যার মাথা ক্রমাগত
উঁচু হয়ে যাচ্ছে
অনেককে ছাড়িয়ে,কৃষ্ণ-কুটিল অন্ধকার
ভেদ করে যার মুষ্টিবদ্ধ হাত
দেখা যাচ্ছে দূর থেকে,
গোটা জীবদ্দশায় যাকে বারবার
পাথর চাপা দেয়া হয়েছে
অথচ এখন চারদিকে
রত্নরাজির মতো ফুটে উঠছে,
ঝর্ণার মত ঝরে পড়ছে
মানুষের হৃদয় থেকে হৃদয়ে।
যার নাম উচ্চারিত হলে
মূর্খদের সংলাপ
অতল গহবরে আশ্রয় নেয়,
কাঁটা বিঁধে দম্ভ-অহমিকায়।
ভীরু তোতা পাখিরা
নিষ্পলক চেয়ে থাকে
অনন্তকালের সত্যের দিকে।
অতি সাধারণ সহায় সম্পদহীন :
তাঁর পিছনে দলবদ্ধ মানুষ
ছুটছে তো ছুটছে
সূর্যকে পুনরুদ্ধারের মিছিল
চলছে তো চলছে
ঘরবিহীন-ঠিকানাবিহীন
নিঃস্ব মানুষের মাথায়
উজ্জ্বল নক্ষত্রের শিরস্ত্রাণ,
এটা মেনে নেওয়া যায় না।
অদৃশ্য ইশারায় ইতিহাসের কাঠগড়ায়
তাকে অভিযুক্ত করা হলো
অন্ধত্বের উপযোগী ঐতিহাসিক রায়
হেমলকে বা ফাঁসিতে মৃত্যুদণ্ড নয় ‘শিরশ্ছেদ’।
কোনো মৃত্যু সমাপ্তি নয়, শুরু-
আবার জেগে ওঠো
হে প্রিয় বাংলাদেশ।