আকাশের ঠিকানায় সারাদিন চিঠি বিলি করে
বাতাস হাঁপিয়ে ওঠে, বুকে তার ব্যথা টন্ টন্,
এতটুকু শক্তি নেই দাঁড়াবার, শুধু চোখে ঝরেজলহীন অশ্রুধারা, জীবনের দুঃখের প্লাবন।
বাতাসের হা-হুতাশ বড় বেশি কানে বাজে হায়!
অরণ্যের বৃক্ষরাজি, ফুল পাখি ঠিক টের পায়।
বাতাসের কান্না শুনে নেমে আসে বিবর্ণ আকাশ
হাওয়ার ডানায় চেপে, অন্ধকার গিলে খেতে চায়
মায়াবী চোখের তারা, শোকাতুর মেঘ উড়ে উড়ে,
অব্যক্ত কান্নায় খায় গড়াগড়ি পাহাড়ের পাশে।
বৃষ্টি-ভেজা চাদরের ঘ্রাণ তার সারা বুক জুড়ে,
বিষাদের তানপুরা বেজে ওঠে ভয়ার্ত কোরাসে।
মেঘের আড়ালে থেকে উঁকি মারে ঝলমলে রোদ,
দুরন্ত হাওয়ার মাঝে পথ বেয়ে নামে বহুদূর,
বাতাসের শীর্ণ গায়ে সারাদিন উষ্ণতা ছড়ায়,
গাছের পাতায় দেখি নেচে ওঠে রোদের নূপুর।