়েক মুহূর্তের নবদম্পতি ও ব্রাস ব্যান্ডের মিছিলের মোলাকাত ঘটল এবং তারা পরস্পরের সঙ্গে মিশে গেল।

২০০৬ সালের নির্বাচনে ডাচ অ্যানিম্যান প্রটেকশন পার্টি সংসদে দুটি আসন পেয়েছিল- বিশ্ব গণতন্ত্রের ইতিহাসে এ ধরনের ঘটনা এই  প্রথম ঘটল। এই দুটি সিট লাভ করাকে স্বাগত জানাতে হয়-তারা পশম সংগ্রহের জন্য পশুপালনের বিরুদ্ধে আইন প্রণয়ন করাতে পেরেছিল। আমি ভাবি, কখনো আমার দৌহিত্র দৌহিত্রার সন্তানরা আগামী শত বছরে পোল্যান্ডে এ ধরনের কোনো পার্টিকে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবে কি না? ধরা যাক আগামী একশ বছরে এমন একটা পোল্যান্ড থাকবে এবং নির্বাচন বলে কোনো কিছুর অস্তিত্বই থাকবে!

আমার চুলের বিনুনি এখানে বেশ পছন্দের বিশেষ করে কালোদের কাছে। যখন তখন কেউ না কেউ আমাকে থামিয়ে হাসিমুখে প্রশ্ন করছে আমি আফ্রিকান কাউকে বিয়ে করেছি কিনা? আমিও হেসে জবাব দিই এই বিনুনি আসলে রাস্তাফারিয়ান বা আফ্রিকার কোনো আবি®কার নয়। আমি ‘পোলিশ জট’ শব্দটি তুলে আনি। সপ্তদশ শতকে যারা আমাদের দেশ সফরে এসেছেন সেসব পর্যটকের বর্ণনায় এটি ভালোভাবেই লিপিবদ্ধ হয়েছে। সে সময় চুলের এ ধরনের সিঁথি বেশ প্রচলিত ছিল- একে বলা হতো প্লিকা পলোনিকা মানে পোল্যান্ডের সিঁথি। ইউরোপে এ ধরনের একটি চুলের স্টাইল চালু করতে পেরে আমরা একদিক থেকে গর্বিত। আমাদের অশোধিত তেল, ভদকা ও আমদের খাবার পিরোগির সঙ্গে আমাদের আবিষ্কার হিসেবে প্লিকা পলোনিকাও যোগ হতে পারে।

এক বিদেশি পোলিশ ভাষা রপ্ত করতে খুব চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ সে আমাকে অভিনন্দন জানিয়ে বলল আমরা পোলিশরা যে জন্তুজানোয়ার বিশেষ করে কুকুরের প্রতি মনোযোগ দিচ্ছি তাতে সে প্রীত।

আমি তার কথা কিছুই বুঝলাম না।

তখন সে ধীরে ধীরে ব্যাখ্যা করলেন যে তার নজরে পড়েছে ট্রাফিক সিগন্যালে পিসি লেখা আছে (পিসি মানে পথচারী আর পিইস মানে কুকুর)। পৃথিবীর আর কোথাও কুকুরের জন্য এমন দরদ তার চোখে পড়েনি। সে মনে করছে এটা অত্যন্ত চমৎকার একটি মানবিক বিষয়- ড্রাইভারদের আগে থেকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া যে কুকুর পারাপার হচ্ছে তাদের চোখ-কান  খোলা রাখতে হবে। কারণ গাড়ির চাকার নিচে প্রতিদিনই অনেক নিরীহ প্রাণীর মৃত্যু ঘটছে, এ তো নেড়ে কুকুর চারদিকে ছুটে বেড়াচ্ছে। এই লেখা চোখে পড়ার আগে পর্যন্ত সে ভেবেছে প্রাচীর অধিকার নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই। এমনকি গৃহপালিত পশুর ব্যাপারেও আমরা দায়িত্বজ্ঞানহীন।

একবার ক্ষুধার্ত বোধ করে আমি পোল্যান্ডের জিলানা গোরা জেলা শহরের পথচারী সড়ক ধরে হাঁটতে হাঁটতে দুজন পুরুষকে থামিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, আশপাশে কোথায় কম দামে নিরামিশ খাবার পাওয়া যাবে। আমরা যারা নিরামিশাষী তাদের যত্রতত্র ঠেসে পিরোগি খাওয়ানো হয়। আমি ক্লান্ত হয়ে অন্য কিছু খুঁজছিলাম। আমার প্রত্যাশা কি তা বুঝতে তাদের কিছুটা সময় লেগে গেল। স্পষ্টত, আমি  তাদের কাছে বেশি কিছু প্রত্যাশা করে ফেলেছি।

ডেবোরাহ মলোমনের সঙ্গে পিটার হ্যান্ডকের কথোপকথন। ২ জুলাই, ২০০৬ প্রকাশিত

প্রশ্ন : আপনি ইউরোপের সবচেয়ে সম্মানিত ঔপন্যাসিক ও নাট্যকারদের একজন। কিন্তু আপনি ভীষণ একটি হইচই ফেলে দিয়েছেন এবং আপনার ভক্ত পাঠকদেরও ক্ষুব্ধ করে তুলেছেন।

উত্তর : আমি মনে করি এর কারণ আমি সার্বিয়ান পোজারেভাকে স্লোবোদান মিলোসেভিচের বাড়িতে তার শেষকৃত্যে সহায়তা করেছিলাম।

প্রশ্ন : হ্যাঁ, গত মার্চে তার শেষকৃত্যের সময় তাকে নিয়ে বক্তৃতাও দিয়েছেন। যুদ্ধ অপরাধের বিচারাধীন একজন আসামির শেষকৃত্যে আপনাকে যোগ দিতে হবে কেন?

উত্তর : আমি মনে করি তিনি একজন ট্র্যাজিক মানুষ। হিরো নন, তবে ট্র্যাজিক মানুষ। কিন্তু আমি একজন লেখক, বিচারক নই। আমি যুগোস্লাভিয়ার প্রেমিক, সার্ভিয়ার ততটা নয়। ইউরোপে আমার প্রিয় দেশটির পতনের সঙ্গে আমি থাকতে চেয়েছি- শেষকৃত্যে থাকার এটি একটি কারণ।

প্রশ্ন : সাবেক যুগোস্লাভিয়ায় আপনাকে এত আলোড়িত করার কারণ কী?

উত্তর : আমি অস্ট্রিয়ান, কিন্তু আমার মা স্লোভেনিয়ান। দুই মহাযুদ্ধের মাঝখানে তার ভাই যুগোস্লাভিয়ার পক্ষে লড়ে আর হিটলার যখন অস্ট্রিয়া দখল করে নেয়, আমার অস্ট্রিয়ান চাচাকে নাৎসি সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়। অনেক বছর আগে তিনি রাশিয়াতে মারা যান। এখান থেকেই আমার গল্প লেখার সূচনা। আমার মা তার মৃত ভাইয়ের গল্প করতেন। আমি যখন খুব ছোট তখন থেকে এই গল্পটা আমার ভিতর কাজ করতে থাকে।

প্রশ্ন : আমি জানি ফ্রেঞ্চ ন্যাশনাল থিয়েটার আপনার নাটক ‘ভয়েজ টু দ্য সোনোরাম ল্যান্ড অর দ্য আর্ট অব আস্কিং’-এর মঞ্চায়ন বন্ধ করে দেয়।

উত্তর : হ্যাঁ তা সত্যি, মিলোনেভিচের শেষকৃত্যে আমার সহায়তার কারণে।

প্রশ্ন : ৬৩ হাজার ডলার মূল্যের সম্মানজনক হাইনেরিখ হাইনে সাহিত্য পুরস্কারটির ব্যাপারে কী বলবেন- ডুসেলডর্ফ শহরে মাত্রই তা আপনাকে ফিরিয়ে দিতে হয়েছিল।

উত্তর : এটাও বেশ অ™ভুত ব্যাপার। জার্মান রাজনীতিবিদরা মনে করেছেন পুরস্কারের জন্য আমি সঠিক ব্যক্তি নই। এ নিয়ে অনেক হইচই হয়। শেষ পর্যন্ত আমি নিজেকে বলি, ছেড়ে দাও। ওরা থাকুক ওদেরটা নিয়ে। এ পর্ব শেষ হয়েছে...।

প্রশ্ন : ভাষা কী জন্য?

উত্তর : সেটাই প্রশ্ন বড় প্রশ্ন। এর কোনো জবাব নেই। মহান গ্রন্থের ভাষা হওয়ার জন্যই ভাষা বিরাজ করে।

প্রশ্ন : আমরা কি এখন এই কথোপকথনে ভাষা ব্যবহার করছি না?

উত্তর : আমার জন্য সত্যিকারের কথোপকথন তখনই, যখন আমি নিঃসঙ্গ, লিখছি যখন।

সর্বশেষ খবর