জ্যামিতির জ্ঞান নেই, তাই
জানতে পারিনি, কতটা পরিধি বিস্তৃৃত করে আছ
চোখের গোলকে।অথচ উপলব্ধির অতীত কোনো বিস্ময় নিয়ে
তোমার চোখের দিকেই তাকিয়ে আছি অনির্ণিত কাল।
আর বলো
ত্রিকোণমিতি বুঝি না বলে
কতদিন পড়ে থাকব বহুকৌণিক দৃষ্টির ভ্রমে?
কিছুই যে জানি না,
তবু উঠোনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে জেনেছি
কতখানি বেগ নিয়ে এলে
দীর্ঘ, ব্যাকুল চুলগুলো ডানা মেলে হাওয়ায়।
আর (রোদ্দুরে মেলে দেওয়া) বাবুই পাখির বাসা হয়ে
ঝুলতে থাকা অন্তর্বাস দেখে জেনেছি
নিতম্ব আর স্তনের মাপ।
তোমাকে একবার মধ্য আষাঢ়ের
উজ্জ্বল দিনের উপমা দিতে চেয়েছিলাম
তুমি কেঁদেই ফেলেছিলে
অথচ...
পৃথিবীতে নির্ভুল কোনো মনমিতি নেই