শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

গ্রামবাংলায় আনন্দ উৎসব

গ্রামবাংলায় আনন্দ উৎসব

পয়লা বৈশাখের আনন্দ উৎসবে গ্রাম-বাংলার লোকজ মেলার কথা আলাদা করে না বললেই নয়। সব বয়সী মানুষ এ মেলার জন্য মুখিয়ে থাকত এক সময়। বৈশাখী মেলা মানেই ছিল গ্রামের মানুষের বাৎসরিক উৎসবের দিন। এ মেলায় থাকত তাঁতে বোনা পোশাক, মাটির খেলনা, গৃহস্থালি দ্রব্য হাঁড়ি-পাতিল। বাচ্চাদের জন্য খেলনা, মহিলাদের সাজ-সজ্জার সামগ্রী এবং বিভিন্ন লোকজ খাদ্যদ্রব্য যেমন- চিড়া, মুড়ি, খৈ, বাতাসা ও বিভিন প্রকার মিষ্টি। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের লোকগায়ক ও লোকনর্তকদের উপস্থিতি থাকে। তারা যাত্রা, পালাগান, কবিগান, জারিগান, গম্ভীরা গান, গাজীর গান, আলকাপ গানসহ বিভিন্ন ধরনের লোকসংগীত, বাউল-মারফতি-মুর্শিদি-ভাটিয়ালি ইত্যাদি আঞ্চলিক গান পরিবেশন করেন। নাটক, পুতুল নাচ, নাগরদোলা, সার্কাস ইত্যাদি মেলার বিশেষ আকর্ষণ। এ ছাড়া শিশু-কিশোরদের আকর্ষণের জন্য থাকত বায়োস্কোপ।

 

হালখাতা আর পুণ্যাহ উৎসব ছিল বৈশাখী উৎসবের প্রাণ। ঘোড়দৌড়, ষাঁড়ের লড়াই, মোরগের লড়াই, পায়রা ওড়ানো, ঘুড়ি ওড়ানো, গরুর দৌড় প্রতিযোগিতা ছিল জনপ্রিয়। এ ছাড়া গ্রামাঞ্চলে নৌকাবাইচ, বহুরূপীর সাজ, হা-ডু-ডু খেলার আয়োজনও থাকত। গ্রামবাংলার জনপ্রিয় অনেক খেলার প্রচলন এখন আর নেই। অবশ্য ব্যতিক্রমও আছে। যেমন- চট্টগ্রামের বলীখেলা এবং রাজশাহীর গম্ভীরা এখনো টিকে আছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর