সভ্যতার ক্রমবিকাশে হাজংদের জীবন
বিপন্ন...
তবুও টিকে থাকার লড়াইয়ে তারা সাহসী যোদ্ধা।সংস্কৃতির শেকড়ে তারা মৌলিক;
এক গর্বিত নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী।
ভূমির উত্তরাধিকারী হাজংরা এখন ভূমিহীন, প্রজন্ম হারিয়েছে তাদের পৈতৃক সম্পত্তি, ভূমির নিরঙ্কুশ মালিকানা।
তাঁদের অধিকাংশ দেশান্তরী হয়েছিল সাতচল্লিশের দেশভাগে,
আবার চৌষট্টিতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায়;
পূর্বপুরুষের ভিটেমাটি ছেড়ে, সাজানো ফুলের বাগান, গবাদিপশু, দেওঘর, শস্যখেত রেখে।
কৃষক মুক্তির সংগ্রামে অবিচল, তীর-ধনুক হাতে গর্জে উঠেছিল হাজংরা টঙ্ক, তেভাগা আন্দোলনে;
একাত্তরে স্বাধীনতা সংগ্রামে রক্তাক্ত চোখে, খালি পায়ে, সুপ্রশস্ত বুকে;
আবার পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে,
পাহাড়ি জনপদে প্রতিশোধের আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল, গ্রামের উঠতি বয়সের হাজং যুবাদের চোখ, মুখ লাল হয়েছিল;
সেদিন পিতৃহত্যার বদলা নিতে নিরস্ত্র হাতের পেশিতে যেন মহিষাশুর বধ হয়েছিল।
নিজস্ব ভূখন্ডে, লড়াইয়ে
ত্যাগ স্বীকার করতে করতে নীরবে ক্ষয়ে যাওয়া হাজংদের পাওয়া না পাওয়ার হিসাব কষতে আসেনি কেউ!
হাজংদের জীবনের বঞ্চনার গল্প কেউ হয়তো জানে না, তাঁদের দেশের জন্য, মায়ের মমতার জন্য রক্তদানের ইতিহাস কেউ হয়তো জানে না।
প্রজন্ম, একদিন মনে রেখে তাঁদের কথা...