শুক্রবার, ৫ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

বিশ্বসাহিত্যের চমক

বিশ্বসাহিত্যের চমক

সাহিত্যের প্রতি মানুষের টান সহজাত। যুগে যুগে প্রকাশিত বইয়ে উঠে এসেছে অসংখ্য গল্প, উপন্যাস কিংবা কবিতা। প্রাচীনকাল থেকে হাল জমানা; অসংখ্য বই সমানভাবে অনুপ্রাণিত করেছে বইপ্রেমী পাঠকদের।  আজকের রচনায় থাকছে- বিশ্বসাহিত্যের নানা চমকপ্রদ তথ্য...

 

সর্বকালের সেরা বিক্রি হওয়া উপন্যাস

১৬ শতাব্দীর জনপ্রিয় উপন্যাস ডন কিহোতে। লেখক মিগেল ডি সারভান্টেস। তিনি একজন স্পেনিশ সাহিত্যিক। ১৬০৫ সালে প্রথম খন্ড এবং ১৬১৫ সালে দ্বিতীয় খন্ড হিসেবে তিনি একটি উপন্যাস প্রকাশ করেন নিজের ভাষায়। ডন কিহোতে নামের উপন্যাসটি পরবর্তী পশ্চিমা সাহিত্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। প্রকাশের পরই বইটির ৫০০ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়। ইতিহাসে এমন রেকর্ড আর কখনো দেখা যায়নি। আর উপন্যাসটি সর্বকালের সর্বাধিক বিক্রিত উপন্যাসের আসন দখল করে। যা মূলত তৎকালীন শিভ্যালরি ব্যবস্থাকে ব্যঙ্গ করেই রচিত হয়েছিল। তরবারি, ঘোড়া, নারী কিংবা মদের সঙ্গে ঘটনা প্রবাহিত হয়েছে গভীরে। বর্ণনার সাবলীলতা ও নাটকীয়তা উপন্যাস লেখার পথ সুগম করে।

নিষিদ্ধ করা হয়েছিল এলিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড

শিশু সুলভ একটা গ্রন্থ নিষিদ্ধ হয়েছিল সামান্য কারণেই। লুইস ক্যারোলের এলিস’স অ্যাডভ্যাঞ্চার ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড। পাঠকদের কাছে যা খুব জনপ্রিয়তা পায়। তাহলে নিষিদ্ধের কারণ? এমন উত্তরও খোঁজে পাঠকরা। কেননা এই রচনায় ছিল না রাজনৈতিক উত্তেজনা বা উসকানি। তারপরেও বইটি নিষিদ্ধ তালিকায় স্থান করে নেয় চীনের হুনান প্রদেশে। বইটি মূলত নিষিদ্ধ করা হয় পশুর মুখ দিয়ে

মানুষের ভাষায় কথা বলানোর জন্য। ১৯৩১ সালে বইটি প্রকাশিত হয়। বহুলভাবে বিভিন্ন জায়গায় সমাদৃত হলেও চীনের হুনান প্রদেশে বইটি প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা আসে।

সবচেয়ে দীর্ঘ বই

A la recherche du temps perdu একটি ক্ল্যাসিক উপন্যাসের নাম। লিখেছেন মারসেল প্রাউস্ট। সাত খন্ডে লেখা উপন্যাসটি পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ উপন্যাসগুলোর একটি। ৯৬০৯০০০টি বর্ণ, ১২৬৭০৬৯টি শব্দ এবং ৩০৩১টি পৃষ্ঠা। ইংরেজিতে বইটি অনূদিত হয়েছে In Search of Lost Time নামে। ঘটনা এগিয়ে গেছে বক্তার অভিজ্ঞতা বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা দিয়ে। বিষয়বস্তু আর লেখকের স্বতন্ত্র রচনাশৈলীর কারণে উপন্যাসটি অন্যতম বিখ্যাত হিসেবে বিবেচ্য।

ভিক্টর হুগোর ব্যবহৃত সবচেয়ে দীর্ঘতম বাক্য

লেখক ভিক্টর হুগোর ‘লে মিজারেবল’

বিশ্বসাহিত্যের অনন্য এক চমক। বর্ণনার সাবলীলতা এবং প্রেক্ষাপট নির্মাণে নতুনত্ব দেখিয়েছে বইটি। এখানে ৮২৩ শব্দব্যাপী লম্বা এক বাক্য অনায়াসে ব্যবহার করেছেন হুগো। যদিও সবচেয়ে দীর্ঘ বাক্য ব্যবহারের নজিরও আছে ইতিহাসে। জোনাথন কোয়ের লেখা দ্য রোটার’স ক্লাব গ্রন্থে ব্যবহৃত বাক্যে শব্দের সংখ্যা ১৩৯৫৫। তার পরেই রয়েছে জেমস্ জোয়েসের ‘ইউলিসিস’। সেখানে ব্যবহৃত বাক্যে শব্দের সংখ্যা ৪৩৯১।

 

শার্লক হোমস্ : ফরেনসিক বিজ্ঞানের পথপ্রদর্শক

গোয়েন্দা ও রহস্য উপন্যাসের কারিগর আর্থার কোনান ডয়েল। তাঁর উপন্যাস কত জনপ্রিয় ছিল তা প্রমাণিত। বেকার স্ট্রিটে শার্লক হোমসের ঠিকানায় মানুষের চিঠি পাঠানোর ঘটনাও সবার জানা। অপরাধের নানা সূত্র বর্ণনা করেছেন; যা তখনো পুলিশ এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কাছে অজানা ছিল। কোনান ডয়েল তাঁর লেখায় খুবই সাদামাটা উপাত্ত ব্যবহার করে সিদ্ধান্তে উপনীত হতেন। জুতা, চুল, টাই, হাতের লেখা, আঙুলের ছাপ থেকে বের হয়ে আসত অপরাধীর সত্যিকার পরিচয় এমনকি পূর্ববর্তী না দেখা ঘটনার বিবরণ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর