মিসিসিপির বহতা জলে প্রতিবিম্বিত হয় সাতটি নক্ষত্র
হাউসবোটের খিড়কিতে দাঁড়িয়েছিলাম রজনীর মধ্যযামে,
ছেড়েছি স্বদেশ- দূর বৈদেশে খুঁজেছি দিবা-নিশি জলসত্র,কত বছর আগে ভেবেছিলাম- না হয় থিতু হই ভিয়েতনামে।
তারপর মনে হলো- সমুদ্রের অই পাড়ে ঘাস বেজায় সবুজ
তুষের তুরীয় আভায় খুঁজি জগৎ সংসারে তেপান্তরের পরিখা,
খুব মিষ্টি ছিলো কী- পানশির পাহাড়ের সুরভিত খরবুজ,
পরিযায়ী প্রজাপতির মুগ্ধ মজমায় মেতেছিলো পুষ্পিত আফ্রিকা।
পরবাস ছাড়ি ফের- বাঁধি খেলাঘর অবশেষে মার্কিন মুলুকে
গড়ে তুলি নিজের নিভৃতে সহজিয়া এক কাশবন,
কী যেন নেই- কুরে খায় করোটি সারা দিনমান ঘুনপোকে,
পকবলই মনে পড়ে নদীজল- সুরমা সরণীর সজল বারিষণ।
ঘুরেছি অনেক- দোরে দোরে খুঁজেছি-সহিষ্ণুতার স্বর্ণ
কৃষ্ণপক্ষের পূর্ণিমায় অভিবাসনের জিকির হয়ে ওঠে দুঃসাধ্য,
বদলাতে চাইনি কখনো গা-গতরের বাদামি বাউলা বর্ণ,
আসে না স্থিতি- শ্রবণে বাজে পৃথক পরবাসের সুরবাধ্য।