গল্পটি তানিয়াকে নিয়ে।
গল্পটি তানিয়া নিজেই বলবে নাকি অন্য কেউ বলবে সেটা গল্পকারের ভাবনার বিষয়।
গল্পকার জানে তানিয়াকে জিজ্ঞেস করলে তানিয়া বলবে, যে নিজে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না, তার আবার গল্প বলার ভাবনা কেন বাপু? চুপ থাক। কিন্তু চুপ থাকলে যে তানিয়ার কথা বলা হবে না।এই না বলাকে গল্পকার যুক্তিসংগত মনে করছে না।
তাই গল্পটি আরম্ভ হয় এভাবে-তানিয়া আকর্ষণীয়। চটপটে। কথা বলার ভঙ্গিতে বিজ্ঞের ভাব আছে, কিন্তু চমৎকার বিনয়ী।
ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। দর্শনের ছাত্রী। নানা বিষয়ের বই পড়তে ভালোবাসে। ও বান্ধবীদের বলে, গভীরভাবে বিষয়কে বোঝা হলো আধুনিকতার শর্ত।
বাবা তোফাজ্জল সরকারি কলোনির মসজিদের ইমাম। বাড়িতে ধর্মীয় আবহ আছে। কিন্তু গোঁড়ামি নেই।
বাবার কাছে বই কেনার জন্য টাকা চাইলে বাবা শুধু ধর্মীয় বইয়ের ওপর প্রাধান্য দেন না। জ্ঞান-বিজ্ঞানের যে কোনো শাখার বই কেনার স্বাধীনতা তানিয়ার আছে। তবে বাবার নির্ধারিত আয়ের দিকে খেয়াল রেখে আবদার করতে বাবা তাকে শিখিয়েছেন।
তানিয়া নিজের জগত নিয়ে খুশি। ও নিয়মিত নামাজ পড়ে। ছোটবেলায় দাদির কাছে থেকে কোরআন পড়া শিখেছে। বাবা যখন কোরআন শরিফ পড়েন তখন ও মুগ্ধ হয়ে শোনে। বাবার সুললিত কণ্ঠে ধ্বনিত হয় অন্য একটি ভাষা, যে ভাষা ও বোঝে না, কিন্তু তার সুর ওকে ধ্যানস্থ করে। ও ভাবে, ধর্ম এভাবেই সত্য। সত্য বিশ্বাসের গভীরতায়। যুক্তির সঙ্গে ধর্মের সম্পর্ক নেই। তানিয়া স্পষ্ট বোঝে যে মৃত্যুর পরে হাসরের ময়দান হবে। একে বুঝতে হবে বিশ্বাস দিয়ে। এর সঙ্গে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার কোনো যুক্তি নেই। ধর্মের এই বিশ্বাসের জায়গায়ও যুক্তির প্রবেশ ঘটায় না।
তবে ও যুক্তি দাঁড় করাতে ভালোবাসে। ও মনে করে, যে যুক্তি দাঁড় করতে পারে না, তার জানার সীমানা সংকীর্ণ। যুক্তি দিয়ে মানুষ তার মাথা খোলাসা রাখতে পারে। আর যে মানুষ তার মাথা খোলাসা রাখতে পারে না সে নির্বোধ। নির্বোধ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখলে নিজের উপকার হয় না।
কলোনির বাসিন্দা হওয়ার সুযোগে নানা ধরনের, নানা বয়সী ছেলেমেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। কথা হয়। তবে তানিয়ার জন্য একটি সীমা টানা আছে। কোনো বাড়াবাড়ি ধরনের ছেলেমেয়ের আড্ডায় থাকার পারিবারিক অনুমতি নেই। তানিয়ার তাতে আপত্তি নেই। তর্কের সূত্র শেষ হলে ও উঠে পড়তে চায়। তবে ছেলেমেয়েরা ওর যুক্তি শুনলে ও আনন্দ পায়। এর বেশি দরকার আছে বলে মনে করে না। কলোনির সব লোকই চাকরিজীবী। নিম্ন এবং মধ্যআয়ের লোক। কেউই বড় চাকুরে না। কলোনির পরিবারগুলোয় পয়সার ঝনঝনি নেই।
বয়সীরাও স্বীকার করেন যে, ইমাম সাহেবের মেয়েটি বুদ্ধিমতী। ইমাম সাহেবের যেমন ধর্মীয় গোঁড়ামি নেই, তেমনি মেয়েটিকেও সেভাবে বড় করেছেন। কলোনির ভিতরে যাওয়া-আসার পথে যে কারও সঙ্গে দেখা হলে আদবের সঙ্গে সালাম দেয়। পোশাকে, চলনে-বলনে ওর কোনো ত্রুটি নেই।
নিজের প্রশংসা শুনলে খুশি হয় তানিয়া। ভীষণ খুশি। বাড়ি ফিরে সবার আগে মাকে কথাটা বলে।
জানো মা, আজ করিম চাচা বলেছেন, তোমার মতো মেয়েরাই সমাজটাকে ঠিক রাখবে। আমার মেয়েটাকে তো শাসনেই রাখতে পারি না। একটা কথা বললে দশটা কথা বলে। অযথা তর্ক করে।
তানিয়া বিনয়ের ভঙ্গিতে মাথা উঁচু করে চলে আসে। কিন্তু ভিতরের যুক্তিটা মাকেই বলে ফেলে।
কিন্তু মা রুখসানাকে আমি অত বেয়ারা মেয়ে মনে করি না। ও বেশ যুক্তি দিয়ে কথা বলে। শুনলে খারাপ লাগে না।
ওর বাবার হয়তো খারাপ লাগে মা। ঘরের ভিতরে কত কিছু হয় তার সব খবর কি আমরা রাখি?
তা ঠিক? মায়ের যুক্তি মেনে নিয়ে চুপ করে যায় তানিয়া। বিষয়টি ওকে ভাবায়। এবং এক সময় মনে করে রুখসানার সঙ্গে ওর বাবার কমিউনিকেশন গ্যাপ আছে। সে জন্যই বোধহয় এমন হয়।
নিজের প্রশংসা শুনলে বান্ধবী মুনিমা হলো দ্বিতীয় জন যার সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে। বলে, বুঝলি মুনিমা, প্রশংসা শোনা আমার কাছে বিনোদনের মতো। খুবই ভালো লাগে। একটি চমৎকার নাত শোনার মতো আনন্দ পাই।
মুনিমা গলা উঁচু করে বলে, তোকে আমার বোঝা মুশকিল।
আসলে আমি যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি সে জন্য তুই ভাবিস আমি সব সময় মাথা মুড়িয়ে থাকবো। ধর্ম কখনই এমন কথা বলে না। আমি তো তোকে বলেছি যে নামাজ পড়লে আমি শক্তি অনুভব করি। ভালো-মন্দ বোঝার শক্তি। ন্যায়-অন্যায় বোঝার শক্তি। আমার বোঝাকে আমি তোকে বোঝাতে পারবো না।
আমাকে বোঝাতে হবে না। মাঝে মাঝে আমার বান্ধবীকে আমার যে অচেনা লাগে সেটাও তোকে আমি বোঝাতে পারবো না।
তানিয়া অবলীয়ায় বলে, অচেনা তো লাগবেই। কারণ আমরা দুজন ভিন্ন মানুষ। আমরা দুজনে ভিন্ন চিন্তা নিয়ে দিন কাটাই। শোন, ছোটবেলায় আমি আমার মায়ের ভয়ে নামাজ পড়তাম। মা বকুনি দিত নামাজের সময়ে ঠিকমতো জায়নামাজে না দাঁড়ালে। তারপর এক সময় আল্লাহর ভয়ে নামাজ পড়তাম। এখন নামাজকে ক্ষমতার উৎস মনে করি। আমার ভয় কাটিয়ে দেয়। নিজেকে ক্ষমতাবান মনে হয়।
মুনিমা হাঁ করে তাকিয়ে থাকে।
তানিয়া ওর হাত ঝাঁকিয়ে দিয়ে বলে, মেয়ে তুই অমন করে তাকিয়ে থাকিস না। শোন, আমার মন খারাপ হলে বা কোনো কিছু আমার পেতে ইচ্ছে হলে আমি নফল নামাজ পড়ি।
মুনিমা বাঁকা চোখে তাকিয়ে বলে, তখন কি ইচ্ছাপূরণ হয়?
তুইও জানিস যে হয় না। কিন্তু যেটা হয় সেটাও ইচ্ছাপূরণের চেয়ে কম নয়।
কেমন? মুনিমা ওকে কথায় ছেড়ে দিতে চায় না।
আমার মন শান্ত হয়ে যায় রে। মন খারাপ কেটে যায়। প্রশান্তি অনুভব করি।
বেশ, বুঝলাম। তুমি একজন পুণ্যবতী নারী। গুনাহগার বান্দা নও। শোন, কালকে কামাল বলছিল, তোকে নিয়ে চাইনিজ খাবে। আমাকেও দাওয়াত দিয়েছে।
তবে বলছিস যে আমাকে নিয়ে চাইনিজ খাবে? ফাজলামো।
মুনিমা হেসে বলে, আমি তো জানি উপলক্ষ তুই। ও তোকে যে পছন্দ করে তুইও জানিস। যাবি?
তানিয়া একমুহূর্ত ভেবে বলে, না।
কেন? মুনিমা ভুরু কুঁচকে তাকায়।
এত কথা জিজ্ঞেস করবি না।
একশোবার করবো। তোর কাছে এর উত্তর থাকবে না কেন?
তানিয়া হেসে বলে, ঠিক আছে যাবো।
ও যদি তোকে প্রেমের কথা বলে?
শুনবো।
শুধু শুনে তো চুপ থাকতে পারবি না। ও কিছু জানতে চাইবে।
তখন তোদের দুজনকে আমি একটি মনিপুরী প্রেমের কিংবদন্তি শোনাবো।
মানে? মুনিমা অবাক হয়।
শুনলে বুঝবি। এখনই মানে জানতে চাস না।
মুনিমা আবার হাঁ করে তাকিয়ে থাকে। তানিয়া হেসে ওর হাত ধরে টেনে বলে, ঘরে চল। তোকে নুডলস খাওয়াবো। আমি রান্না করেছি। আব্বা খেয়ে বলেছেন, খুব ভালো হয়েছে। খেয়ে খুশি হয়েছি।
আয়। দাঁড়িয়ে থাকলে হবে নাকি?
মুনিমা জানে তানিয়া সময়-সুযোগ পেলে প্রায়ই রান্না করে। রান্না করতে ভালোবাসে। তবে নিজের পড়ালেখার সময় নষ্ট করে ও রান্নাঘরে ঢুকতে রাজি হয় না।
তখন ওর বড় আপু মুনিয়া বলে, আম্মা তানিয়াকে লাই দিয়ে মাথায় উঠিয়েছেন।
তানিয়া মুখে ওড়না চাপা দিয়ে খিলখিল করে হাসে। মুনিয়া ওকে হাসতে দেখে আরও রেগে যায়। বলে, আব্বা আমাকে আইএ পাস করার আগেই বিয়ে দিলেন। তানিয়ার বিয়ে নিয়েও আব্বা চুপ করে আছেন।
উত্তর তানিয়া দেয়। বলে, তোমার বিয়ের সময় তুমি সায় দিয়েছিলে। একবারও বলনি যে আব্বা আমাকে এমএ পাস করতে দেন। আমি আব্বাকে বলেছি যে আমি এমএ পাস করতে চাই। আব্বা রাজি হয়েছেন। তুমি এখন আব্বাকে দুষছো কেন? নিজের দোষ দেখতে পাও না?
ওরে বাব্বা, কেমন ঝগড়াটে হয়েছে মেয়েটা।
সত্যি কথা বললেই তোমার গায়ে লাগে আপু।
দুই বোনের এমন ঝগড়া অনেক দিনই দেখেছে মুনিমা। শুনতে ওর ভালোই লাগে। বিশেষ করে কোনো ইস্যু ধরে যখন তানিয়া কথা বলে সেটাতে ও আরও মজা পায়। একই পরিবারে বড় হওয়ার পরও দুই বোন দু’রকমের চিন্তার মানুষ। একজনের সঙ্গে আর একজনের মিল হয় কমই। মুনিয়ার একটি গৎবাঁধা কথা আছে সেটা ও প্রায়ই বলে।
মেয়েমানুষের বেশি বাড় ভালো না। এর বিপরীতে তানিয়ার প্রশ্ন, বাড় কি আপু?
শয়তানি করিস না তানিয়া। বাড় কি তুই বুঝিস না?
না, সত্যি বুঝি না আপু।
বাড় হলো বাড়াবাড়ি। তোদের শিক্ষিতদের ভাষায় নারী স্বাধীনতা। যত্তসব। এই আব্বা-আম্মা আমাদের কত সুন্দর করে বড় করেছেন, তাতে কি আমাদের স্বাধীনতা নষ্ট হয়েছে? ধর্মকর্ম করলে মেয়েদের স্বাধীনতা থাকে না বলে যারা চেঁচায় তারাও স্বাধীনতার মানে বোঝে না। বুঝলি?
তানিয়া ঘাড় নেড়ে বলে, বুঝবো না কেন, বুঝেছি। একটা কথা তুমি আমাকে বোঝাও তো আপু, নারী তো মানুষ। তাই না? মানুষ হিসেবে পুরুষরা যে স্বাধীনতা ভোগ করবে নারীও তা করবে। নারীর আবার আলাদা করে স্বাধীনতা কী? আব্বা আমাকে বলেছেন ধর্মেও নারী স্বাধীনতায় কোনো বাধা নেই। ধর্ম নিয়ে যারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে তারাই এমন কথা বলে।
মুনিয়া একটুক্ষণ চুপ করে থেকে বলে, তোর সঙ্গে যুক্তিতে আমি পারবো না তানিয়া।
আমার নামাজ পড়ার সময় হয়েছে। আমি উঠলাম। মুনিমা কাল তোর সঙ্গে আবার দেখা হবে।
ঠিক আছে, যাচ্ছি।
মুনিমা রিকশা ধরার জন্য রাস্তায় এলে আকস্মিকভাবে দেখা হয় কামালের সঙ্গে। ওকে দেখে নিজের রিকশা থামিয়ে নামে কামাল।
আমার কথা মনে আছে তো মুনিমা?
আপনি কোথায় যাচ্ছেন? এই কলোনিতে ঢুকবেন নাকি?
না, না, আমি অন্য কাজে যাচ্ছি।
আপনার জন্য ভালো খবর আছে।
তানিয়া রাজি হয়েছে?
হয়েছে। তবে আমার মনে হয় ওর বোধহয় তর্ক আছে আপনার সঙ্গে।
আপত্তি নেই।
জিততে পারবেন তো?
সেটা আগেই কি করে বলি।
যাই, দেখা হবে।
দুজনে দুজনের পথে চলে যায়।
দু’দিন পরে চাইনিজ খেতে খেতে আড্ডাটি জমে ওঠে তিনজনের। তানিয়াই কামালকে প্রশ্ন করে, আপনি তো এ বছর ইউনিভার্সিটি থেকে বেরিয়ে গেলেন কামাল ভাই, তারপরেও ইউনিভার্সিটিতে রেখে যাওয়া বন্ধুদের সঙ্গেই আপনার আড্ডা-
কামাল ওকে শেষ না করতে দিয়েই বলে, বন্ধুরা হিসাবের গণনায় নির্ভুল থাকলে ছাড়বো কেন?
তানিয়া ভুরু কুঁচকে বলে, নির্ভুল থাকাটা কি?
কামালের স্পষ্ট উত্তর, পছন্দের জায়গা।
মুনিমা শব্দ করে হেসে ওঠে। তানিয়া খানিকটুকু থমকে গিয়ে কিছু বলার আগেই কামাল বলে, তুমিও তো বছর দুয়েকের মধ্যে বেরিয়ে যাবে। তখন কি-
আমি নতুন জীবনে ঢুকবো।
সেটা কি? বিয়ে? না চাকরি?
দুটোই।
তোমার অভিধানে প্রেমের অর্থ কি তানিয়া?
বিশ্বাস।
কামাল ও মুনিমা একসঙ্গে বলে, বিশ্বাস!
পরস্পরকে বিশ্বাস ছাড়া প্রেমের আর কোনো ব্যাখ্যা নেই আমার কাছে। আর এই বিশ্বাসে ফাটল ধরলে একসঙ্গে জীবনযাপনেরও মানে হয় না।
তেমন পরিস্থিতি হলে তুমি কি বিয়ে ভেঙে দেবে?
অবশ্যই ভেঙে দেব। কদিন আগে মনিপুরীদের বিষয়ে একটি বই পড়েছিলাম। সেখানে একটি সুন্দর কিংবদন্তি আছে। এখন সেটা দুজনকে বলব। মনিপুরীদের প্রাচীন ধর্মের দেবতা থানজিংয়ের মন্দির আছে মনিপুরী রাজ্যের মোইরাং অঞ্চলে। ওই মন্দিরকে কেন্দ্র করে আছে একটি শাশ্বত প্রেমের কাহিনী।
কামাল হেসে বলে, প্রেমের কাহিনি তো শুনবো, তার আগে আমরা স্যুপটা শেষ করে ফেলি।
ঠাট্টা করছেন?
মোটেই না। ভয় পাচ্ছি। প্রেমের ঘটনা যদি বিয়োগান্তক হয় তাহলে খাওয়া-দাওয়া তো মাথায় উঠবে।
মুনিমা তড়িঘড়ি বলে, তাহলে তানিয়া বলুক ঘটনাটি বিয়োগান্তক, না মিলনান্তক।
কামাল বাধা দিয়ে বলে, না তা আমি শুনতে চাই না। সবাই স্যুপটা শেষ করে ফেলি। তানিয়া এমনভাবে গল্পটা বলবে যে বাকি খাবার খেতে খেতে গল্প শোনাও শেষ হবে।
মুনিমা মৃদু হেসে বলে, কামাল ভাই আজ খুব স্মার্টলি কথা বলছে। কি বলিস তানিয়া?
তাই তো দেখছি। তানিয়া মাথা নেড়ে স্যুপের বাটির ওপর মনোযোগী হয়। স্যুপ খাওয়া শেষ করে বলে, এবার শুরু করি।
দুজনে ঘাড় নেড়ে সায় দেয়।
তানিয়া শুরু করে। দৈব-আদেশে ঘটে যাওয়া এই প্রেমের গল্প ধারাবাহিকভাবে ঘটে যাওয়া সাতটি পুনর্জন্মের প্রেমের কাহিনি।
কামাল হেসে বলে, বলা যায় প্রেমের ইতিহাস।
মুনিমা যোগ করে, চিরায়ত প্রেমের ঘটনা বেশ ইন্টারেস্টিং হবে নিশ্চয়।
কাহিনির পটভূমিতে মনিপুরীদের দেবতার গভীর যোগ আছে। প্রতিটি ঘটনাই দেবতার আদেশে ঘটেছে। তাঁর নির্দেশে একটি পুরুষ ঘুঘু ও একটি নারী ঘুঘুর জন্ম হয়। তারা একদিন অনেক দূর থেকে উড়ে এসে থাংজিং পাহাড়ের মাথায় একটি গাছের ডালে বসে। কিন্তু তাদের প্রেমের পূর্ণতার আগেই শিকারির তীরে নিহত হয় দুই ঘুঘু।
[চলবে]