শিরোনাম
শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

রমণীমাস্টারের দেশত্যাগ

হোসেন আবদুল মান্নান

রমণীমাস্টারের দেশত্যাগ

ছোট ছোট ফুলগাছের শাখা-প্রশাখাগুলো আভূমিনত হয়ে এলোমেলো পড়ে আছে। মনে হয়, অনেকদিন মানুষের পদচিহ্ন পড়ে না এমন এক পরিবেশ। রমণীবাবু বছর দুই আগেই বিপত্নীক হয়েছিলেন। এখন ভালো মন্দ দেখার মতো তাঁর আর রুচি নেই। একটু মাথাগোঁজার ঠাঁই নিয়ে ক’দিন বেঁচে থাকাই যেন শেষ কথা। বাড়িটাকে বাসযোগ্য  করে তোলার দায়িত্ব ছেলেরা কাঁধে নিলেও এখানে রমণী মাস্টারের সঙ্গী-সাথীর অভাব দূর করা সম্ভব নয়। প্রথম প্রথম দিনকাল চলে যাচ্ছিল দিনের নিয়মে।

 

তখন বেলা ১১টা হবে।

মানিকখালি রেলস্টেশনের ইট বিছানো এবড়োথেবড়ো ফ্ল্যাটফরমের ওপর হাতাবিহীন একখানা কাঠের চেয়ারে বসে আছেন রমণীবাবু। তাঁকে ঘিরে দন্ডায়মাণ একদল মানুষ। লোকজন বলাবলি করছে রমণীমাস্টার আজ ভারতে চলে যাচ্ছেন এবং এটাই তাঁর শেষ যাত্রা। ট্রেন আসতে খানিক বিলম্ব হওয়ায় কিছু সাবেক ছাত্র ও বয়স্কজন এসে তাঁর সঙ্গে কথা বলছেন। তারা সবাই মাস্টারের কাছে দোয়া প্রার্থনা করছেন।

ছাত্ররা একে একে অবনত মাথায় কদমবুচি করে চলেছে। তবে তিনি নিজে কোনো কথা বলছেন না। রমণীমাস্টার পরনের সাদা ধুতির মাটির দিকে ঝুলে থাকা অংশটা টেনে তুলে নিয়ে বারবার চোখ দুটো মুছে নিচ্ছিলেন। অপলকভাবে তাকিয়ে আছেন পরিচিত মানুষগুলোর মুখমন্ডলের দিকে। সেসময় চারদিক থেকে অসংখ্য চোখ তাঁকে নিবিষ্ট হয়ে দেখছিল। তিনি নির্বাক আকাশের দিকে তাকিয়েই তাঁর অব্যক্ত আকুতিগুলো প্রকাশ করে চলেছেন। যেন তাঁর না বলা ভাষাই ছিল সেদিন জন্মভূমির জন্য শেষ গল্প।

 

২.

রমণীবাবু একজন গ্রামীণ স্কুল মাস্টার ছিলেন। পুরো নাম রমণী কান্তি রায়। গ্রামের চাতলাপুর হাইস্কুলেই তাঁর গোটা জীবন কাটে। সেখান থেকে অবসরপ্রাপ্ত হয়ে ছিলেন কিনা তা কেউ বলতে পারে না। তবে তাঁর আনুষ্ঠানিক অবসর যে ছিল না এটা ধ্রুব সত্য। আসলে রমণীমাস্টারদের কোনো অবসর নেই, এঁদের অবসর থাকেও না। সম্প্রতি তাঁর বড়ো ছেলে মেধাবী ছাত্র অখিল কান্তি রায় ভারতে গিয়ে সেখানে একটি লোভনীয় চাকরি জোগাড় করে ফেলে। অখিল রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর হয়েছিল। রমণীবাবু বাড়িতে বসেও সকাল বিকেল দুবেলা ছাত্রদের অঙ্ক শেখান। এতে তাঁর এক প্রসন্ন সময় কেটে যায়। প্রতিদিন ছাত্রদের মুখের দিকে চেয়েই নিজের একাকীত্ব বা দুঃখবোধ ভুলে থাকেন।

চাতলাপুর হাইস্কুল থেকে তিনি কত টাকা মাইনা পেতেন তা-ও কখনো কেউ বলতে পারবে না। জানা যায়, প্রধান শিক্ষকের বদান্যতায় মাস শেষে সামান্য যা কিছু হাতে আসত তা দিয়েই সংসার চলে যেত। তিনি বলতেন, ‘শিক্ষকতার সাথে বেশি বেতনের কোনো সম্পর্ক নেই। এ পেশার মানুষকে পড়ায় আনন্দ লাভ করতে হয়। এটা হবে নিতান্তই জাতির প্রয়োজনে নিজের জীবনকে বিলিয়ে দেওয়ার আরেক নাম। এখানে লাভ-ক্ষতির হিসাব খাটে না’। স্কুলে রমণীবাবুর চাকরিটা সরকারি স্কেলের আওতাভুক্ত ছিল না। কারণ

তিনি অন্যদের ন্যায় স্নাতক ডিগ্রিধারী বা বিএ, বিটি, শিক্ষক ছিলেন না। যদিও এ স্কুলের প্রায় সব শিক্ষকই তাঁর প্রাক্তন ছাত্র ছিলেন। এতে তার কোনো আফসোস, খেদ বা অনুশোচনা ছিল না। মাঝেমধ্যে হাতে একটা ছোট্ট বেত নিয়ে সামনের দিকে ঝুঁকে ন্যুজ ভঙ্গিতে ধীর পায়ে হেঁটে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করতেন। একটু স্ফীত হাসি দিয়ে বলতেন, ‘মনে রাখবা, মানুষকে পুত্র এবং ছাত্রের কাছে পরাজিত হয়েই বাঁচতে হয়। এতে কোনো লজ্জা নেই, বরঞ্চ আনন্দ আছে’।

 

৩.

একসময় চাতলাপুর থেকে চারপাশের গ্রাম গ্রামান্তরে জনশ্রুতি ছিল যে, রমণীবাবু হাঁটতে হাঁটতে বিড়বিড় করে একা কথা বলেন। নিজের সঙ্গে নিজে কথা বলা বলতে যা বোঝায়। কেউ কেউ বলতেন, তিনি হেঁটে হেঁটে অঙ্ক মিলান, লসাগু, গসাগু বা পাটিগণিতের এত টাকার সুদ যদি এত হয়, তবে আসল কত ইত্যাদি। অথবা একমনে বীজ গণিতের জটিল ফর্মুলা মুখস্থ করে চলেছেন। আসলে মননে-মগজে, ধ্যানে, চিন্তায়-চেতনায় একজন শতভাগ নিবেদিত প্রাণ শিক্ষকের প্রতিচ্ছবি হলেন রমণীমাস্টার।

রমণীবাবুরা ক্লাস রুমেও বেশ জনপ্রিয় এবং সফল হতেন। ছাত্রদের মধ্যে বিপুল আনন্দের খোরাকও জোগাতে পারতেন। এতে মেধা এবং সংবেদনশীলতাই এঁদের বড় পুঁজি ছিল। একবার ক্লাসের একজন অমনোযোগী ও ক্ষীণদেহী রোগাটে ছাত্রকে উদ্দেশ করে একটা গল্প জুড়ে দিলেন, “দ্যাখো, এই মাঠে দুটো গাভী ঘাস খাচ্ছে, এদের সাথে আছে দুটো বাছুর। একটা গাভীর মালিক একজন কৃষক, অপরটার মালিক এক গোয়ালা। দুই বাছুরের মধ্যে কথা হচ্ছে, কৃষকের গাভীর বাছুরটি গোয়ালার বাছুরকে বললো, চল আমরা দৌড় দিই। সঙ্গে সঙ্গে গোয়ালার বাছুর বললো, না, চল আমরা বসে বসে লেজ নাড়াই’।

আরও একবার ক্লাসে তিনি একটা মজার শ্লোক আউড়েছিলেন। অতি সাধারণ একটা সরল অঙ্ক বোঝাতে না পেরে এক ছাত্রকে দুই চার ঘা বেত্রাঘাত করতে করতে বললেন,

‘লেখা নাই পড়া নাই

করি আমি কী,

লাইট্টা জামাই আমার

সোনা ধরি ঝি’।

রমণী মাস্টারের বেতের আঘাতের কথা পরবর্তী জীবনে কেউ মনে রাখেনি কিন্তু তাঁর সেই বিখ্যাত শ্লোকটা সবারই মুখস্থ হয়ে আছে। এটা কারও ভোলার সুযোগ নেই। অঙ্কের মতন রসকষহীন কাঠখোট্টা ধরনের সাবজেক্ট পড়াতে গিয়েও তিনি আনন্দ খুঁজে বেড়াতেন।

 

৪.

দেশত্যাগ করে চলে যাওয়ার ব্যাপারে তিনি সবসময় ভীষণভাবে নিরুৎসাহিত ছিলেন। এ-সব শুনলে তাঁর চোখে মুখে অনীহা ও বিরক্তির ছায়া ফোটে উঠত। জন্মভূমি ছেড়ে যাওয়া ছিল তাঁর আদর্শ ও নীতি বিরোধী। বলতেন, বাবা দাদা জ্যাঠাদের মাটি ফেলে যাব কোথায় হে? এ মাটি যে, অভিশাপ দেবে! অথচ গত অর্ধ শতাব্দীতে তিনপর্বে তাঁর নিকট আত্মীয়-স্বজনের অনেকেই দেশ ছেড়েছেন। তাঁরা প্রথমে ১৯৪৭ সালের দেশভাগের সময়ে, পরে ১৯৬৫ সালের পাক ভারত যুদ্ধের আগে ও পরে এবং সর্বোপরি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের

বিভীষিকাময় দিনগুলোতে রাতের আঁধারে মাতৃভূমি ত্যাগ করেছেন। তখন তারা শত চেষ্টা করেও রমণী মাস্টারকে সঙ্গে নিতে পারেননি। বরং তিনি নির্ভয়ে নিশ্চিন্তে এ মাটি কামড়ে পড়ে ছিলেন।

কিন্তু আশির দশকের গোড়ার দিকে এসে স্বাধীন বাংলাদেশ থেকে মাস্টারকে চলে যেতে হবে তা তিনি হয়তো কখনো কল্পনাও করেননি। বড়ো ছেলেটা ওপারে একটা ভালো চাকরি পেয়ে যাওয়ায় পারিবারিক নিশ্চয়তার কথা আর সন্তানদের নিরন্তর পীড়াপীড়িতে মনে হয় শেষে তিনি আর কুলিয়ে উঠতে পারছিলেন না। তাঁকে এক পর্যায়ে সেই কষ্টের অসম্মতির মৌন সম্মতি দিতেই হলো। তবে সন্তানদের সাফ বলে দিলেন, আমার এ প্রস্থান হবে

সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমধর্মী, একেবারে আলাদা ধরনের। আমার সম্পত্তি, কিঞ্চিৎ জমিজমা, বাড়িঘর বিক্রি হবে প্রকাশ্যে। এমনকি স্থানীয় সাক্ষীদের উপস্থিতিতে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। দুই ছেলে ও একমেয়ে তাতে কোনো ক্রমেই সায় দেবে না। তারা তাদের জীবনের নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলল। কিন্তু কিছুতেই কাজ হয়নি। অবশেষে তাদের পিতার সিদ্ধান্তই মেনে নিতে হলো।

 

৫.

রমণীমাস্টার বাজারের যে স্টলে বসে দিনে অন্তত দুবার চা পান করতেন সেই স্টল মালিক আবু তালেব তাঁর কাছে একজন অতি সজ্জন, বিশ্বস্ত ও বিনয়ী মানুষ। গত ক’বছরের মধ্যে মোটামুটি প্রতিদিনই তাদের দেখা সাক্ষাৎ হয়। চা পান করেন, সাদা চশমায় পুরনো পত্রিকা পড়েন, গল্প করেন, দেশ ছাড়ার চিন্তা-ভাবনার কথাও বলেন। আবু তালেবও মনে মনে ভাবে, স্যার চলে গেলে তাঁর ফুলে ফলে ভরা বাড়িটা সে কিনে নেবে। চা-ওয়ালা তালেবও রমণীবাবুকে আজন্ম স্যার সম্বোধন করে আসছে। যদিও সে কোনো দিন স্কুলে যাওয়ারই সুযোগ পায়নি। কিন্তু তার শ্রদ্ধা নিবেদনের ভাষা প্রকৃত ছাত্রেরও অধিক। তার আদব লেহাজ রমণীবাবুকে বেশ আকৃষ্ট করে। তাছাড়া গত ক’বছর রমণীমাস্টার তো আবু তালেবের কাছ থেকেই কিছু বাড়তি যত্নআত্তি পেয়েছেন। যা অন্যের কাছ থেকে পাননি বা এমনটা আশাও করেননি। তাই তিনিও আন্তরিক হয়ে চান তাঁর ভিটে বাড়িটা যেন আবু তালেবের কাছেই থেকে যায়।

 

কিছুদিনের মধ্যেই ছেলেমেয়ের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে স্থির করলেন, বাড়িটা আবু তালেবকে দেওয়া হবে, আর বিষয় সম্পত্তিগুলো

প্রতিবেশীরা পাবে। কেননা তাদের দাবি অগ্রাহ্য করা সঠিক হবে না।

এবং রমণীমাস্টারের একক সিদ্ধান্তেই একদিন মধ্যদুপুরে পাড়াপড়শি অনেক মানুষের আগমন ও উপস্থিতিতে হিসাব-নিকাশ তথা দেনা-পাওনা সবকিছু যথারীতি সম্পন্ন করা হলো।

৬.

কলকাতা থেকে প্রায় একশো কি.মি দূরে অবস্থিত হুগলির মফস্বল শহরের এক শতবর্ষী পুরনো বাড়িতে গিয়ে উঠল

রমণীমাস্টারের ছোট্ট পরিবার। সঙ্গে কনিষ্ঠ পুত্র অনিল কান্তি রায় ও মেঝ কন্যা অপর্ণা রায়। ছোট্ট বাড়িটার আঙিনাজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে পাতা-লতার স্তূপ।

ছোট ছোট ফুলগাছের শাখা-প্রশাখাগুলো আভূমিনত হয়ে এলোমেলো পড়ে আছে। মনে হয়, অনেকদিন মানুষের পদচিহ্ন পড়ে না এমন এক পরিবেশ। রমণীবাবু বছর দুই আগেই বিপত্নীক হয়েছিলেন। এখন ভালো মন্দ দেখার মতো তাঁর আর রুচি নেই। একটু মাথাগোঁজার ঠাঁই নিয়ে ক’দিন বেঁচে থাকাই যেন শেষ কথা। বাড়িটাকে বাসযোগ্য করে তোলার দায়িত্ব ছেলেরা কাঁধে নিলেও এখানে রমণী মাস্টারের সঙ্গী-সাথীর অভাব দূর করা সম্ভব নয়। প্রথম প্রথম দিনকাল চলে যাচ্ছিল দিনের নিয়মে। সমস্যা সৃষ্টি হলো, যখন কলকাতা কেন্দ্রিক একটা বেসরকারি সংস্থায় ছোট ছেলে অনিল রায়ের চাকরি হয়ে যায়।

তাকে তখন প্রায়ই হুগলি-কলকাতায় দৌড়াদৌড়ি করতে হয়। এমনকি মাঝেমধ্যে তাকে সেখানে রাতযাপনও করতে হয়। রমণীবাবু যেন ক্রমেই নিঃসঙ্গ হতে থাকেন। স্বদেশে অঙ্ক শেখার ছাত্ররা সারা জীবন তাঁকে যে প্রাণশক্তি দান

করেছিল এখানে এর লেশমাত্র পাওয়া যায়নি। বরং একাকীত্বের অদৃশ্য যন্ত্রণায় তিনি তিলে তিলে বিদীর্ণ হতে থাকেন। এখানে তাঁকে কেউ সময় দিতে চায় না। যদিও কন্যা অপর্ণাই তার স্বামীকে নিয়ে বাবার দেখাশোনা করে। তবে

রমণীমাস্টারকে সেই নিঃসঙ্গতায় খুব বেশি দিন থাকতে হয়নি। সব মিলিয়ে বছর তিন হবে, তিনি এমন দুর্বিষহ, অস্বস্তির জীবন পেয়েছিলেন। একদিন জানা গেল, দিব্যি সুস্থ সতেজ মানুষ রমণীমাস্টার ভোররাতে ঘোর নিদ্রার ভেতরে আকস্মিক মৃত্যুবরণ করেছেন। কী আশ্চর্য ব্যাপার,

তাঁর ছেলেমেয়েরা কেউ বুঝতে পারেনি, এদের বাবার কেন এমনটা হলো!

৭.

একদিন সন্ধ্যা বেলায় চায়ের কাপে চিনি সংযোগকালে চামচের টুংটাং শব্দের সঙ্গে আবু তালেব আফসোস করে বলছিল, ‘আহা! রমণী স্যার বেচারা ওপারে গিয়ে বেশি দিন টিকল না। তিনি খুব ভালো মানুষ ছিলেন। তাঁর মতন এমন দেশপ্রেমিক আর হবে না’।

রমণীবাবুও গত কয়েক বছর ধরে নিয়মিত চিঠি লিখে স্টল মালিক আবু তালেবকে তাঁর অনুভূতি আর কষ্টের কথা জানাতেন। বলতেন, ‘আমার অন্য কোনো অসুবিধা নাই, এখানে কেবল সমবয়সী সঙ্গী-সাথীর অভাব। ভাবি, উন্মুক্ত আকাশের তলে এত বড় পৃথিবী, যেখানে মানুষ আর মানুষ কিন্তু কেউ কারও জন্য নয়।’

তালেবের কথা শুনে স্টলের এক কোনায় চা পানরত স্থানীয় কলেজের ইতিহাসের শিক্ষক খসরুজ্জামান বলে উঠলেন, ‘তালেব, তুমিও মনে রেখো, বাংলাদেশ থেকে রমণীস্যার ব্যতীত আর কোনো হিন্দু দিনের বেলায় দেশত্যাগ করে যায়নি। এটা কোনো সাধারণ কথা নয়। এটা একটা ইতিহাস। যে মানুষটিকে ১৯৪৭, ১৯৬৫ বা ১৯৭১ সালের ভয়াবহ দুসঃময়ও স্পর্শ করতে পারেনি। রাজাকার আল-বদররাও যাঁকে হত্যা করেনি। তাঁকে হত্যা করল তাঁর নিজের সন্তানরা। তিনি কখনো এমন মৃত্যু চাননি।’

 

                লেখক : গল্পকার, প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট।

সর্বশেষ খবর