শুক্রবার, ২৪ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

দান্তের লেখায় জনসম্মুখে বিচার

দান্তে শুধু কবিই ছিলেন না, ছিলেন একজন গদ্যকার, পত্রলেখক, চিন্তাবিদ এবং দার্শনিক...

দান্তের লেখায় জনসম্মুখে বিচার

খুব কম সাহিত্য-পাঠক আছেন মহাকবি দান্তের নাম শোনেননি। পুরো নাম দান্তে দেইলি অলিগিয়েরি। তিনি শুধু কবিই ছিলেন না, ছিলেন একজন গদ্যকার, পত্রলেখক, চিন্তাবিদ এবং দার্শনিক। তাকে সর্বকালের সেরা সাহিত্যিক মানা হয়। দান্তের জন্ম ১৯৬৫ সালে ইতালির ফ্লোরেন্স শহরে। বিখ্যাত এই সাহিত্যিক ব্রুনেত্তো লাতিনির কাছে ক্লাসিক্যাল লিবারেল আর্টস জ্ঞান লাভ করেন। এরই মধ্যে তিনি ল্যাটিন ও গ্রিক ভাষায় পারদর্শী হয়ে ওঠেন। তার লেখায় উঠে এসেছে মধ্যযুগীয় শাস্তির বর্বরতা। তার বিখ্যাত বই ‘দ্য ডিভাইন কমেডি’তে দারুণ শৈল্পিকতা দিয়ে তুলে ধরা হয়েছে শাস্তির নামে ভয়াবহ নরকের যন্ত্রণার কথা। বিভিন্ন সূত্রমতে, দান্তে মৃত্যুর কিছুকাল আগে এই মহাকাব্যটি রচনা করে গেছেন। দান্তে তার লেখার শৈলীতে চার্চ, সমসাময়িক বিখ্যাত ঘটনা এবং ব্যক্তিবর্গের প্রতি ব্যঙ্গাত্মক বিদ্রƒপতা প্রকাশ করেছেন। দান্তে মধ্যযুগীয় ভয়াবহ নরকের যন্ত্রণার সাক্ষীই ছিলেন না, জনসম্মুখে অপরাধীকে আগুনে পুড়িয়ে মারতে দেখেছেন। সূত্রমতে, অপরাধীদের পা বেঁধে আগুনের ওপর ঝুলিয়ে রাখা হতো। শাস্তির আরও ভয়াবহতা এমন ছিল যে, পানি ভর্তি পাত্রে অপরাধীকে রেখে নিচে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হতো। ধীরে ধীরে পাত্রটি গরম হতো এবং অপরাধী গরম সেদ্ধ হয়ে মারা যেত। অনেক পাপীর পায়ে অগ্নিদগ্ধ গরম শিক ঢুকিয়ে দেওয়া হতো। জনসম্মুখে ভয়াবহ এই শাস্তি দেওয়া হতো মধ্যযুগীয় সেই আমলে। দান্তে খুব কাছ থেকে দেখেছেন সেই অভাগাদের মৃত্যুর দৃশ্য। শুনেছেন নরকের যন্ত্রণায় কাতর অপরাধীর চিৎকার।

সর্বশেষ খবর